তাবলিগি আন্দোলনের গতিধারা by মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

পৃথিবীতে দেশে দেশে যত রকম আন্দোলন হয়েছে বা হচ্ছে, তার অধিকাংশই রক্তাক্ত, সাংঘর্ষিক ও প্রাণঘাতী। ইসলামী বা ধর্মীয় আন্দোলনগুলোর ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। আন্দোলনগুলো গড়ে উঠেছে একেক এলাকায় বা একেক উপমহাদেশ, অঞ্চল বা দেশে। এসব আন্দোলনে লাখ লাখ মানুষ জড়িত হয়েছেন। তাদের আন্দোলন সফল করার জন্য কতজনকে যে জীবন দিতে হয়েছে, তার হিসাব কে রাখে? তবে এদিক থেকে তাবলিগি আন্দোলন ব্যতিক্রম। এ আন্দোলনটি বিশাল হলেও সাংঘর্ষিক নয়। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ এ আন্দোলনে জড়িত থাকলেও আন্দোলনটি শান্তিময়। সাধারণ মানুষ একে ইসলামের দাওয়াতি আন্দোলন বললেও তাবলিগি মুরব্বিরা একে বলে থাকেন ঈমানি আন্দোলন বা ধর্মীয় বিশ্বাসের আন্দোলন। এ আন্দোলনের কর্মীদের বক্তব্য হল : যুগে যুগে পথভ্রষ্ট মানুষকে সুপথে আনার জন্য আল্লাহপাক দুনিয়াতে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। তারা একেকজন অনেক পরিশ্রম করে মানুষকে সুপথে এনেছেন। কিন্তু তাদের তিরোধানের পর পুনরায় মানুষ পথভ্রষ্ট হয়েছে। তখন আবার পথভ্রষ্টদের পথ দেখাতে আরেকজন রাসুলের আবির্ভাব হয়েছে। এ পরিক্রমায় পৃথিবীতে অসংখ্য নবী-রাসুলের আবির্ভাব হয়েছে। কিন্তু শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের পর মানুষ ইসলাম কবুল করে মুসলমান হয়েছে এবং তাকে শেষ এবং শ্রেষ্ঠ রাসুল হিসেবে মেনে নিয়েছে। কাজেই মুসলমানদের বিশ্বাস, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পর পৃথিবীতে আর কোনো নবী আসবেন না। কিন্তু এই প্রিয় ও শেষ নবীর তিরোধানের পর বিপথগামী মানুষকে সুপথ দেখাবে কে? এজন্যই সম্মানিত নবী-রাসুলরা যেভাবে মানুষকে সুপথ দেখাতেন, সেভাবে নবীওয়ালা কাজ জারি রাখার জন্য তাবলিগি কাজ শুরু হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। কবে শুরু হয়েছে এ তাবলিগি কাজ? এ নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী নন এমন একদল গবেষক দেখাতে চায় যে, ধর্মীয় দাওয়াতের এ কাজটি শুরু হয়েছে ভারতের দিল্লির মেওয়াত অঞ্চল থেকে ১৯৩০-এর দশকে। আর কাজটি শুরু করেছেন মাওলানা ইলিয়াস রাহমাতুল্লাহ আলাইহে (তাবলিগকারীদের কাছে হজরতজি হিসেবে সুপরিচিত)। পরে এ সরল আন্দোলনটি দিল্লি থেকে বিস্তারিত হয়ে প্রথমে সারা ভারতে এবং পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। কোটি কোটি মুসলমান আজ এ নীরব ও শান্তিপ্রিয় আন্দোলনে জড়িত। এ অমুসলিম গবেষকরা এভাবে তাবলিগি আন্দোলনকে ব্যাখ্যা করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একে একটি বিশেষ মুসলিম শ্রেণী হিসেবে দেখাতে চান। কিন্তু প্রকৃত ঈমানদার ও বিশ্বাসী মুসলমানরা এদের এ ব্যাখ্যা গ্রহণ করেন না। তারা মনে করেন, ইসলাম ধর্মে অবিশ্বাসী ধর্মীয় স্কলারদের এ ব্যাখ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমন ব্যাখ্যা দিয়ে তারা ইসলামের মধ্যে শ্রেণীকরণের অপচেষ্টায় নিয়োজিত। তাদের মতে, তাবলিগি আন্দোলন কখনোই ১৯৩০-এর দশক থেকে শুরু হয়নি। এ আন্দোলন সৃষ্টির আদিকাল