টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-শুধু মুঠোফোনের মাধ্যমে সন্ত্রাস করা যায় না

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উত্সাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো; বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে।


এম রহমান আপন, ব্যবসায়ী, লালবাগ, ঢাকা
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকের কাছেই মোবাইল ফোনসেট আছে। তারা কোনো না কোনো কোম্পানির সিম ব্যবহার করেন। প্রতিটি সিমেরই তথ্য অপারেটর কোম্পানির কাছে থাকার কথা। আগামী তিন মাস সব ধরনের সিম বিক্রি বন্ধ রাখতে হবে এবং এ সময় বর্তমানের ব্যবহার্য সব সিমের ডাটাবেজ আবার তৈরি ও আপডেট করতে হবে। অপারেটর কোম্পানিগুলোকে শুধু ব্যবসার কথা চিন্তা করলে হবে না। সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা চিন্তা করে অনিয়মিত সিমগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
মামুন সরকার, শিক্ষার্থী, সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ
মুঠোফোনে সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনের জন্য সরকার যে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে, তাকে সাধুবাদ জানাই এবং এ বিষয়ে একটি কঠোর আইন ও এর যথাযথ প্রয়োগ চাই।
মঞ্জু খন্দকার, সমাজসেবক, চুয়াডাঙ্গা
মুঠোফোন হচ্ছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, হুমকি ও নগ্নছবি প্রেরণসহ সব ধরনের হয়রানির মোক্ষম হাতিয়ার। সারা দেশে যে পরিমাণ সংযোগ ব্যবহূত হচ্ছে, তার সবকটির রেজিস্ট্রেশন করা নেই। বাস্তব অবস্থায় এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে একদিনের জন্য সব সংযোগের কার্যকারিতা বন্ধ করে দিয়ে পরবর্তী সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ওই সংযোগ চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো যদি সংযোগগুলোর তথ্য আপডেট রাখে, তবে অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হবে।
মীম, শিক্ষার্থী, রাজবাড়ী
সরকারের এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। এই পদক্ষেপ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে অপরাধ অনেক ক্ষেত্রে কমে যাবে এবং এর ফলাফল ইতিবাচক হবে।
মো. নুরুল আমীন খন্দকার, ব্যাংকার
ঠাঠারিবাজার, ঢাকা
এ বিষয়ে সরকার যে পদক্ষেপের কথা ভাবছে, তা ভাবার সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন সময় হয়েছে এ বিষয়টিকে কার্যকর করা। সিম বিক্রির একটা নীতিমালা থাকতে হবে। নিবন্ধনহীন কোনো সংযোগই চালু রাখা যাবে না।
আফরোজা রীনা, চাকরিজীবী, মাদারীপুর
মুঠোফোন একদিকে যেমন তথ্য আদান-প্রদান সহজ করেছে, তেমনি বিভিন্ন বিড়ম্বনা যেমন হুমকি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। তাই এসব অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বিশ্বজিত্ সেন, কবি ও গল্পকার, চট্টগ্রাম
সন্ত্রাস বন্ধে বিলম্বে হলেও সরকারের বোধোদয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এরই মধ্যে অনেক জীবন, সংসার ও পরিবার মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মুঠোফোনে সন্ত্রাসের কারণে। আশা করব, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে অনেক জীবন, সংসার ও পরিবার সম্ভাব্য ক্ষতির হাতে থেকে বেঁচে যাবে। এ ব্যাপারে মুঠোফোন অপারেটরদেরও অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে বলে মনে করি।
রহিমা আক্তার, লেখক, তেজগাঁও, ঢাকা
মোবাইল সংযোগ কেনার ব্যাপারে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে সরকার যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তাকে অভিনন্দন জানাই। দলীয় প্রভাব বন্ধ হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু আইন জারি না করে তাকে সঠিকভাবে নিরপেক্ষগতিতে ব্যবহার করতে হবে।
সজীব কুমার তালুকদার, শিক্ষার্থী
আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
সরকার মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে, এটা ভালো উদ্যোগ। তবে সরকারকে মনে রাখতে হবে, শুধু মুঠোফোনের মাধ্যমে সন্ত্রাস করা যায় না। একই সঙ্গে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন এই আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয়।
সবুজ, ব্যবসায়ী, গাজীপুর
মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ জরুরি। মুঠোফোন যোগাযোগ-ব্যবস্থা সহজ করে আমাদের উপকার করেছে। তেমনি এর অপব্যবহারে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। এ জন্য এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মো. আনোয়ার হোসেন, চাকরিজীবী, সাভার, ঢাকা
শুধু মুঠোফোনের সন্ত্রাস নয়, বর্তমান সরকার কোনো সন্ত্রাস বন্ধেই আন্তরিক নয়। মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধ করতে সরকারের উচিত অপারেটর কোম্পানিগুলোর ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগ করা। নিবন্ধনবিহীন ফোন সংযোগ যেন চালু না থাকে।
কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মানবাধিকার কর্মী
রিকাবীবাজার, মুন্সিগঞ্জ
এ রকম একটি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে এবং জনস্বার্থের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। জনগনকেও শাস্তির বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
ফরিদ আহমেদ, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
মুঠোফোনের হুমকিতে মানুষকে ভীত না হয়ে পুলিশের সাহায্য গ্রহণের উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং মুঠোফোনের অপব্যবহারকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নিবন্ধনবিহীন সংযোগগুলো বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
অনিক, শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি
সরকারের এ পদক্ষেপকে আমি স্বাগত জানাই। আশা করি এ পদক্ষেপ শুধু প্রচার-প্রচারণার মধ্যে যেন সীমাবদ্ধ না থাকে। এর সাফল্য কামনা করি।
মনিরা খন্দকার, গৃহিণী, উত্তরা, ঢাকা
আমি নিজেও মুঠোফোনে সন্ত্রাসের একজন ভুক্তভোগী। এ অবস্থায় আমি বুঝতে পারছি না কী করতে হবে। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা পেলে উপকৃত হব।
সিরাজুল ইসলাম মাহির, শিক্ষার্থী
মীরকাদিম, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ
আইন যত কঠোর হয়, অপরাধী তত দক্ষ হয়। এ আইনের যেন অপবব্যহার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নার্গিস আক্তার, গৃহিণী, রায়েরবাজার, ঢাকা
মুঠোফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি, ভয়ভীতি ও অশ্লীল কথা ও ছবি পাঠানোসহ অপরাধ দমনে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এ পদক্ষেপকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি একজন ভুক্তভোগী হিসেবে এর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। এই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমটির অপব্যবহার চলতে দেওয়া
যায় না।
বিকাশরঞ্জন কর, শিক্ষার্থী, ময়মনসিংহ
সন্ত্রাসী কার্যক্রম গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। আর মুঠোফোনে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সহজ। সন্ত্রাসীরা এর অপব্যবহার করছে। সরকারের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।
মির্জা মাহবুবুল ইসলাম
সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার (অবঃ)
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ, ঢাকা
সরকারের এই পদক্ষেপ খুবই ভালো। নিবন্ধনবিহীন সংযোগ যেন সক্রিয় না থাকে এবং এ বিষয়ে সরকার যেন কঠোর হয়।
পলাশ, শিক্ষার্থী, ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ
সন্ত্রাসীদের উত্পাতে দেশ ও দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। মুঠোফোন তাদের একটি সহজ মাধ্যম। সরকারের সঙ্গে সঙ্গে অপারেটর কোম্পানিগুলোকেও এসবের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।
তুষার কান্তি বণিক, চাকরিজীবী, মাদারীপুর
মুঠোফোনে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করে বাস্তবে এর নিরপেক্ষ প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
অভিষেক চক্রবর্তী, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
সন্ত্রাসীরা এখন মুঠোফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও হুমকি দেয়ায় অনেক মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মুঠোফোনে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। এ আইনের যেন সঠিক প্রয়োগ হয়।
মো. জিল্লুর রহমান পারভেজ, ব্যবসায়ী
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ
মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধ করা সরকারের অবশ্যই উচিত। জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে মুঠোফোনের সংযোগ দেওয়া উচিত। ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ যেন গ্রাহক হতে না পারে।
শিবুপ্রসাদ মজুমদার, ব্যবসায়ী, কলাবাগান, ঢাকা
মুঠোফোনে সন্ত্রাসের বিষয়ে সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাকে আমি স্বাগত জানাই। আমি মনে করি, এ বিষয়ে সরকার আরও কঠোর হবে।
মাহমুদ হাসান, শিক্ষার্থী, বীরগাঁও, দিনাজপুর
মুঠোফোনে অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধে সরকারের পদক্ষেপকে আমি ইতিবাচক মনে করি। সরকার যদি এটাকে সহজভাবে না দেখে কঠোরভাবে দেখে তাহলে অবশ্যই ফল হবে বলে আমি মনে করি।
রতন দেব, মুঠোফোন ব্যবসায়ী, নওগাঁ
এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হলে অপারেটর কোম্পানিগুলোকে সবচেয়ে বেশি আন্তরিক হতে হবে। তাদের বাদ দিয়ে এই আইন কার্যকর হবে না।

No comments

Powered by Blogger.