সময়ের প্রতিবিম্ব-পঁচিশের রাতে স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনা by এবিএম মূসা

একাত্তরের কালরাত্রির বীভৎসতা ও নৃশংসতা নিয়ে অতীতে বহুবার বেদনাভরা স্মৃতি রোমন্থন করেছি। পঁচিশের সকালে ৩২ নম্বরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের ঘরে বঙ্গবন্ধুর পায়চারি আর সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে শেষ সাক্ষাত্ নিয়ে নতুন করে লেখার কিছু নেই। পঁচিশের সন্ধ্যারাত্রি থেকে ২৭ তারিখ সকাল পর্যন্ত সংঘটিত বিভীষিকার কথাও অনেক বলেছি।


তাই আজকে একটুখানি ভিন্ন আঙ্গিকে পঁচিশের পটভূমিতে ব্যতিক্রমী আলোচনা করব। বিষয়বস্তু হলো, পাকিস্তান ভেঙে দুই টুকরো হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়টি এমনভাবে গণহত্যার মাধ্যমে হলো কেন? বিনা রক্তপাতে আপসে রাজনৈতিক বিভক্তির মাধ্যমে হতে পারত কি না? কেন ৩০ লাখ বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হলো দেশের মাটি? এক লাখ মা-বোনকে কেন ইজ্জত দিতে হলো? আমার নতুন ধরনের ভাবনার মূলে রয়েছে, গত কয়েকটি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের বিচিত্র ইতিহাস আলোচনায় কোনো কোনো দেশের জনগণের আমাদের মতোই ‘যুদ্ধ করে’ জেতার ও হারার কাহিনি। আবার কোনো জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম বিকল হয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী অপবাদ নিয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে।
আমার উপরোক্ত বিচিত্র ভাবনাটি নিয়ে নিকট অতীতে কতিপয় পাকিস্তানি বন্ধুর সঙ্গেও বিভিন্ন সময়ে নানা উপলক্ষে আলোচনা হয়েছে। সব আলোচনার বিচিত্র পটভূমি ছিল, পাকিস্তান ভেঙে কেন স্বাভাবিক পন্থায় ‘ভাই-ভাই’ ঠাঁই-ঠাঁই রীতি অনুসরণে বাংলাদেশ সৃষ্টি হলো না। একাত্তরের ২৫ মার্চে হত্যাযজ্ঞের সূচনা করে একই পদ্ধতিতে নয় মাস কেন পাকিস্তানি শাসকেরা একটি একত্রে থাকায় অনিচ্ছুক জাতিকে বঙ্গবন্ধুর ভাষায় চিরতরে ‘দাবিয়ে’ রাখতে চেয়েছিল। উপরোক্ত ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুরোনো পাকিস্তানি সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রায় সবাই ছিলেন প্রগতিশীল, সাংবাদিকতার স্বাধীনতার জন্য লড়াই ও পাকিস্তানি স্বৈরশাসনবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনের সাথি।
আলোচনার সূচনা করছি ৩০ বছর আগে সর্বশেষ পাকিস্তান সফর দিয়ে। আমি ১৯৭৮ সালে ব্যাংককে জাতিসংঘের আঞ্চলিক জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক পদে যোগ দেওয়ার পর কেনিয়ায় গিয়েছিলাম। রাজধানী নাইরোবিতে ছিল আমার প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ পরিবেশ কার্যালয়ের (ইউনেপ) প্রধান কার্যালয়। ব্যাংকক থেকে নাইরোবি যাওয়ার পথে করাচিতে দুই দিন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পাকিস্তানসহ প্রায় দুই ডজন এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ আমার কর্মপরিধির অন্তর্ভুক্ত ছিল। সুতরাং সফরটি কর্মতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় অসুবিধা ছিল না। করাচি বিমানবন্দরের পাশে ছিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাধীন হোটেল