অস্ট্রেলিয়ায় ক্লার্কদের মুণ্ডপাত

সমালোচনার ঝড় বইছে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে। দাবি উঠেছে, ব্যর্থ ক্রিকেটারদের সরিয়ে দেওয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকায় কেপটাউন-লজ্জার পর অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমেও একই সুর। বলা হচ্ছে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনই সময়। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে বাঁচাতে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। দল থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে বয়সী খেলোয়াড়দের। নতুন খেলোয়াড়দের নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।
প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে পিছিয়ে পড়েও জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে এটিকে। দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো ভাসছে উপভোগের আনন্দে। ঠিক এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলছে ক্রিকেটারদের মুণ্ডপাত। পন্টিং, জনসনদের বাদ দেওয়ার কথা উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার বহুল প্রচারিত দ্য অস্ট্রেলিয়ান লিখেছে, ‘অপমানটা পুরো হয়েছে। এখন সময় দায়ীদের উচিত শাস্তি দেওয়ার। প্রথম টেস্টের এই শোচনীয় হারের পর কারও না-কারও বাদ পড়াটা একদমই নিশ্চিত। এখন দেখার বিষয় নিউল্যান্ডসের হারের পরও মিচেল জনসন অথবা রিকি পন্টিং পরের টেস্টের দলে থাকেন কি না।’
রিকি পন্টিংকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ-এ কলামিস্ট ম্যালকম কন লিখেছেন, ‘সময় হয়ে গেছে। রিকি পন্টিংয়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে। ব্র্যাডম্যানের পর অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যানের অনেক সতীর্থই ঠিক বলেছিলেন, বছরের শুরুতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময়ই তাঁর খেলাটা ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাঁর পতনটা খুবই দ্রুত হচ্ছে, অবশ্য ৪৭ রানের ওই বিপর্যয়ে তিনি শুধু একাই ব্যর্থ হননি।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে করণীয়ও বাতলে দিয়েছেন কন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই অধিনায়ক ও নতুন নির্বাচক মাইকেল ক্লার্ককে কিছু নির্মম সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ব্যর্থতার ধারা যদি চলতেই থাকে তবে সেটা চলুক তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়েই, নিজেদের সেরা সময় পেছনে ফেলে আসা খেলোয়াড়দের নিয়ে নয়।’
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এ পিটার রোবাক লিখেছেন, ‘ম্যাচ হারা ও ছুড়ে দেওয়াটা এক জিনিস নয়।

No comments

Powered by Blogger.