আদম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। যুগে যুগে নবী-রাসুলরা এ কাজে শামিল হয়েছেন। তারা পথভ্রষ্ট মানুষকে দাওয়াত দিয়ে ধর্মের পথে এনেছেন। মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) সে দাওয়াতি কাজটিরই এমনভাবে সহজীকরণ করেছেন, যাতে করে নবী-রাসুলহীন সমাজে সাধারণ মানুষ স্বল্প যোগ্যতা নিয়েও এ কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন। তা না করলে দ্বীনের কাজ বন্ধ হয়ে সব মানুষ আবার ক্রমান্বয়ে ধর্মবিচ্যুত হয়ে যাবে। এ কারণে তারা কাজ করার জন্য বিজ্ঞ আলেম তৈরির পক্ষপাতী নন। তারা মনে করেন, কিছু সুপরিকল্পিত ধর্মীয় যোগ্যতা অর্জন করলেই একজন সাধারণ মুসলমান দাওয়াত প্রদানকারীর যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ইলিয়াস (রহ.) আদিকাল থেকে প্রচলিত ধর্মীয় কাজের একটি সহজীকরণ ছয় উসুলের রুটিন ওয়ার্ক তৈরি করে একে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সহিভাবে দ্বীন চর্চা ও আন্দোলন জিন্দা থাকার ব্যাপারটি জোরালো ও গতিময় হয়েছে। তবে অন্য ধর্মাবলম্বীদের অনেকে আবার তাবলিগকে ধর্মীয় মিশনারির কাজ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। যেভাবে বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টান মিশনারি কাজ চলছে; অনেকে ভুল করে তাবলিগি আন্দোলনকেও ওই রকম মিশনারি কাজের সঙ্গে তুলনা করে ভুল করেন। এ তুলনা একেবারেই সঠিক নয়। কারণ খ্রিস্টান মিশনারি কাজের সঙ্গে তাবলিগি কাজের বড় পার্থক্য হল, খ্রিস্টান মিশনারিরা যেখানে সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী, সেখানে তাবলিগকারীরা বিশ্বাসী গুণতত্ত্বে। খ্রিস্টান মিশনারিরা তাদের আর্থিক ও মানবিক সেবা দিয়ে মানুষকে তাদের ধর্মে দীক্ষিত করে তাদের ধর্মানুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চান। সে কাজ খারাপ নয়। মানুষ তাদের কাজ থেকে অনেক সেবা পান। অন্যদিকে তাবলিগকারীরা সংখ্যা বৃদ্ধিকে কম গুরুত্ব দিয়ে আমল ও ঈমানহারা মুসলমানদের ওপর কাজ করে তাদের প্রকৃত ঈমান ও আমলওয়ালা মুসলমান বানাতে মেহনত করেন। এজন্যই তাদের বিধর্মীদের চেয়ে নিজ ধর্মের লোকদের বেশি দাওয়াত দিতে দেখা যায়। তাবলিগকারীরা কোমল ভাষায় দাওয়াত দিয়ে মানুষকে মসজিদে এনে ধর্মে সম্পৃক্ত থাকার গুরুত্ব অনুধাবন করাতে প্রয়াস পান। এভাবে তাবলিগি মারকাজ থেকে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে এলাকায় এলাকায় গিয়ে তারা নিজ খরচে মুসলমানদের ঈমান ও আমলের দাওয়াত দেন। তারা কাজটিকে নবীহীন সমাজে নবীওয়ালা কাজের গুরুত্ব হিসেবে বিবেচনা করেন। যারা তাবলিগের কাজ করছেন, তারা কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী তা করছেন বলে মনে করেন। তাদের এ বক্তব্যের পক্ষে তারা কোরআন ও হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন। যেমন- পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক থাকা উচিত, যারা কল্যাণের প্রতি আহ্বান করবে এবং সৎ কাজের আদেশ দেবে ও অন্যায় কাজে নিষেধ করবে; এরাই সফলকাম’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত : ১০৪)। তাদের মতে, কোরআনে তাবলিগকারীদের শ্রেষ্ঠত্বও ঘোষিত হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আর কার কথা তার চেয়ে উত্তম হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করে, নিজে নেক আমল করে এবং বলে যে, নিঃসন্দেহে আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন।’ কোরআন ঘোষণা দিচ্ছে, ‘আর যারা আমার জন্য আমার পথে সাধনা ও ত্যাগ স্বীকার করে। আমি অবশ্যই আমার নৈকট্য লাভের পথগুলো প্রদর্শন করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ এরূপ আল্লাহওয়ালা বান্দাদের সঙ্গে আছেন।’ সূরা তওবায় আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এমন তো হতে পারে না যে, সব মুসলমান ঘর থেকে বের হবে। তবে কেন প্রত্যেক দল থেকে কিছু লোক ঘর হতে দ্বীন শিক্ষার উদ্দেশ্যে বের হয় না? এবং যখন তারা নিজের ঘরে ফিরে আসবে তখন নিজস্ব লোকদের আল্লাহর ভয় প্রদর্শন করবে যেন তারাও মন্দ কাজ হতে আত্মরক্ষা করতে থাকে।’ হাদিস শরিফেও তাবলিগি কাজের সমর্থন রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে মানুষকে পৌঁছাতে থাক, যদিও তা একটিমাত্র আয়াত হয়।’ অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর পথে যার পা দুটি ধূলিধূসরিত হবে, আল্লাহপাক জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম করে দেবেন।’ এভাবে কোরআনের আরও অনেক আয়াতে এবং অনেক হাদিসে তাবলিগি কাজর গুরুত্ব স্বীকৃত হয়েছে। যুগ যুগ ধরে তাবলিগি কাজ একই গতিধারায় প্রবাহিত হয়ে আসছিল।
বাংলাদেশে তাবলিগি কার্যক্রম খুবই জোরালো। লাখ লাখ মানুষ এ কাজে সম্পৃক্ত। একযুগ আগেও তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমায় প্রায় অর্ধকোটি লোকের সমাগম হতো। দিন দিন লোকসংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১১ সালের পর থেকে ৬৪ জেলাকে দুই ভাগে ভাগ করে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা করা হয়। ২০১৮ সালে ঢাকার টঙ্গীর তুরাগপাড়ের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে ১২ জানুয়ারি। ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। এই ইজতেমা অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ও অন্য সবকিছুর আয়োজনে তাবলিগকারীরা সব সময় সরকারি সহায়তা পান। তাবলিগকারীরা রাজনীতিবিমুখ হওয়ায় যে দলই সরকারে থাকুক, তারা তাদের সহায়তা করেন। তারা প্রকাশ্যে রাজনীতি করেন না। এ নিয়ে এদের বিরুদ্ধে কোনো কোনো পক্ষের সমালোচনাও আছে। তবে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে তাবলিগেও মাঝেমধ্যে হালকা পরিবর্তনের হাওয়া আনতে অনেক সময় প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাবলিগকারীদের হেঁটে দাওয়াত দেয়ার পুরনো পদ্ধতিতে তারা এখনও পরিবর্তন আনেননি। তাবলিগি নিছাব, হায়াতুস সাহাবাসহ কতিপয় সুনির্দিষ্ট কিতাব ছাড়া তাবলিগি মুরব্বিরা তাদের অনুসারী কর্মীদের বেশি লেখাপড়ায় আগ্রহী করেন না। তাদের মতে, দ্বীনের দাওয়াতি কাজ করার জন্য বিজ্ঞ আলেম হওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশাল বিশাল দেশ কাঁপানো ঘটনায়ও তাবলিগের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য-বিবৃতি দেয়া হয় না। সেজন্য অনেকে এদের মাটির নিচের এবং আসমানের ওপরের কার্যাবলি নিয়ে ব্যস্ত বলে