বিয়েতে রমরমা আয়োজন

সাজ-পোশাকে ঐতিহ্যের ছোঁয়া বিয়ের পুরো আয়োজনে গত বছর বেশ একটা পরিবর্তন দেখা গেছে। পেটানো কাজের সোনালি জরির ঐতিহ্যবাহী লাল ও মেরুন বেনারসি শাড়ি বেছে নিতে দেখা গেছে বিয়ের কনেকে। তাঁরা ব্লাউজেও ছিলেন সমান মনোযোগী।
খাটো হাতার পাশাপাশি অনেকেই পরেছেন লম্বা হাতার ব্লাউজ। নকশায় ব্যবহার করা হয়েছিল পুরোনো ধাঁচের পলকি, কুন্দন ও লেস। ওড়নাটা ছিল শাড়ির রঙের সঙ্গে মেলানো।
২০১২ সালে বিয়েতে ভারী গয়নার একটা চল দেখা গেছে। তবে গা ভরা গয়না নয়; গলায় চোকার ধাঁচের ভারী গয়না এবং নাকে নথ পরেছেন কনেরা। হাতে ঝুমকা রাখি গত বছরই নজর কেড়েছে।
সাজে প্রাধান্য পেয়েছে হালকা সাজ। কিন্তু লাল লিপস্টিক, লাল নেইলপলিশ আর লাল আলতার ব্যবহার করলেও সাজে ন্যাচারাল লুকটাই পছন্দ করতে দেখা গেছে। চোখের মেকআপে কালো, তামা ও ব্রোঞ্জ রঙের আইশ্যাডো দিয়ে স্মোকিভাব এনেছেন অনেকে। আবার উজ্জ্বল রংও ব্যবহার করেছেন। চুলটাকে কার্ল করে খোলা রেখেছেন অনেকে।
শুধু বিয়ের সাজে নয়, হলুদের সাজেও বৈচিত্র্য ছিল গত বছর। যেমন-তেমন নয়, বরং একটু ভাবনাচিন্তা করেই তাজা ফুল ও পুঁতি দিয়ে হলুদের গয়না করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার কুন্দন দিয়েই হলুদের গয়না করেছেন।
বিয়ে কিংবা হলুদে বরের পছন্দের তালিকায় ছিল লম্বা ঝুলের পাঞ্জাবি। সাদার মধ্যে সাদা কাজ, লাল, মেরুন বা সবুজের মতো গাঢ় রঙের পাঞ্জাবি বেছে নিয়েছেন ছেলেরা।

মঞ্চসাজ ও অনুষঙ্গ
গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ থাকে মঞ্চসজ্জা ও ডালা-কুলা সাজানোকে ঘিরে। মঞ্চ ও তত্ত্ব পাঠানোর ডালাগুলো নানাভাবে সাজানো হয়েছে। আগের বছরগুলোয় তত্ত্ব মানে শাড়ি বা গয়না সাজানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ২০১২ সালে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ডালা সাজানো। বাঁশ ও বেতের ডালা থেকে কাঠ ও আয়রনের ট্রে এবং শোলার ডালার চাহিদা দেখা গেছে। কাতান, জারদৌসি কাজের কাপড়, কুন্দন ও পুঁতি দিয়ে ডালা সাজানো হয়েছে। মঞ্চসাজে পাশ্চাত্য ধাঁচ যেমন বেছে নিতে দেখা গেছে, আবার একটু মোগল ধরনের, রাজকীয় প্রাসাদ ধরনের মঞ্চও গত বছর খুব চলেছে। আর বিয়েতে বাড়ির ছোট-বড় সবাইকে একই পোশাক পরারও বেশ চল ছিল। বিয়েতে আংটি নিয়ে নানা ধরনের খেলা ছিল।

No comments

Powered by Blogger.