ফিরে দেখা ২০১২- কেলেঙ্কারি-দেশে-বিদেশে সমালোচনা

বড় বড় কেলেঙ্কারির একটি বছর পার হলো। দুর্নীতি ও অনিয়মের এসব অভিযোগে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বেকায়দায় পড়তে হয়েছে সরকারকে। এসব ঘটনার জন্য কঠিন আর্থিক ও রাজনৈতিক মূল্য দিতে হয়েছে ক্ষমতাসীন দলকে।
এক মন্ত্রীকে সরাতে হয়েছে; হারাতে হয়েছে আরেকজন মন্ত্রীকে। জেলে যেতে হয়েছে কর্মরত এক সচিব ও সাবেক এক সেনাপ্রধানকে। বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার ঘটনা বিব্রত করেছে প্রধান বিরোধী দলকেও।
তবে আশার কথা হলো, সব দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা দেরিতে হলেও আমলে নিয়েছে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বছরের শেষ দিকে দ্বিধা কাটিয়ে সক্রিয় হতে দেখা গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)। দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে সরকারের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা দুদক প্রতিষ্ঠার পর থেকে আর দেখা যায়নি। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের আনা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অনুসন্ধানে এই ভিআইপিদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপরতাতেই ধরা পড়েছে সোনালী ব্যাংকের ঋণ লোপাট ও ডেসটিনি গ্রুপের মতো মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কম্পানির প্রতারণার ঘটনা। দুটি ঘটনাতেই মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারে তৎপর ছিল দুদক। এমএলএম কম্পানির প্রতারণা অনুসন্ধানে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে সরকারের আরেকটি সংস্থা জয়েন্ট স্টক কম্পানির রেজিস্ট্রার অফিস। এমএলএম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন নিয়ে তোড়জোড় ছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও, যদিও তা বেশি দূর এগোয়নি।
সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনাটি ছিল বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি, যা প্রকাশ পেয়েছে সদ্য সমাপ্ত বছরের প্রথম দিকে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল ২০১১ সালে। অভিযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে সরকার খুব একটা আমলে না নিলেও এ বছরের মাঝামাঝিতে মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে প্রথমে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে এবং পরে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়। রেলওয়ের ঘুষ বাণিজ্যের টাকা নিয়ে রেলমন্ত্রীর এপিএস মন্ত্রীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন- এ অভিযোগের পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে রেল মন্ত্রণালয় ছাড়তে হয়।
গেল বছরের আর্থিক কেলেঙ্কারির মধ্যে অন্যতম রেলওয়েগেট কেলেঙ্কারি। গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে তখনকার রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলওয়ের এক মহাব্যবস্থাপকসহ চারজনকে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ আটকের মধ্য দিয়ে এ কেলেঙ্কারির প্রকাশ। মধ্যরাতে রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের প্রধান গেটে ৭০ লাখ টাকাসহ বিজিবি তাদের আটক করে। এপিএসের গাড়িচালক আজম খান ঘুষের টাকাসহ গাড়িটি পিলখানায় ঢুকিয়ে দেন। আটককৃতদের ছেড়েও দেওয়া হয় তখন। তবে সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তদন্ত আর এগোয়নি। কথিত ঘুষের নগদ টাকা কোথায় জমা হয়েছে কিংবা গাড়িচালক আজম খান কোথায় তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বিজিবির কাছে আটকদের দাবি অনুযায়ী, রেলে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে নেওয়া ওই অর্থ সুরঞ্জিতের বাসায়ই যাচ্ছিল। এ অভিযোগের পর ১৬ এপ্রিল 'আমি আমার দল, সরকার কিংবা দলের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বোঝা হতে চাই না' বলে পদত্যাগ করেন সুরঞ্জিত। পরের দিন ১৭ এপিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
'রেলওয়েগেট কেলেঙ্কারি' নামে গণমাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া এ ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে দুদক এপিএস ফারুক, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ মৃধা ও সুরঞ্জিত পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দুদক তদন্ত করে এক প্রকার নির্দোষ বলেই স্বীকার করে সুরঞ্জিতকে। তবে গত ৭ অক্টোবর অজ্ঞাত স্থান থেকে এপিএসের গাড়িচালক আজম খানের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয় একটি বেসরকারি টেলিভিশনে। তাতে ওই অর্থ যে সুরঞ্জিতের বাসায়ই যাচ্ছিল এবং সুরঞ্জিত পুত্রের ব্যবসায়ও যে ঘুষের টাকা পুঁজি হিসেবে বিনিয়োগ করা হয়েছে- এমন দাবি করেন গাড়িচালক। যদিও সুরঞ্জিত এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কী, তা জানা যায়নি। তবে পদ্মা সেতু নির্মাণে ঠিকাদার কম্পানি নির্বাচনে ঘুষের লেনদেনের প্রতিশ্রুতি বা ভবিষ্যৎ দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরির অভিযোগ ছিল বিশ্বব্যাংকের। এর ফলে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ অভিযোগের সন্তোষজনক তদন্ত না হলে প্রতিশ্রুত ১২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে না বিশ্বব্যাংক।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির এই অভিযোগ প্রথম আসে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ২০১১ সালে। তবে সরকার তা আমলে নেয়নি। অবশ্য দুদক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এক পর্যায়ে প্রাথমিক প্রতিবেদনে সৈয়দ আবুল হোসেনকে নির্দোষ বলেও উল্লেখ করে দুদক। সর্বশেষ ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের অনুসন্ধানেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি দুদক। ১৭ ডিসেম্বর সাবেক সেতুসচিবসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২৬ ডিসেম্বর সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া ও প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
দুদকের প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে দুবার ঢাকা ঘুরে যাওয়া বিশেষজ্ঞ দলের কাছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় করবে কি না, তা নির্ভর করবে এ দলটির প্রতিবেদনের ওপর। দুদকের নেওয়া সর্বশেষ পদক্ষেপের বিষয়ে বিশ্বব্যাংককে জানিয়ে ইতিবাচক সাড়ার আশায় বসে রয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। তবে বছর শেষ হয়ে গেলেও ওয়াশিংটন থেকে কোনো সুখবর আসেনি।
