মৃদুকন্ঠ-আগাম জামিনের প্রাসঙ্গিকতা by খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

জামিন প্রদান বিচারকের একটি ডিসক্রিশন বা বিবেচনামূলক অধিকার, যা সুবিবেচনার সঙ্গে প্রয়োগ করা হলে বিচারপ্রার্থীর দুর্ভোগ লাঘব হতে পারে। জামিন প্রদানে সুবিবেচনার অভাব ঘটলে সুবিচার বিঘি্নত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ কারণে জামিন একটি স্পর্শকাতর বিষয়।


বিচারকের সুনীতি ও বিবেচনাবোধ প্রখর হলে এটি একটি স্বস্তিদায়ক প্রক্রিয়া। পক্ষান্তরে বিচারকের সুনীতি ও বিবেচনাবোধ নিম্নমানের হলে বা প্রশ্নবিদ্ধ হলে জামিন হয়ে দাঁড়ায় বিচারের অন্তরায়। খুনের আসামি জামিন পেয়ে আরেকটি খুন করার সুযোগ পেয়েছে এবং খুন করেছে, এমন দৃষ্টান্ত বিরল নয়। এমন ঘটনার জন্য জামিনদাতা বিচারক আইনের কাছে দায়ী না হলেও নৈতিকতার মানদণ্ডে কোথায় তাঁর অবস্থান নির্ণীত হবে?
জামিনের প্রকারভেদ রয়েছে। জামিনযোগ্য অপরাধের জন্য বিচারক জামিন দিয়ে থাকেন। জামিন অযোগ্য অপরাধের জন্যও কখনো বা জামিন হতে দেখা যায়। নিম্ন আদালতে না হলেও উচ্চ আদালতে হতে পারে। সবচেয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় প্রত্যাশা জামিন বা এন্টিসিপেটরি বেইল নিয়ে। জামিন প্রদানের পরিস্থিতি সৃষ্টির আগে অর্থাৎ ঘটনা ঘটার আগে জামিন মঞ্জুর করাকেই প্রত্যাশা জামিন বা এন্টিসিপেটরি বেইল বলা হয়।
আমাদের দেশে অনেক 'সাজানো মামলা' হয়। যে জীবনে একটি মুরগি পর্যন্ত জবাই করেনি, তার নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়ে যায়। পারিবারিক শত্রুতা থেকে হয় আবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও এমন কাজ করে থাকে। মাদকবিরোধী বা সন্ত্রাসবিরোধী কাজের স্বেচ্ছাসেবকদেরও আজকাল এ রকম ঝামেলায় পড়তে হয়। মামলার বিচার হতে সময় লাগে। ততদিন জেলহাজত খাটিয়ে, হয়রানি করে তার মনোবল ভেঙে দেওয়াই মিথ্যা মামলার উদ্দেশ্য। এসব ক্ষেত্রে বিজ্ঞ বিচারক জামিন প্রদান করে স্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেন। জামিনের উদ্দেশ্য এটাই।
দুরাচার প্রকৃত হত্যাকারী বা জঘন্য অপরাধীকে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। এমন ব্যক্তি জামিনে বের হলে বাদীকে হুমকি দেবে, সাক্ষীকে ভয় দেখাবে। এমনকি বাদী সাক্ষীকে হত্যা পর্যন্ত করতে পারে। বিচার তখন প্রহসনে পরিণত হয়। বিচারের দাবি নিভৃতে কাঁদে। অপরাধী প্রচণ্ড দাপটে অপরাধ ঘটাতে থাকে একটার পর আরেকটা। পালিয়ে বেড়ায় অত্যাচারিতেরা। এমন ঘটনা এখন অনেক ঘটছে। মানুষ আস্থা হারাচ্ছে বিচারব্যবস্থার ওপর। নৃশংস ঘটনার পর পরিবারের লোকজনদের বলতে শোনা যায়, 'বিচার দিয়ে কি হবে! অপরাধীরা ক্ষমতাশালী। তাই বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম আল্লাহর কাছে।' সংবাদপত্রের রিপোর্টে মাঝে মধ্যে এমন বার্তা আসছে সমাজের কাছে। জঘন্য অপরাধীর জামিনপ্রাপ্তি এক অশনি সংকেত।
বলা হতে পারে, বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কেউ অপরাধী নয়, একথা ঠিক। কিন্তু সম্ভাব্য অপরাধীকে পুনরায় অপরাধ সংঘটিত করতে না দেওয়া বিচারকের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বিচারকের অযোগ্যতা অথবা নৈতিকতার স্খলন। বিচারক যেহেতু মানুষ, তাঁর ভুল হতে পারে। হাজারটির মধ্যে একটি মামলায় এমন ভুল হলে তা মার্জনীয়। কিন্তু হাজারটির মধ্যে একশটিতে এমন 'ভুল' ঘটলে কিভাবে তার ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে?
