কৃষকবান্ধব সরকারের প্রতি অনুরোধ by মোঃ আবদুল বাছেদ

বর্তমান সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা 'কৃষকবান্ধব'। অর্থাৎ কৃষক ও কৃষির ক্ষেত্রে তাদের সুনজর অন্য যে কোনো সরকারের চেয়ে বেশি। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর অবদান সবসময় অগ্রগণ্য। তিনি কৃষকের জন্য ১০ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করিয়েছেন। এটা যাদের জমি আছে এবং যারা বর্গাচাষি সবাই এ ভর্তুকি পেয়েছেন।


সারের দাম আগের চেয়ে অনেক কম। সর্বোপরি খাদ্যমূল্যের দাম বেশ কয়েক বছর ধরে গরিবের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। তাই কৃষকরা এবার অন্য ফসল বাদ দিয়ে ধান চাষে নিমগ্ন হয়েছিলেন। সঙ্গে করেছিলেন ভুট্টার চাষ। এবার ধান ও ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা অত্যন্ত কায়ক্লেশে, মজুরি ও সেচ খরচ বেশি দিয়ে ধানের আবাদ করেছিলেন। ফলেছে মাঠভরা ধান, গোলাভরা ধান। কিন্তু এখন সেই অগি্নমূল্য ধান পানির দামে বিক্রি হচ্ছে। কেনার কেউ নেই। তাই মধ্যস্বত্বভোগীরা বলছে, ইউপি নির্বাচনের আগে তারা ধান কিনবে না। তারা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই বাজারে ধানের ক্রেতা নেই, দামও নেই। ঠিক যেন বর্তমান শেয়ারবাজারের মতো শোচনীয় অবস্থা কৃষকদের। তাহলে কৃষক যাবে কোথায়, করবেটা কী?
এ সময়ে সরকারের করণীয় হলো_ গ্রাম পর্যায়ে ধান সংগ্রহ করে গুদামজাত করা। এখন ধান কিনলে ভবিষ্যতে চাল আমদানি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কৃষকও ধানের ভালো বাজার পেল। খাদ্য সমস্যাও দূরীভূত হলো। আপামর জনগণ সহনীয় দামে চাল কিনতে পারবে। তাতে উভয় কুল রক্ষা পাবে। সরকারের 'কৃষকবান্ধব' কথাটির সত্যতা প্রমাণিত হবে। আর রক্ষা পাবে কৃষককুলও। সরকার যদি এখনই ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করে এবং কৃষককে ন্যায্যমূল্য পেতে সহায়তা করে তবে ফিরবে তাদের মুখে অমলিন হাসি। আর মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে কৃষককে রক্ষা করতে পারলে জনগণই সরকারকে বাহবা দেবে। আর তো দেরি করে লাভ নেই। কারণ তাদের এখনই ধান বিক্রি করতে হবে। বাজার খরচ, ছেলের পড়াশোনার খরচ, পরিবারের চিকিৎসা খরচ, সামনের দিনে জুড়তে হবে নতুন আবাদ।
সেন্ট্রাল রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা
 

No comments

Powered by Blogger.