মিডওয়ে। নাইরোবি থেকে জেদ্দা হয়ে করাচি এসে রাতে মিডওয়েতে রাত্রি যাপন করে সকালেই খোঁজ করলাম পুরোনো পরিচিত ও একসময়ের অন্তরঙ্গ বন্ধুদের। অতীত কালের সংগ্রামী সাথিদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটল পিআইএর জনসংযোগ কর্মকর্তা বন্ধু ওমর কোরেশীর (একসময়ের ক্রিকেট কমেন্টেটর) মাধ্যমে। বিকেলে পূর্বসাথিরা সবাই জড়ো হলাম করাচি প্রেসক্লাবে। সেই ঘরোয়া জমজমাট বৈঠকে প্রাথমিক আলোচ্য বিষয় ছিল দুই দশকের স্মৃতি রোমন্থন জাবর-কাটার।
শুরুটি ছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিয়ে, শেষ হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাগমনের পর দেওয়া ভাষণের একটি বাক্য দিয়ে। সবারই মূল জিজ্ঞাস্য ছিল, কেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ২৪ বছরে ভৌগোলিক দূরত্ব, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক অসাম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে পশ্চিম পাকিস্তানের সব চিন্তাশীল মহল ও সুশীল সমাজ জানতে, বুঝতে ও উপলব্ধি করতে পেরেছিল—আর একত্রে থাকা যাবে না। অন্যদিকে দুই অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টিকারী শাসকগোষ্ঠীও ভাবছিল, আর একত্রে থাকার প্রয়োজন নেই। তার পরও কেন দুই অনিচ্ছুক জাতি বা গোষ্ঠীকে কৃত্রিম বন্ধনে জড়িয়ে রাখার জন্য বিশ্ব ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় সন্নিবেশিত হলো? পাকিস্তান কি আপসে দুই ভাগ হতে পারত না? অর্থা পশ্চিম পাকিস্তানি-নিয়ন্ত্রিত সামরিক-বেসামরিক শাসকগোষ্ঠী কি ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবতা বিবেচনা করে পূর্ব পাকিস্তানকে একটি পৃথক রাষ্ট্ররূপে মেনে নিতে পারত না? এই প্রশ্নটির উত্তর পেলেই পঁচিশের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি শাসকদের বর্বর হত্যাকাণ্ড, ৩০ লাখ বাঙালি নিধন ও গণহত্যা, সর্বশেষ স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয় নিয়ে গবেষণার শেষ অধ্যায়টি লেখা যেত। ‘বীরের রক্তস্রোত ও মাতার অশ্রুধারায়’ কেন বাঙালিকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হলো কেন?
সেদিনের চিন্তাশীল ও জটিল আলোচনায় বন্ধু সাংবাদিকেরা এ নিয়ে আলোচনার শুরুতেই নিজস্ব চিন্তাধারা ব্যাখ্যা করেছেন—কেন নয় মাস ‘গণহত্যা’ হয়েছিল। তাঁদের দু-তিনজন আসরার আহমদ, সাফদার কোরেশী ও তদানীন্তন অতীতে ঢাকায় মর্নিং নিউজ-এ কর্মরত সাংবাদিক বন্ধুরা সেই কালরাত্রির বীভৎসতা ও বিভীষিকা স্বচক্ষে অবলোকন করেছেন। তাঁরা অনেকে ঢাকা ত্যাগের আগে রাস্তাঘাটে অসংখ্য মৃতদেহ, ভস্মীভূত ঘরবাড়ি, ঢাকাত্যাগী জনতার স্রোত দেখেছেন। তবে বিদ্যমান সামরিক শাসনামলে বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাদার সাংবাদিক হয়েও সেই বিবরণ করাচি-লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে ফিরে এসে লিখতে পারেননি। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, ‘পরে লেখেননি কেন, কিংবা এখন লিখছেন না কেন?’ কেউ-ই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। তবে কেউ কেউ একটু-আধটু লিখছেন বইকি এবং এ কারণে আজকে ‘ক্ষমা চাওয়ার’ প্রশ্নটি আলোচিত হচ্ছে। আরও একটি তথ্য তখন জেনেছিলাম। একাত্তরেই ছোটখাটো সভা-সেমিনারে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমালোচনা করার দায়ে লাহোরের পাকিস্তান টাইমস-এর আবদুল্লাহ মালিক সামরিক আদালতের বিচারে বেত্রাঘাতের শাস্তি পেয়েছেন। আই এ রহমান, বর্তমানে পাকিস্তান মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি জেল খেটেছেন। তাঁদের এই ক্ষুদ্র প্রতিবাদ প্রচার পায়নি, তত্কালীন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি, এমনকি সর্বমহলে এখনো অজানা রয়ে গেছে। এসব কাহিনি শোনা গেল মূল আলোচনার ফাঁকে—খণ্ডিত আকারে। আসল প্রশ্ন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের নিয়ন্ত্রণাধীন সেনারা কেন হায়েনার মতো নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল? পূর্ব পাকিস্তানে ‘ঔপনিবেশিক শাসন’ কোনো লুকোচুরির বিষয় ছিল না। সেই উপনিবেশ কেন দখলে রাখতে এত শক্তি প্রয়োগ, রক্তপ্রবাহ, নির্বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি শাসক চক্র।
শেষ বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণাত্মক রূপ নিল যখন একজন প্রশ্ন করলেন, ‘দেশের পূর্বাংশকে অস্ত্র প্রয়োগে পশ্চিমাংশের সঙ্গে সংযুক্ত রাখা কি পশ্চিম পাকিস্তানিদের জন্য জরুরি ছিল? অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল? বস্তুত, এই কুহেলিকার উদ্ভব হয়েছিল আমার কয়েকটি প্রশ্নের মাধ্যমে। প্রশ্নের প্রকার সুরটি ছিল দুই রকম। এক. ২৪ বছরে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক আর বেনিয়ারা ছোবড়া করে ফেলেছিল। শাঁস খেয়ে সেই ছোবড়া ছুড়ে ফেলে দিলেই তো হতো। দুই. সত্তরের নির্বাচনের পর তো বোঝাই গিয়েছিল যে বাঙালি আলাদা হয়ে যেতে চায়। পশ্চিমা শাসনের বিরুদ্ধে তাদের রুখে দাঁড়ানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। ছয় দফা যদিও কাগজে-কলমে স্বাধিকারের দাবি ছিল, মূলত অন্তর্নিহিত বক্তব্য ছিল সার্বভৌমত্ব। বস্তুত, স্বাধীনতা তথা প্রচ্ছন্ন সার্বভৌমত্ব বনাম স্বাধিকার নিয়ে আলোচনার কারণে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক ব্যর্থ পরিহাসে পরিণত হয়েছিল। তার পরও প্রশ্ন উঠতে পারে, পাকিস্তানি শাসকেরা কেন অন্তত স্বাধিকারের দাবিটি মেনে নিল না? বন্ধু মিনহাজ বার্না একজন ভুট্টো অনুসারী হয়েও সহজ ব্যাখ্যা দিলেন।
‘অতি সহজ উত্তর, এখানে এক ধরনের “ইগো” তথা মর্যাদাবোধ বা অহমিকা এবং রাজসিক ও সামন্তবাদী মানসিকতা পাকিস্তানের শাসন নিয়ন্ত্রকদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। তাঁদের কাছে তখন “পূর্ব পাকিস্তান” একটি উপনিবেশ।’ জমিদারির একটি তালুক সম্পর্কে এখানে একটি ঐতিহাসিক পার্থক্যের উদাহরণ দিতে পারি। তারা সেই উপনিবেশের জমিদারি হাতছাড়া করতে চায়নি। অন্য ধরনের উদাহরণ দিই, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা শক্তিগুলো প্রায় সব কয়টি উপনিবেশ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিল। কারণ সেসব দেশে নিংড়ানো বস্তুগুলোতে কোনো রস অবশিষ্ট ছিল না। লুণ্ঠনের সামগ্রী অবশিষ্ট ছিল না। মূল পাকিস্তানি শাসকেরা এই সত্য উপলব্ধি করলেও একটি উপনিবেশ হাতছাড়া হয়ে যাবে, অহংবোধের কারণে তা মেনে নিতে পারেনি। যেমন আমাদের গাঁয়ে-গেরামে অনাবাদি জমির দখল নিয়েও মালিকানার দাবিদারেরা দাঙ্গা-ফ্যাসাদ আর খুনোখুনি করেন। উদাহরণটি খেলো মনে হতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানিদের ঔপনিবেশিক চিন্তাধারার সঙ্গে মিল রয়েছে বললে একেবারে অগ্রাহ্য করা যায় না।