প্রত্যাশা জামিন বা 'এন্টিসিপেটরি বেইল' বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা যাক। ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ৪৯৮ ধারায় বলা হয়েছে যে Anticipatory ball is an extra relief which the court in exercise of its discretion,may sparingly grant in exceptional circumstances. ব্যবহৃত তিনটি শব্দের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এটি একটি 'এঙ্ট্রা অর্ডিনারি রিলিফ' অর্থাৎ অস্বাভাবিক উপশম। এটি ব্যবহার করতে হবে 'স্পেয়ারিংলি' বা পরিমিতভাবে। দিতে হবে 'এঙ্পেশনাল সার্কামস্ট্যান্সে' অর্থাৎ ব্যতিক্রমী অবস্থায়। এ তিনটি শব্দ আইনের লক্ষ্যকে পরিষ্কার করেছে। প্রত্যাশা জামিন সাধারণত পরিহারযোগ্য। একান্তই যদি পরিহার করা না যায়, তাহলে অত্যন্ত ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে পরিমিতি সহকারে এই অস্বাভাবিক রিলিফ দিতে হবে। সাম্প্রতিক অতীত সময়ে, যেভাবে এবং যত সংখ্যায় এন্টিসিপেটরি বেইল প্রদান করা হয়েছে, তাতে সযত্নে এবং নিপুণভাবে সংজ্ঞায়িত আইনের ধারাটি কতখানি প্রতিফলিত হয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনার অবকাশ থাকে।
সে পর্যালোচনাই উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলায়। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মিলেছে মামলার রায়ে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে আরো পাঁচজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলাটি ছিল ২০১০ সালের লিভ টু আপিল নম্বর-২৮। বাদী ছিল রাষ্ট্র। বিবাদী জাকারিয়া পিন্টু ও অন্যান্য।
আপিলের পূর্বকথা জানা দরকার রায়ের মর্মার্থ বোঝার জন্য। ২৬-১১-২০০৯ তারিখে সকালে প্রধান আসামি জাকারিয়া পিন্টু অস্ত্রের আঘাতে আজমকে খুন করে এবং সজল গুরুতর আহত হয়। ২৭-১১-২০০৯ তারিখে ঈশ্বরদী থানায় এফআইআর করা হয়। ফলে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা হয় প্রধান আসামিসহ অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এদিকে ২৮-১১-২০০৯ তারিখে এফআইআরের একটি কপি নিয়ে আসামিরা হাইকোর্টে এন্টিসিপেটরি বেইলের জন্য আবেদন করে।
কেন আগাম জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্ট এই মর্মে রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি রুল জারি করেন এবং প্রধান আসামিকে ছয় মাস অথবা পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের তারিখ, যেটি আগে হয় সে সময় পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন (adinterim anticipatory bail) মঞ্জুর করেন। হাইকোর্ট ২ থেকে ১৪ নম্বর অভিযুক্তদের আট সপ্তাহের মধ্যে পাবনা সেশন জজের কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন এবং পুলিশকে নির্দেশ দেন এ সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার না করতে। হাইকোর্ট পাবনা সেশন জজকে ২-১৪ নম্বর অভিযুক্তের জামিন আবেদন বিবেচনার নির্দেশনাও প্রদান করেন।
হাইকোর্টের আদেশসমূহে সংক্ষুব্ধ হয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। আপিল মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছেন যে ২৬-১১-২০০৯ তারিখে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে না পারলেও মাত্র ১০ দিনের মধ্যে প্রধান আসামিসহ ১৪ জন অভিযুক্ত সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছেন। যদিও অভিযুক্তদের উচিত ছিল পুলিশ অথবা বিচারিক আদালতে হাজির হওয়া! রায়ে আরো পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, 'পলাতক আসামিরা যখন আগাম জামিনের জন্য আদালতে হাজির হয়েছিল, তখন আদালত হয় ওইরূপ জামিন প্রদান করতে পারতেন, নচেৎ না দিতে পারতেন। কিন্তু পলাতক আসামিদের সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন না। একই সঙ্গে আসামিদের ইত্যবসরে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশও পুলিশকে দিতে পারেন না। সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের এই আদেশ আইনানুগ নয় বলে মনে করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করলে আদালতেরই উচিত ফেরারি আসামিদের পুলিশের হাতে সমর্পণ করা।
