ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা হবে

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি কী হবে, তা নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়েছেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত ওই ৯০ মিনিটের বিতর্কে অংশ নিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলেছেন, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা হবে। তবে তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতের ভিন্নতা লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া পাকিস্তানকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করা এবং আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও উঠে এসেছে তাঁদের বক্তব্যে।
রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে এখন পর্যন্ত ‘ফ্রন্ট রানার’ মিট রোমনি বলেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনে সেখানে বিমান হামলা চালানো হবে। ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘আপনাকে এ বিষয়টি বুঝতে হবে যে যদি বারাক ওবামাকে আমরা আবার নির্বাচিত করি, তবে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হয়ে যাবে। যদি আমাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন, তারা কোনোমতেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারবে না।’
ব্যবসায়ী হারম্যান কেইন বলেন, একমাত্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ইরানকে থামানো সম্ভব। তিনি বলেন, অবরোধ আরোপ এবং ইরানের সরকারবিরোধীদের আন্দোলন চাঙা করার মাধ্যমে তেহরানকে কোণঠাসা করতে হবে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার নিউট গিংরিখ ঘোষণা দেন, তিনি ইরানে গুপ্ত হামলা চালাবেন। তিনি বলেন, সেখানে আক্রমণের জন্য বেশ কয়েকটি উপযুক্ত পদ্ধতি রয়েছে। আবার কিছু পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করা হবে নির্বোধের পরিচয়। ওবামা প্রশাসন সব উপযুক্ত পথই এড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে টেক্সাসের কংগ্রেস সদস্য রন পল সামরিক হামলার পক্ষপাতী নন। তিনি বলেন, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া কোনোমতেই যথার্থ কাজ হবে না।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রিক পেরি পাকিস্তানকে সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার দাবি তুলে প্রসঙ্গ পাল্টে দেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছে না। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ‘ডাবল গেম’ খেলার দরুন দেশটিকে সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
রিক পেরির বক্তব্যকে প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার গিংরিখ সমর্থন করলেও সিনেটর রিক স্যানটোরাম দৃঢ়তার সঙ্গে রিক পেরির বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। দেশটি যে আমাদের বন্ধু, সে বিষয়ে দ্বিধান্বিত হওয়া চলবে না। তারা অবশ্যই বন্ধু।’ এ ছাড়া তিনি আফগানিস্তানে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে ‘ওয়াটারবোর্ডিং’ পদ্ধতি ব্যবহারের বিরোধিতা করেন। তবে হারম্যান কেইন ও মিশেল বাখম্যান ‘ওয়াটারবোর্ডিং’ পদ্ধতি পুনর্বহালের পক্ষে মত দেন।
আফগানিস্তানের বিষয়ে ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর জোন হান্টসম্যান ও রন পল উভয়েই বলেন, সেখান থেকে সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। তবে মিট রোমনি ও রিক পেরি বলেন, সেখানে কর্মরত সেনা কর্মকর্তাদের ওপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত।

No comments

Powered by Blogger.