ভুতুড়ে হোটেল

ওয়েলসের এই হোটেলটি কে বা কারা তৈরি করেছেন তা নিয়ে কোনো ইতিহাস না থাকলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৯০০ বছরের পুরনো ইতিবৃত্ত। এটি ছিল মূলত একটি মদের দোকান। পরে খদ্দের বেড়ে যাওয়াতে এটি পরিণত হয় হোটেলে। তখন হোটেলের নিচের ফ্লোরটি কোটরুম ছিল, যেখানে সামান্য ভেড়া চুরির অপরাধেও মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তি দেয়া হতো বলে জনশ্রুতি আছে।
এই স্কিরিড মাউন্টেন হোটেলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিপ্লবের ইতিহাস। ১৪০০ সালের কথা। ওয়েলসের অধিবাসীরা ইংল্যান্ডের রাজা চতুর্থ হেনরির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নামে। বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে প্রায় ১৮০ জন বিদ্রোহীকে বন্দি করে স্কিরিড মাউন্টেইন হোটেলে এনে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। এরপর থেকে হোটেলটিকে ঘিরে নানা অতিপ্রাকৃত ঘটনার কথা শোনা যায়। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, স্কিরিড মাউন্টেন হচ্ছে কয়েকটি ভূতের আবাসস্থল। এখানে রাতযাপনকারী অনেকেই নানা সময়ে ভয়ঙ্কর সব অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। হোটেলে থাকতে আসা অনেকেই আচমকা বিভিন্ন কড়িকাঠে মানুষের লাশ ঝুলতে দেখেছেন। অনেকে আব ার বলেছেন এমন অদ্ভুত অনুভূতির কথা, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মনে হয়েছে কেউ যেন তার গলায় অদৃশ্য দড়ি পরাচ্ছেন। একসময় আইটিভির ‘এক্সট্রিম ঘোস্ট স্টোরিজ’ নামের ডকুমেন্টারি টিভি সিরিজেও স্কিরিড মাউন্টেনের ভুতুড়ে ঘটনাগুলো নিয়ে ছবি বানানো হয়েছিল।আমান বাবু

No comments

Powered by Blogger.