উন্নয়ন-নির্বাচনী এলাকা উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও সংবিধান by তোফায়েল আহমেদ

সমপ্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় জাতীয় সাংসদদের স্ব স্ব সংসদীয় এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকারসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৪৬৯১ দশমিক ১৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্য থেকে যা বোঝা গেল তার অর্থ দাঁড়ায়,


সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকা এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যরা ব্যতীত একক নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত সাংসদদের প্রত্যেকের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার জন্য গড়পরতা ১৫ কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দ এ প্রকল্পে রাখা হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ২০১৪ সালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সাংসদেরা এ অর্থ ব্যবহারের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব দেবেন এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তাদের প্রস্তাব বা সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্প বা উপ-প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করবে।
মহাজোট সরকারের এক বছর সময়ের মধ্যে মূলত গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নকে সামনে রেখে আর্থিক ও এলাকা পরিমাপে এটিকে বৃহত্তম প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এ জাতীয় একটি প্রকল্প যে সময়ে এবং যেভাবে অনুমোদিত হলো, তাতে এ নিয়ে বহু রকমের বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। এ প্রকল্পকে ঘিরে যেসব প্রশ্ন ও বিতর্ক সামনে আসে তার কিছু নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
সাংবিধানিক ব্যাখ্যা: দেশে প্রতিবছর শত শত প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়, এসব প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে সংবিধানকে টেনে আনা হয় না। কারণ সরকারের মূল তিনটি অঙ্গ শাসন, আইন ও বিচার বিভাগের ভূমিকা ও কর্ম এবং কোনো প্রক্রিয়ায় ওই সব কর্ম সম্পাদন হবে তার নির্দেশনা সংবিধানে স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে। সংবিধান যেভাবে আইনসভা ও আইনসভার সদস্যদের ভূমিকা ও কার্যের নির্দেশনা দিয়েছে, সংবিধানের পঞ্চম ভাগের ৬৫ থেকে ৯২-এ ২৭টি ধারা-উপধারায় তা বিস্তারিতভাবে বিধৃত। এ ধারাসমূহের বিশ্লেষণে এবং তার আগের চতুর্থভাগে নির্বাহী বিভাগসংক্রান্ত সংবিধানের ধারা-উপধারা যা ৪৮-৬৪ নম্বর আর্টিকেলে ধারণ করা হয়েছে, তাতে জাতীয় সংসদ বা সাংসদদের জন্য যে কর্মকাণ্ড নির্ধারিত, তার একটি তালিকা নিম্নরূপ হতে পারে।
(ক) রাষ্ট্রের যাবতীয় আয়-ব্যয় অনুমোদন,(খ)সংসদের মধ্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা গ্রুপ কর্তৃক সরকার গঠন, যা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মনোনীত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত হবে। তা ছাড়া রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন ও সংসদীয় কার্যক্রমের অন্তর্গত,(গ)সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সরকারের সব কাজকর্মের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, (ঘ)সংসদীয় কার্য নির্বাহে বিভিন্ন কমিটিতে অংশগ্রহণ এবং কমিটির মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজকর্ম পর্যালোচনা, তদন্ত, অনুসন্ধান ও অবলোকন এবং (ঙ)দেশের ভূখণ্ডের অন্তর্গত যেকোনো অংশের বা সরকারের যেকোনো কর্মকাণ্ডের ওপর যেকোনো সময় একজন সাংসদ প্রয়োজনে যেকোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন।
একজন সাংসদ সরকারি দলের অন্তর্ভুক্ত হলেও তিনি সরকারের নির্বাহী কর্মের অংশীদার নন। ক্ষমতার পৃথক্করণ ও ভারসাম্য নীতির আলোকে (সংবিধানের অনুচ্ছেদ-২২) সরকারের নির্বাহী কর্ম ও আইনসভার সদস্যদের এবং নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগের কর্মের বিভাজনের রূপরেখা স্পষ্ট এবং দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ঐতিহ্যের অন্তর্গত।
সংবিধানের শাসন ও আইন বিভাগের কর্মনির্দেশনার সূত্রে একজন সাংসদের স্থানীয় বা জাতীয় কোথা ও সংসদের বাইরে কোনো প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ ব্যয়ে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার কোনো বিধানই পাওয়া যায় না। উপরন্তু জাতীয় সংসদ সদস্যের এ জাতীয় সম্পৃক্তির কারণে সংবিধানের অপর কিছু অংশ বা ধারা সম্পূর্ণ বা আংশিক অকার্যকর ও সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে।