সমালোচনা করতে প্রয়াস পান। দিল্লির তাবলিগের কেন্দ্রীয় মুরব্বিদের এখন এসব বিষয় নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। তাবলিগি কার্যক্রম একেবারেই অপরিবর্তিতভাবে চলবে, নাকি এ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে তারা মাঝেমধ্যে কল্যাণকামী পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করবেন, সে বিষয়টি তাদের মাথায় আনতে হবে। তবে তাবলিগে নেতৃত্ব নিয়ে যুগ যুগ ধরে কখনোই কোন্দল ছিল না। সম্প্রতি এক্ষেত্রে কিছু নেতিবাচক বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের ১৩ সদস্যবিশিষ্ট শূরা সদস্যের মধ্যে মতের অমিল হওয়া, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ সাদের নিজেকে প্রধান সিদ্ধান্তদাতা ঘোষণা করা, তার কিছু বক্তব্য নিয়ে কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য, দেওবন্দি আলেম-ওলামা ও বাংলাদেশি তাবলিগের শূরা সদস্য এবং তাবলিগপন্থী আলেম-ওলামাদের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি করেছে। এ কারণে তাবলিগপন্থীদের একাংশ ২০১৬ সাল থেকে মাওলানা সাদের বিরোধিতা শুরু করেন। এরই প্রভাব পড়ে এ বছর ১০ জানুয়ারি যখন মাওলানা সাদ বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেয়ার জন্য ঢাকা বিমানবন্দরে আসেন। তার আগমনে বাধা দেয় কওমি মাদ্রাসাগুলোর সংগঠন বেফাক। তারা বিমানবন্দরে জড়ো হয়ে রাস্তাঘাট অচল করে দিলে বহু মানুষ বিপদে পড়ে। এ রকম কর্মকাণ্ড তাবলিগের শান্তিবাদী চরিত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কঠোর নিরাপত্তায় মাওলানা সাদ কাকরাইল মসজিদে অবস্থান করেন এবং পরে সরকারি হস্তক্ষেপে দুই বিরোধীপক্ষের মধ্যে আলোচনাসাপেক্ষে মাওলানা সাদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে আপাতত এ বিষয়টির ফয়সালা হয়। সাধারণ ধর্মপ্রিয় মানুষ তাবলিগের মুরব্বিদের মধ্যে মতবিরোধ দেখতে চান না। তাবলিগ যেভাবে যুগ যুগ ধরে মাসোয়ারার ভিত্তিতে কাজ করে আসছিল, সেটাই তারা পছন্দ করে আসছিলেন। কাজেই আমরা সাধারণ মুসলমান হিসেবে তাবলিগের মুরব্বিদের অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করব, আপনারা দয়া করে দ্বীনের স্বার্থে নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের মতো নেতৃত্বের কোন্দলে জড়াবেন না। এতে তাবলিগি কাজের শান্তিবাদী চরিত্র কলুষিত হবে। আপনারা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দ্বীন-ধর্মের কাজ করুন। মানুষকে অব্যাহতভাবে ধর্মের পথে ডাকুন। আর যুগের সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে তাল না মেলালেও একেবারেই যুগবিমুখ থাকবেন কিনা, সে সম্পর্কেও সুস্থিরভাবে দ্বীনের কল্যাণ অধিকতর গতিময় করার কথা ভেবে কাজ করুন। মনে রাখবেন, তাবলিগ করুক বা না করুক, সাধারণ মুসলমানরা তাবলিগকারীদের শ্রদ্ধা করেন। তারা বিশ্বাস করেন, তাবলিগকারীরা নেতৃত্বলোভী বা অর্থলোভী নন। কাজেই আপনারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়িয়ে তাবলিগের মতো একটি অহিংস শান্তিবাদী ঈমানি আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, akhtermy@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.