দুঃসহ বৈষম্য ও অক্সফামের হিউম্যান ইকোনমি by জি. মুনীর

সম্প্রতি ড্যাভোসে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে অক্সফাম প্রকাশ করেছে একটি নতুন প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছ- বিশ্বের সবচেয়ে গরিব তিন কোটি ৬০ লাখ মানুষের হাতে যে সম্পদ রয়েছে, একই পরিমাণ সম্পদ রয়েছে মাত্র আটজন শীর্ষধনীর হাতে। এই তিন কোটি ৬০ লাখ গরিবতম লোকের জনগোষ্ঠীতে রয়েছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। অক্সফামের ‘অ্যান ইকোনমি অব নাইনটি নাইন পারসেন্ট’ শীর্ষক এ রিপোর্টে আরো দেখানো হয়েছে- আগে বিশ্বে ধনী-গরিবের মধ্যকার যে আশঙ্কাজনক ব্যবধান ছিল, তা এখন আরো বেড়ে গেছে।
এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়, বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও অতি-ধনী তথা সুপার-রিচ লোকেরা কিভাবে বাড়িয়ে তুলছে এই বৈষম্য সঙ্কট। রিপোর্ট মতে, এরা কৌশলে তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে রাজনীতির ওপর প্রভাব খাটানোর মাধ্যমে কর দেয়া এড়িয়ে চলছে। রিপোর্টে আহ্বান রাখা হয় আমাদের বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য, যাতে অর্থনীতি শুধু গুটিকয়েক ভাগ্যবানদের জন্যই নয়, সব মানুষের জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে। অক্সফাম এই প্রতিবেদনের জন্য বিশ্ব সম্পদ সম্পর্কিত আরো উন্নততর নতুন ডাটা সংগ্রহ করেছেÑ বিশেষ করে সংগ্রহ করা হয়েছে ভারত ও চীনের সম্পদের ডাটা বা তথ্য-উপাত্ত। এসব তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়Ñ আগে বিশ্বের গরিব অর্ধেক জনগোষ্ঠীর হাতে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল, এখন তার চেয়েও কম রয়েছে। গত বছর বিশ্ব জনগোষ্ঠীর গরিবতর অর্ধাংশের হতে যে সম্পদ ছিল, তা ছিল বিশ্বের ৬২ জন ধনী ব্যক্তির সম্পদের সমান। অক্সফামের ডাটা সংগ্রহের সময় ৯ জন অতি ধনীর হাতে সম্পদ ছিল বিশ্বজনগোষ্ঠীর গরিবতর অর্ধাংশের মোট সম্পদের পরিমাণের সমান। ভারতে সম্পদের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি চরম আকার ধারণ করেছে। গত বছরের জরিপে দেখা গেছে, ভারতে ১ শতাংশ শীর্ষ ধনীর দখলে দেশের মোট সম্পদের ৫৮ শতাংশ। এটি বৈশ্বিক হারের চেয়েও বেশি। বিশ্বের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ধনীর হাতে রয়েছে বিশ্বের মোট সম্পদের ৫০ শতাংশ। সর্বশেষ জরিপ মতে, ভারতের এই অভিজাত শ্রেণীর সম্পদ এক বছরে বেড়েছে ২০.৯ লাখ কোটি রুপি, যা ২০১৭ সালের ইউনিয়ন বাজেটের পরিমাণের প্রায় কাছাকাছি। ভারতের শীর্ষ ১০ শতাংশ ধনীর হাতে রয়েছে দেশের ৭৩ শতাংশ সম্পদ। দেশটির ৬৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী হচ্ছে এর সবচেয়ে গরিব অর্ধাংশ। এই সময় তাদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ। অক্সফাম ইন্ডিয়ার সিইও নিশা আগরওয়াল বলেন- ‘বিলিয়নিয়ারের সংখ্যার বিস্ফোরণ অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠার কোনো ইঙ্গিত নয়। বরং এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার একটি উপসর্গ।
যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, দেশের জন্য খাবার উৎপাদন করেন, অবকাঠামো নির্মাণ করেন, কাজ করেন কলকারখানায়, তাদের কষ্ট হয় সন্তানের পড়ার খরচ, ওষুধের খরচ, পরিবারের সদস্যদের দু-বেলা খাবার কেনার খরচ জোগাড় করতে। বেড়ে চলা এ বৈষম্য গণতন্ত্রকে অবদমিত করছে এবং বাড়িয়ে তুলছে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি।’ অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানিইমা বলেন, ‘যেখানে বিশ্বের প্রতি ১০ জনের ১ জনকে প্রতিদিন মাত্র দুই ডলার দিয়ে জীবন কাটাতে হয়, সেখানে এত কমসংখ্যক কয়জনের হাতে এত বিপুল সম্পদ থাকা একটি অশ্লীল ব্যাপার। এই বৈষম্যের কারণে লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য নিয়ে বসবাস করতে হয়। এতে আমাদের সমাজে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্বলতর করে তুলছে গণতন্ত্রকে। বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষকে পেছনে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এদের মজুরি নিশ্চল করে রাখা হয়েছে, যদিও করপোরেট বসেরা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ ডলারের বোনাস; সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা কমিয়ে আনা হচ্ছে, যেখানে করপোরেশনগুলো ও অতিধনী ব্যক্তিরা কৌশলে কর দেয়া এড়িয়ে চলছেন; সাধারণ মানুষের দাবি আমলে নেয়া হয় না, কারণ সরকার গান গায় বড় বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও অভিজাত ধনীদের পক্ষে।’ অক্সফামের রিপোর্টে দেখা গেছে, কিভাবে ভেঙে পড়া অর্থনীতির দেশগুলো সবচেয়ে গরিবতম সমাজের মানুষের অর্থ প্রবাহিত করছে অভিজাত ধনীদের দিকে। সমাজের এই গরিবতমদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। সবচেয়ে ধনীরা সম্পদ জমা করছে এমন এক অবাক করা হারে যে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের মানুষ দেখতে পাবে এর প্রথম ‘ট্রিলিয়নিয়ার’ ব্যক্তিটিকে। তখন বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা হবে বেশুমার। একজন ‘ট্রিলিয়নিয়ার’ বাস্তবে কেমন হবেন, তা হয়তো আমাদের অনেকেই আন্দাজও করতে পারব না।
একজন ট্রিলিয়নিয়ার হবেন ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক। তিনি যদি প্রতিদিন ১ মিলিয়ন তথা ১০ লাখ ডলার করে খরচ করেন, তবে ওই ১ ট্রিলিয়ন খরচ করতে তার লাগবে ২৭৩৮ বছর। প্রশ্ন হচ্ছে- তিনি এতদিন বেঁচে থাকবেন, এমনটিও কল্পনা করা যায় কি? এই যে সম্পদের বৈষম্য, তা কিন্তু বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণ। ফলে গোটাবিশ্বেই এখন বিরাজ করছে এক ধরনের অস্থির বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। যুদ্ধবিগ্রহ আর রাজনৈতিক হানাহানি। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতের্তির নির্বাচন এবং যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট সম্পর্কিত নির্বাচনে এই বৈষম্য ছিল একটি উল্লেখযোগ্য আলোচ্য বা বিবেচ্য বিষয়। বিশ্বের প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজন বাস করে এমন এক দেশে, যেখানে গত ৩০ বছরে ধনী-গরিবের বৈষম্য আরো বেড়েছে। ১৯৮৮-২০১১ সময়ে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে মাত্র ৬৫ ডলার। অপর দিকে, শীর্ষ ধনী ১ শতাংশ মানুষের এই সময়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১১,৮০০ ডলার, অন্য হিসাবে ১৮২ গুণেরও বেশি। নারীরা কখনো কখনো কম মজুরির কাজে নিয়োজিত হয়। এরা কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার। বর্তমানে যে প্রবণতা চলছে, তেমনটি চলতে থাকলে নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পেতে আরো ১৭০ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অক্সফাম এই প্রতিবেদন তৈরির খাতিরে ভিয়েতনামের পোশাকশিল্পে কর্মরত নারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সেখানে নারীরা দিনে ১২ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করে। এরা বিশ্বের বড় বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জন্য পোশাক তৈরি করে ঘণ্টায় আয় করে এক ডলার। এসব কোম্পানির সিইওদের বিশ্বের অন্যান্য কোম্পানি সিইওদের মতো দেয়া হয় সবচেয়ে বেশি বেতন। গরিব দেশগুলোতে প্রতি বছর করপোরেট ট্যাক্স এড়ানো হয় ১০ হাজার কোটি ডলার। এই অর্থে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি শিশুর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, যারা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সেই সাথে প্রতি বছর স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে ঠেকানো দেয়া যায় ৬০ লাখ শিশুর মৃত্যু।
অক্সফাম প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কী করে অতি ধনীরা যথাযথ ট্যাক্স দেয়া এড়ানোর জন্য ট্যাক্স-হেভেন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এবং তাদের বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরে পাওয়া নিশ্চত করতে ব্যবহার করে একটি ওয়েলথ ম্যানেজার বাহিনী। এই সুযোগ পায় না সাধারণ সঞ্চয়কারীরা। সাধারণ বিশ্বাসের বিপরীতে অনেক অতি ধনী বা সুপার-রিচ ‘সেলফ-মেইড’ নন। অক্সফামের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের অর্ধেকই তাদের সম্পদ পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা এ সম্পদ পুঞ্জীভূত করেছেন এমন সব ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে যেগুলো দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে জড়িত। এই প্রতিবেদনে আরো দেখানো হয়েছে- কিভাবে বড় বড় কোম্পানি ও সুপার-রিচ ব্যক্তিরা তাদের