চবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে সরকার সমর্থক প্যানেল জয়ী

.চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সরকারী দল সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন ‘হলুদ দল’ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘সাদা দল’ ও নিজ দলের শত ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ১১টি পদের সবটিতে বিজয়ী হয়েছেন এ প্যানেলের প্রার্থীরা।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আবদুল গফুর জনকণ্ঠকে বলেন, নির্বাচনে ৭৯৩ শিক্ষকের মধ্যে ৬৯২ জন তাঁদের কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সম্পাদক পদসহ আটটি পদে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-বাম সমর্থিত নীল দল। অন্যদিকে সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ সাতটিতে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষক প্যানেল।
নীল দলের জয়ীরা হলেন : সভাপতি পদে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ (৭০৪), কোষাধ্যক্ষ পদে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ (৬৯০), যুগ্ম সাধারণ পদে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা. জিয়াউর রহমান (৭০২)। সদস্য পদে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ফারুক (৬৫২), কবি জসীম উদ্দীন হলের প্রভোস্ট ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান (৭৮২), অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত (৭৩০), অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান (৬৫৪) ও ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী (৬১৩)।
সাদা দলের জয়ীরা হলেন : অধ্যাপক মামুন আহমেদ (৬৫২) সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেন খান (৬৩৮)। সদস্য পদে কলা অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন (৭০৩), ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত (৬৭৪), পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম (৬৭৩), পরিসংখ্যান, প্রাণপরিসংখ্যান ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোঃ লুৎফর রহমান (৭১৪) এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা নুর ইসলাম (৬১৯)।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতিবছরই ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়ে থাকে। ১৫টি কার্যকরী পরিষদ পদে এ নির্বাচন হয়। নির্বাচিত কমিটি এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১১টি পদেই জয়ী হয় আওয়ামী-বাম সমর্থিত শিক্ষকদের নীল দল।

No comments

Powered by Blogger.