ঈশ্বরদীর লোকোমোটিভ রানিংশেডটি জরাজীর্ণ

নির্মাণের ৯১ বছরেও পাবনার ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ রানিংশেডের উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি। এ কারণে শেডটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ রানিংশেড থেকে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে বিভিন্ন চলাচলকারী যাত্রী, মালবাহী ও উদ্ধারকারী মোট ৬৮টি ট্রেন মেরামত করা হয়।
এসব ট্রেন এই শেড থেকে তেল সংগ্রহ (রি ফুয়েলিং) করে। শহরের ফতেমোহামঞ্চদপুরে ১৯২১ সালে নিজস্ব পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর রেলওয়ের দ্বিতীয় বৃহৎ এই লোকোমোটিভ শেডটি নির্মাণ করা হয়। ইঞ্জিন, কারখানার যন্ত্রপাতি, জমি, স্থাপনাসহ এখানে দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। শেডের ভেতরে রয়েছে ১০টি রেললাইন। ইঞ্জিনের হালকা কাজের জন্য দুটি ডক রয়েছে। কিন্তু বড় ধরনের সংস্কারের জন্য এখানে ডক নেই। বৃষ্টির সময় শেড এলাকায় হাঁটুসমান পানি জমে যায়। তখন ইঞ্জিন থেকে তেল পড়ে বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে শেডএলাকা পিচ্ছিল হয়ে যায়।
সূত্র জানায়, শেডের টিনের চালগুলো ফুটো হয়ে গেছে। একটি পাম্প থেকে পাইপের মাধ্যমে শেডে পানি সরবরাহ করা হয়। দীর্ঘদিনের পুরনো এসব পাইপে মরিচা জমে থাকায় পানির চাপ কম। ফলে ইঞ্জিনে পানি দিতে দ্বিগুণ সময় লাগে। অনেক সময় ময়লাযুক্ত পানির কারণে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। শেডে আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। অনেক বাল্ব দুই বছর ধরে নষ্ট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেডের সীমানা প্রাচীরের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। শেডের ভেতরের রেললাইনগুলোর অনেক স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। এসব লাইনে পাথর নেই বললেই চলে।
শেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.