বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা

মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ায় পাঁচ দিনের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে অবস্থান করছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ বিমানে করে তিনি মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান ও কূটনৈতিক কোরের ডিন প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।


স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি মিয়ানমারের নেপিডো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ ওয়ান্না মং লুইন ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অনুপ কুমার চাকমা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় ছোট্ট একটি শিশু প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শেখ হাসিনাকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে মিয়াট তাও উইন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরে দ্বি-পক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে যৌথ কমিশন গঠন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক যৌথ কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম দফায় তিনি ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার সফর করবেন এবং তারপর তিনি ইন্দোনেশিয়ায় যাবেন।
গতকাল সন্ধ্যায় হোটেল স্যুটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ ওয়ান্না মং লুইন সাক্ষাৎ করেন। এসময় অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তাঁরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের সঙ্গে বিমান ও সড়ক পথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং মিয়ানমার থেকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের উদ্যোক্তারা ঢাকার উদার বিনিয়োগ নীতিমালার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। এ ছাড়া মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে উন্নতমানের পাট, সিরামিক, গার্মেন্ট ও নিটওয়্যার এবং ওষুধ আমদানি করতে পারে।
বাজার অর্থনীতিবিষয়ক মিয়ানমারের নতুন নীতিমালা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওয়ান্না মং বলেন, তাঁর দেশ দক্ষিণ এবং পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
পাঁচ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব শেখ এম ওয়াহিদউজ্জামান, পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং এফবিসিসিআইর সভাপতি এ কে আজাদের নেতৃত্বে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল।

No comments

Powered by Blogger.