তৃতীয় প্রান্তিকে রবির রাজস্ব আয় ৭৮২ কোটি টাকা

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাত হাজার ৮২১ মিলিয়ন বা ৭৮২ কোটি ১০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে।গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই রাজস্ব আয় ১৩ শতাংশ এবং চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি।


এ সময়ে রবির গ্রাহক বেড়েছে সাত লাখ ৮৫ হাজার। সে হিসাবে গ্রাহক বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৪ শতাংশ। রবির প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সোমবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ক্যুনার, প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা মাহতাবউদ্দিন আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাইকেল ক্যুনার বলেন, 'টেলিযোযোগ শিল্পের জন্য কঠিন প্রতিকূল পরিবেশেও আমরা আমাদের রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ও লাভের ক্ষেত্রে ক্রমাগত ভালো অবস্থানে রয়েছি। এ জন্য আমি খুবই খুশি। আমরা আমাদের গ্রাহকের অর্থের সর্বোচ্চ মূল্য দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিকাশমান টেলিকম বাজারে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মজবুত করতে এটি সহায়তা করবে।'
তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে মাহতাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'অব্যাহত রাজস্ব আয় ও কার্যকর ব্যয় ব্যবস্থাপনা, সিম ট্যাঙ্ হ্রাসের কারণে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দায় পরিশোধ ব্যতীত আয়ের (ইবিআইটিডিএ) দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেড়েছে। অব্যাহতভাবে ব্যয় সাশ্রয়ের দিকে মনযোগ দেওয়ার কারণেই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সর্বোচ্চ রাজস্ব বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, তৃতীয় বছরের প্রান্তিকে রবি গ্রাহকবান্ধব বিভিন্ন প্রডাক্ট বাজারে এনেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে_গ্রামের গ্রাহকদের জন্য 'রবি নবান্ন' পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পোস্ট পেইড ভয়েস সেবা 'উদয়'।
সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে রবি দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় ইংরেজি শেখার কর্মসূচি 'ইংলিশ ইন স্কুল' প্রোগ্রামের আওতায় চালু করেছে 'ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ফেয়ার'। বিভাগীয় পাবলিক লাইব্রেরি ব্যবহারকারীদের বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য চালু করেছে 'রবি ইন্টারনেট কর্নার'। 'প্রতিবন্ধিত্ব করব জয়, এই হোক প্রত্যয়' স্লোগান নিয়ে নিরাময়যোগ্য প্রতিবন্ধিতা 'মুগুর পা' রোগে আক্রান্ত শিশুদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। তৃতীয় প্রান্তিকে ৫০ প্রতিবন্ধী শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ১৮৬ মুগুর পা রোগে আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.