সেদিনের অন্তরঙ্গ আলোচনায় সুদূর অতীতে, নিকট বর্তমানে স্বাধীনতার দাবিদার অন্যান্য দেশ প্রসঙ্গও উত্থাপিত হয়েছে। প্রথমেই ভারত বিভক্তি নিয়ে অনেকেই বললেন, ‘আপসে’ এক দেশ ভেঙে দুটি হলো, এই বিভক্তির প্রাক্কালে উপমহাদেশে রক্তের স্রোত বয়ে গেছে। কিন্তু কেউ বললেন না যে অবিভক্ত ভারতের কতিপয় প্রদেশ ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়েছিল। আবার পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করতে পাকিস্তানি কায়দা অনুসরণ করে ইন্দোনেশীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাই বলা হয় তিমুর স্বাধীন হয়েছে। বিপরীত তুলনা হচ্ছে, কাতাঙ্গার স্বাধীনতার দাবি নাইজেরিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে যে আকাঙ্ক্ষার রক্তাক্ত ইতি ঘটিয়েছে। অপরদিকে শ্রীলঙ্কার তামিলদের প্রসঙ্গ আলোচনা করলে বিচ্ছিন্নতার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তামিলেরা বলেন, স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনযুদ্ধ। আবার যা পাওয়ার তা নিয়ে নিঃশেষ করে ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম ও স্পেন স্বেচ্ছায় তাদের উপনিবেশগুলো থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে।
পাকিস্তানি শাসকেরা এমনটি করেনি বলেই বাঙালি বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য নয়, পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যই অস্ত্র হাতে নিয়েছিল। ভারত থেকে পাকিস্তান বিভক্তির মাধ্যমে আলাদা হয়েছিল, বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বলা হয় না। ইউরোপ ও সোভিয়েত রাশিয়ার উদাহরণ সামনে আনতে পারি। যেসব রাষ্ট্রের সমাহারে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর যুগোস্লাভিয়া গঠিত হয়েছিল, সেগুলো আলাদা হয়ে কয়েকটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন করেছে। আবার এই বিচ্ছিন্নতাকে স্বাধীনতাযুদ্ধও বলা হয়, কারণ প্রচুর রক্তপাত গণহত্যা ও গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথক রাষ্ট্রগুলোর জন্ম হয়েছে। সেই গণহত্যাকে এখন যুদ্ধাপরাধ বলা হচ্ছে। আজ বিশ্ব আদালতে সেই অপরাধের বিচার হচ্ছে, যেমন বিচার আজকে আমরা দাবি করছি।
উপরোক্ত ব্যাপক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই আমার সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, ‘২৫ মার্চ পাকিস্তানিদের উপনিবেশবাদী মনোভাব’ আমাদের ‘মুক্তির সংগ্রাম’ স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনা করেছিল। সেই কালরাত্রির বিভীষিকা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিল, এবার শেষ সংগ্রামের মুহূর্ত এসেছে। বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের মুক্তির সংগ্রাম’ অবশেষে সশস্ত্র ‘স্বাধীনতার সংগ্রামের’ সূচনা করেছিল।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.