অর্থ ব্যবহার করে সরকারের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং সরকারের নীতিনির্ধারণকে তাদের অনুকূলে আনতে। উদাহরণ টেনে বলা যায়, ব্রাজিলের বিলিয়নিয়ারেরা নির্বাচনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছে এবং সাফল্যের সাথে লবি করে ট্যাক্সবিল কমাতে পেরেছে। অপর দিকে নাইজেরিয়ার তেল করপোরেশনগুলো নিশ্চিত করতে পেরেছে জেনারাস ট্যাক্স ব্রেকস। উইনি বিয়ানিইমা বলেন, ‘কোটি কোটি মানুষকে পেছনে ফেলে রাখা হয়েছে অনেক দেশে। এদের বলির পাঁঠা বানানো যাবে না। এর একটা সমাধান দরকার। এ কারণে অক্সফাম নতুন ধরনের সাধারণ চেতনা জাগিয়ে তুলছে, আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে। যাতে করে একটি দেশের অর্থনীতি কাজ করে দেশের বেশির ভাগ মানুষের কল্যাণে, গুটিকয়েক ভাগ্যবানদের উপকারের জন্য নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকারগুলো প্রাযুক্তিক পরিবর্তন ও বাজারশক্তি মুখে অসহায় নয়। রাজনীতিবিদেরা যদি জিডিপির প্রতি মোহাবিষ্টতা বন্ধ করেন এবং শুধু গুটিকয়েকের দিকে না তাকিয়ে সব নাগরিকের কল্যাণের দিকে তাকান, তবে সবার জন্য উন্নততর ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব।’ অক্সফাম একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছে অধিকতর মানবিক অর্থনীতির তথা হিউম্যান ইকোনমির জন্য। সেখানে বলা আছে : সরকারকে দারিদ্র্য বিমোচনে সম্পদের প্রতি অতি মনোযোগ দেয়ার অবসান ঘটাতে হবে।
সরকারের উচিত হবে সম্পদ ও উঁচু আয়ের মানুষের ওপর করের হার বাড়ানো ও সবার জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অধিকতর সমসুযোগ তথা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য আরো তহবিল সৃষ্টি করা।সরকার শুধু প্রতিযোগিতা না করে এর বদলে বরং সহায়তা করবে। সরকারকে একসাথে কাজ করতে হবে শ্রমিকদের ভালো মজুরি পাওয়া নিশ্চিত করা, কর এড়ানো বন্ধ করা এবং করপোরেট ট্যাক্স কমানো ও বিনিয়ন্ত্রণ বন্ধ করার ব্যাপারে। সরকার সহায়তা দিবে সেইসব কোম্পানিকে, যেগুলো শুধু শেয়ার মালিকদের স্বার্থ না দেখে শ্রমিক ও সমাজের কল্যাণে কাজ করবে। মাল্টিবিলিয়ন ইউরো-কোম্পানি Mondragon-এর মালিকের ৭৪,০০০ সবল শ্রমিক। এতে কর্মরত সবাই ভালো বেতন পান। কারণ, এর বেতন কাঠামোয় নিশ্চিত করা হয়েছে- এর সর্বনিম্ন বেতনের ৯ গুণের বেশি হবে না সর্বোচ্চ বেতনের পরিমাণ। সরকারকে নারীর জন্য কল্যাণবহ অর্থনীতি নিশ্চিত করতে হবে। দূর করতে হবে নারীর অর্থনৈতিক প্রগতির পথের বাধা- যেমন : লেখাপড়ায় বাধা, মজুরি না দিয়ে বাড়তি কাজের বোঝা চাপানো ইত্যাদি ধরনের কাজ। অক্সফাম ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, হিউম্যান ইকোনমি গড়ে তোলায় তাদের নিজেদের ভূমিকাটি পালন করতে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের রয়েছে সচেতনতাপ্রবণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা। এ বছর এই ধারণাটি থিম হিসেবে গ্রহণ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। বিশ্বের সাধারণ মানুষও এই হিউম্যান ইকোনমির ক্যাম্পেইনে যোগ দিতে পারে www.evenitup.org-এর মাধ্যমে। আমাদের এই বাংলাদেশে জিডিপি নিয়ে সরকারের বড়াইয়ের অন্ত নেই। যদিও এই জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে আছে নানা বিতর্ক। বিশ্বব্যাংক বলছে এক রকম, বিভিন্ন সংস্থা বলছে আরেক রকম, আর সরকার বলছে ভিন্ন কথা। জিডিপির প্রবৃদ্ধির সূচক বাড়লেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। বরং বাড়ছে। আজ বিতর্ক উঠেছে- জিডিপি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সূচক কিনা? সে বিতর্ক বাদ দিলেও আমাদের দেশেও সম্পদের বৈষম্য যে বাড়ছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ধনী আরো ধনী হচ্ছে, গরিব আরো গরিব হচ্ছে। ব্যাংকের সম্পদ চলে যাচ্ছে গুটিকয়েক ধনীর হাতে। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রক্ষেপ নেই। আমাদের অক্সফামের পরামর্শিত এই হিউম্যানি ইকোনমির কথা ভাবতে হবে। সেটি নিয়ে কিন্তু আমাদের মাথায় কোনো ভাবনা নেই। অথচ ‘হিউম্যান ইকোনমি’ নামের এই অর্থনীতি শ্রমিক শ্রেণী ও সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। সম্পদের বৈষম্য কমিয়ে আনবে। লুটেরাদের লুটপাট বন্ধ করবে। দেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

No comments

Powered by Blogger.