বিদায়ী বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল ডেসটিনি গ্রুপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে গত মার্চে শুরু হয়ে পুরোদমে চলে গত অক্টোবর পর্যন্ত। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ডেসটিনি গ্রুপের গ্রাহকদের হাজার হাজার কোটি টাকা বেহাত হওয়ার আশঙ্কার পাশাপাশি অবৈধ ব্যাংকিং, উচ্চ সুদ ও কমিশনের বিনিময়ে আমানত সংগ্রহ, জনগণের অর্থ আত্মসাৎ ও মুদ্রাপাচারের আশঙ্কা করা হয়। গ্রুপটির শীর্ষ কর্তারা এখনো কারাগারেই। সমবায় অধিদপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখনো ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। আদালত এসব ব্যক্তিসহ গ্রুপটির ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৯২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার রায় দিয়েছেন। তবে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বিনিয়োগের বিবেচনায় প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে গ্রুপটি সচল রাখার উদ্যোগও নেয় সরকার। যদিও নানা পথে হেঁটে আর নানা আইন ঘেঁটেও এখনো প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
২০১২ সালে ব্যাংক খাতের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনাটি। দেশের ব্যাংক খাতের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় ঋণ অনিয়মের এই ঘটনাটি গত বছর প্রকাশ পেলেও আরো দুই-আড়াই বছর আগে এই ঋণ অনিয়মের সূত্রপাত বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন সময়ের বিবৃতিতে উঠে এসেছে।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা সোনালী ব্যাংক প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট। ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে সোনালী ব্যাংকের একাধিক পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাংকটির রূপসী বাংলা হোটেল (সাবেক শেরাটন) শাখায় সংঘটিত ঋণ অনিয়মের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এ সময় তাঁরা জানান, ব্যাংকটির রূপসী বাংলা হোটেল শাখার কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সাভারের অখ্যাত হলমার্ক গ্রুপসহ আরো পাঁচটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রায় তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে হলমার্ক একাই নিয়েছে দুই হাজার ৬৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
প্রায় তিন মাস ধরে এ ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধান চালায় দুদক। এ সময় সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য-কর্মকর্তা, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী গ্রুপের কর্মকর্তাসহ মোট ৭৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি। ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদকালে ব্যাংকটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ন কবীর স্বীকার করেন 'ওপর মহলের চাপে' তিনি ঋণ অনুমোদন করেছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গত ৪ অক্টোবর এ ঘটনায় হলমার্কের সাত ও সোনালী ব্যাংকের ২০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ঠুকে দেয় দুদক।
মামলার তিন দিনের মাথায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও মহাব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল) তুষার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ১৪ অক্টোবর ধরা পড়েন রূপসী বাংলা হোটেল শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান। ১৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তানভীর মাহমুদের স্ত্রী জেসমিন ইসলাম। এরপর দফায় দফায় রিমান্ড ও জবানবন্দি গ্রহণ চলতে থাকে। দুদকের মামলায় সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোনালী ব্যাংকের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাবেক মহাব্যবস্থাপক) মীর মহিদুর রহমান, ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থায়ন বিভাগের ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সাফিজ উদ্দিন আহমেদকে।
গত ২৭ ডিসেম্বর হলমার্কের দখলে থাকা প্রায় ১১ হাজার একর সরকারি জমি উদ্ধারে অভিযান শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। এর পর দিনই আবার ওই জমি দখলের চেষ্টা করায় তানভীর মাহমুদের শ্যালক আবদুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের ভাষ্যমতে, হলমার্ক গ্রুপ প্রায় ২৩১ কোটি টাকার মতো নগদ পরিশোধ করেছে এবং সাড়ে ৪৬ একর জমি বন্ধক দিয়েছে। আরো প্রায় ১৩ একর জমি বন্ধক দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানিয়েছিল ব্যাংকটি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২২ নভেম্বর দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দুদকের উদ্যোগে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ঘটনা এটাই প্রথম। সিঙ্গাপুরে পাচার করা ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার ফেরত আনা হয়েছে এবং ৯ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত আনার চেষ্টার করা হচ্ছে। ফেরত আনা এ অর্থ এখন সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় দুদকের একটি হিসাবে রয়েছে বলেও দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান জানান।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ থেকে ২০০৬-এর মধ্যে কোকো অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরের ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ২০ কোটি টাকা পাচার করেন বলে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে সাজাও দিয়েছেন। মুদ্রাপাচারের এ মামলায় কোকোর ছয় বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 'আরাফাত রহমান (কোকো) ও ইসমাইল হোসেন (সায়মন) তাঁদের বিরুদ্ধে দুদক ২০০৯ সালে মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় একটি মামলা করেছিল। ওই মামলা রায় হয় এ বছরের জুন মাসে। এরপর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সিংঙ্গাপুরের কোর্ট অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে এ টাকা বাংলাদেশে এসেছে বলে তিনি জানান।'
ঘটনাটি বিরোধী দল বিএনপিকে বেশ বেকায়দায় ফেলে। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা একে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের চরিত্র হননের চেষ্টা বলে অভিযোগ করেন।

No comments

Powered by Blogger.