মাহাথিরের উদ্যোগ-বুশ-ব্লেয়ারের প্রতীকী বিচার

রাক আগ্রাসনের মাধ্যমে 'যুদ্ধাপরাধ' সংঘটনের অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবি্লউ বুশ ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রতীকী বিচারের উদ্যোগ নিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবাধিকারকর্মীরা। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের উদ্যোগে গঠিত কুয়ালালামপুর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে আগামী শনিবার এ দুই সাবেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু হবে।


মালয়েশিয়ার আইনজীবী ইয়াকুব হোসেন মারিকান গতকাল মঙ্গলবার বলেন, বুশ ও ব্লেয়ার ইরাক আগ্রাসনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ ও শান্তি বিনষ্ট করেছেন কি না, শুনানিতে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। শনিবার থেকে শুরু হয়ে এ গণশুনানি চার দিন চলবে। ইয়াকুব বলেন, 'এই ব্যক্তিরা (বুশ ও ব্লেয়ার) বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আমরা তাঁদের এ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে চাই। প্রমাণ করতে চাই যে তারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন।' তিনি জানান, সম্প্রতি অভিযোগের ব্যাপারে বুশ ও ব্লেয়ারকে জানানো হলেও তাঁরা কোনো সাড়া দেননি। তিনি জানান, দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের নাম প্রতীকী 'যুদ্ধাপরাধীর তালিকাভুক্ত' করা হবে। কুয়ালালামপুর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাত সদস্যদের বিচারক প্যানেলের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ের অধ্যাপক ফ্রাংকিস বয়লেসহ মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ আদালতের সাবেক দুই বিচারক, মার্কিন মানবাধিকারকর্মী আলফ্রেড ল্যামব্রেমন্ট ওয়েবরে ও ভারতের মুম্বাইয়ের আইনজীবী নিলুফার ভাগবত।
ইয়াকুব জানান, ১৯৬৭ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল ও জঁ্য পল সার্ত্রের আহ্বানে গঠিত ভিয়েতনাম যুদ্ধাপরাধ প্যানেলের আদলে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামে আগ্রাসনের মাধ্যমে একাধিক অপরাধ করেছে বলে রায় দিয়েছিল সুইডেন ও ডেনমার্কে গঠিত ওই ট্রাইব্যুনাল। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এর বেশির ভাগই অস্বীকার করে।
ইরাক যুদ্ধের সময় বন্দিদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল আলবার্টো গনজালেসের বিরুদ্ধে আগামী মাসে আরেকটি পৃথক শুনানির পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের। সূত্র : এপি, টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.