প্রশাসনিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন: বাংলাদেশের সংবিধান উন্নয়ন ও প্রশাসনের জন্য জাতীয় সরকারের নিচে ‘প্রশাসনিক একক’-এর স্বীকৃতি দিয়েছে। এ এককগুলো আবহমানকাল ধরে বিরাজিত এবং এখানে সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো ও জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বশীল জনপ্রতিষ্ঠানের কাঠামো, যথা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভা প্রভৃতি রয়েছে। তাদের উন্নয়ন ও সেবাকর্ম নির্বাহের জন্য নিজস্ব আইন কাঠামো জনবল এবং কিছু প্রতিষ্ঠিত নিয়মকানুন রয়েছে। ‘জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকা’ স্থায়ীভাবে নির্ধারিত কোনো উন্নয়ন ও প্রশাসনিক একক নয়, প্রতিটি নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুসারে সারা দেশের জন্য ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ করে থাকেন। ‘নির্বাচনী এলাকা’ শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশে ব্যবহারযোগ্য নয়।
রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব: এমপি মূলত একজন দলীয় ব্যক্তিত্ব। সমগ্র নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র তাঁর সমান সমর্থন থাকে না। তাই এ ক্ষেত্রে এ বিশেষ প্রকল্পের বরাদ্দে এলাকাগত, গোষ্ঠীগত ও দলগতভাবে বৈষম্য সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকট।
প্রকল্পের আর্থিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা: এ জাতীয় সরাসরি রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রভাবিত প্রকল্পের আর্থিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা এলজিইডির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব হবে না। এখানে টেন্ডার দাখিল, কাজের গুণগতমান রক্ষা, সময়মতো কাজ শেষ করা ইত্যাদি, অতীতের অভিজ্ঞতায় অত্যন্ত দুষ্কর হবে তা এখনই বলে দেওয়া যায়।
সংসদীয় কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা: এ জাতীয় প্রকল্প কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত হওয়ার কারণে একজন এমপি তাঁর মূল সংসদীয় কার্যক্রমে অনেক কম সময় দিতে পারবেন এবং স্থানীয়ভাবে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অনেক বেশি জড়িত হয়ে পরবেন। দলবাজি, টেন্ডারবাজি, প্রকল্পের প্রশ্নবিদ্ধ গুণগতমান, ইত্যাদির শিকারে পরিণত হয়ে স্থানীয়ভাবে অনেক বেশি বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরবর্তী সময়ে আবির্ভূত হবেন।
মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেস: জাতীয় সংসদের সদস্যদের যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম করার জন্য রয়েছে সংসদ সচিবালয় এবং তার নির্বাহী প্রধান জাতীয় সংসদের স্পিকার। একজন সাংসদের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন ও প্রশাসনিক যোগাযোগ হয় সাধারণত সংসদ সচিবালয় থেকে। বর্তমানে সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা উন্নয়নের প্রকল্পটি করা হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে। এখানে মন্ত্রণালয় বা সচিবালয়ের রুলস অব বিজনেস কি সংশোধন করা হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে এটিও একটি প্রশাসনিক অসংগতি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান: ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে সরকারের জাতীয় বাজেটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বাজেটে মোট বরাদ্দ ছয় হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। অর্থবছর না ঘুরতেই এককভাবে একটি প্রকল্প, যা চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রতিফলিত বা অনুমোদিত হয়নি এমন একটি প্রকল্প থেকে একই অর্থবছরে প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে এমপিদের মাধ্যমে ব্যয় করার জন্য। বিষয়টি দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের শৃঙ্খলা, ধারাবাহিকতা, আর্থিক নিয়মনীতির দিক থেকে সংগতিপূর্ণ নয়। যে অর্থ বর্তমান অর্থবছরে দেশের মূল্যবান অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে সংগৃহীত, সে অর্থ সম্পদ থেকে এ বিপুল বরাদ্দ কি পরবর্তী বছরগুলোতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করবে না?
গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা: গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ না করে তা ব্যক্তির ইচ্ছা-অভিরুচির অধীন রেখে বা নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার একটি কৌশল হিসেবে উন্নয়নব্যয় করা সভ্য ও আধুনিক রাষ্ট্রাচারের পরিচায়ক নয়। গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি প্রদান’ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল ছিল। অথচ সে বেআইনি কাজটাকে নির্বাহী আদেশে বৈধতা শুধু নয়, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হলো।
অকার্যকর উপজেলা ও অতি কার্যকর সাংসদ: স্থানীয় সরকার সংস্থা হিসেবে এক বছরের অধিককাল অতিবাহিত হলেও উপজলা পরিষদ এখনো (মার্চ, ২০১০) কার্যত অকার্যকর। কিন্তু গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন সম্পদ বিতরণ, আইনশৃঙ্খলা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিভাগীয় কার্যক্রমে দেশের অধিকাংশ সাংসদ অতিমাত্রায় সক্রিয়। অথচ এ ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করার জন্য উপজেলা পরিষদের রয়েছে আইনগত ম্যান্ডেট। জাতীয় সংসদ তার গুণ ও মান রক্ষায় সার্বিক বিচারে অকার্যকর হলেও এ মহান সংসদের মাননীয় সদস্যরা টেস্ট রিলিফ, জেনারেল রিলিফ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের কমিটি, শিক্ষক ও ভর্তিবাণিজ্য, সর্বশেষ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে যে অতি-সক্রিয়তা প্রদর্শন করছেন, তাতে স্থানীয় উন্নয়ন ও জাতীয় সংসদ উভয় ক্ষেত্রে অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে বাধ্য।
ভারতের মন্দ দৃষ্টান্ত: ভারতে এক দশক ধরে এ জাতীয় একটি তহবিল সৃষ্টি করে নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নকাজ চালানো হচ্ছে। অবশ্য অর্থের পরিমাণ আমাদের তুলনায় কম। ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতবর্ষে এ তহবিলটি স্মরণাতীত কালের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তহবিল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চ্যাটার্জি ওই তহবিলটি বন্ধের সুপারিশ করেছেন। এ পর্যন্ত লোকসভার আটজন সদস্য দুর্নীতির অভিযোগে সদস্যপদ হারিয়েছেন। ইতিমধ্যে এ ফান্ড বন্ধের জন্য সে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে রিট মামলা হয়েছে। ভারতে এ তহবিলের কারণে পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠান তথা গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি (ব্লক পর্যায়) এবং জেলা পরিষদ দুর্বল হয়নি। কারণ স্থানীয় সরকারের প্রয়োজনীয় সকল রক্ষাকবচ কার্যকর রাখা হয়েছে।
বিরোধী দলের অবস্থান: সরকার প্রকল্প প্রণয়ন করেছে, কিন্তু এ প্রকল্পের ভালো-মন্দ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বা সরকারের অভ্যন্তরের অন্য দলসমূহ, যাদের দলীয় ঘোষণাপত্রে স্থানীয় সরকার, স্থানীয় উন্নয়ন ও স্থানীয় গণতন্ত্র শক্তিশালী করার দৃঢ় অঙ্গীকার ছিল, তারা সবাই এখন নীরব। জাতীয় সংসদ মতৈক্যের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯ পাস করেছে। সে আইন পাস হওয়ার এক বছর পরও তা অকার্যকর। এখন আবার উপজেলা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে স্থানীয় এমপির মাধ্যমে বিপুল অর্থ ওই এলাকায় দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংসদে কোনো একজন বিবেকবান সদস্য বিষয়টি উত্থাপণ করেননি। সময়মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অর্থবহ আলোচনাই সংসদের কার্যকারিতার প্রধান মাপকাঠি। তাই এ বিষয়ে জাতিবিরোধী দলের সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চায়।
শেষ কথা: ‘ভোটের রাজনীতির স্বার্থে উন্নয়ন বরাদ্দ’ কোনো টেকসই উন্নয়ননীতি হতে পারে না। একটি জনমুখী সরকার বা দল তার সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের জন্যই পুনর্নির্বাচিত হবে। এখানে একজন ব্যক্তি প্রার্থীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে উন্নয়ন খুব বেশি ইতিবাচক ভূমিকা রাখে না। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার যে নির্বাচনী অঙ্গীকার মহাজোট সরকারকে নির্বাচনে বিজয়ী করেছে, তা রক্ষা করতে গেলে এখনো সময় রয়েছে স্থানীয় উন্নয়নে স্থানীয় সরকারকে মূলস্রোতে নিয়ে আসার। কারণ স্থানীয় সরকারবান্ধব একটি বিকেন্দ্রায়িত উন্নয়ন ও প্রশাসনিক নীতির অনুপস্থিতি পরবর্তী নির্বাচনে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দেখা দিতে পারে।
তোফায়েল আহমেদ: সমাজবিজ্ঞানী ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ।

No comments

Powered by Blogger.