নির্বিঘ্নভাবে তদন্ত করা না গেলে মামলা দুর্বল হয়ে যায়। যদিও অভিযোগ গুরুতর। সে ক্ষেত্রে সুবিচার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে প্রাথমিক গুরুতর অভিযোগ থাকলে আদালত সাধারণত জামিন মঞ্জুর করেন না। জামিন মঞ্জুর করা হলে শক্তিশালী দুরাচার আসামি মুক্ত থেকে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারে, আলামত নষ্ট করতে পারে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করতে পারে। আসামিকে জামিন প্রদান অনৈতিক হয়ে দাঁড়ায়। বিচারকার্য প্রভাবিত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। উলি্লখিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'গুরুতর অভিযোগ থাকলে জামিন মঞ্জুর করা হয় না। উদ্দেশ্য, জামিন পেয়ে আসামি যাতে প্রমাণাদি ও আলামত নষ্ট না করতে পারে, সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে না পারে। সাক্ষীর জানমালের ওপর হামলা হলে তিনি কেমন করে সত্য প্রকাশে এগিয়ে আসবেন? এমন আইন বিশ্লেষণের পর মাননীয় বিচারপতি মন্তব্য করেছেন, 'এমনটা ঘটলে শেষ পর্যন্ত ক্রিমিনাল বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এবং সমাজের কোনো নাগরিকই নিরাপদবোধ করবেন না।' কোর্টের এই মতামত যে কতখানি সত্য, তা ভুক্তভোগী মাত্রই উপলব্ধি করতে পারছেন। একই সঙ্গে কোর্টের এ ধরনের নির্দেশনা সমাজকে আশ্বস্তও করবে।
মাননীয় বিচারপতি এ মামলায় আরো অনুধাবন করছেন, 'পলাতক আসামি সাধারণত সাধারণ্যে বিচরণ করে না পুলিশের ভয়ে। কিন্তু আদালত যদি তাকে জামিন দিয়ে দেন, তাহলে সে লজ্জিত হবে না বরং ভয়ভীতি ছাড়াই স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হবে। পক্ষান্তরে বাদী এবং সাক্ষীরা ভয়ে গৃহবন্দি হয়ে পড়বে। জামিন প্রদান করে বিচারপতি বরং সুবিচার করার শপথের প্রতি অবিচার করবেন এবং বর্তমান সময়ের বাস্তব অবস্থা ও কঠিন সত্যের দিকে চক্ষু মুদিত রাখবেন। বর্তমান মামলায় বিজ্ঞ আদালতের স্মরণ রাখা উচিত ছিল যে আগাম জামিন মঞ্জুর একটি অতি বিশেষ (extra ordinary) সহায়তা, যা নেহাত ব্যতিক্রমী অবস্থায় সংযতভাবে প্রদেয়। অন্যভাবে নয়।'
তারপর রায়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, 'বর্তমান মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কৃত সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এফআইআর রয়েছে। অতএব ১ নম্বর বিবাদী রাজনৈতিক নেতা হন বা যা-ই হন না কেন, তাকে আগাম জামিন প্রদানের কোনো সুযোগ নেই। আগাম জামিন প্রদানের এই আদেশ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড বা অন্য যেকোনো আইন বহির্ভূত। একজন ক্রিমিনালকে প্রশ্রয় দেওয়া একটি অপরাধ। বরং একজন পলাতক আসামিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করাই বিশ্বস্বীকৃত নাগরিক দায়িত্ব।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, 'যদি কোনো পলাতক আসামি হাইকোর্ট ডিভিশনে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে, তাহলে বর্ণিত নীতিমালার আলোকে হাইকোর্ট হয় সিপিসি ৪৯৮ ধারা মোতাবেক জামিন মঞ্জুর করবে, নচেত পলাতক আসামিকে পুলিশে সোপর্দ করবে। কিন্তু যে পুলিশ পলাতককে আটক করার জন্য দায়িত্ববদ্ধ, সেই পুলিশকে আসামি আটক না করার হাইকোর্টের নির্দেশনামা ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোড বা অন্য যেকোনো আইনের আওতা বহির্ভূত। এ ধরনের কোর্ট আদেশ তদন্ত বিঘি্নত করবে এবং শেষতক সুবিচার নস্যাৎ করে দেবে। এ ছাড়াও হাইকোর্ট ডিভিশন পলাতক আসামির জামিন বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন পাবনা সেশন জজকে। এ ধরনের নির্দেশ অত্যন্ত অসঙ্গত এবং মেরিট ভিত্তিতে জামিন প্রদানের সেশন জজের ক্ষমতা প্রয়োগে বিঘ্নস্বরূপ। হাইকোর্টের এ ধরনের নির্দেশের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেশন জজ নিজ ক্ষমতাবলে জামিন মঞ্জুর বা না মঞ্জুর সুযোগ হারান। বলা বাহুল্য, সুপ্রিম কোর্টের উপরোক্ত অভিমতের ভিত্তিতেই আলোচিত মামলাটির ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল। অর্থাৎ হাইকোর্ট প্রদত্ত আগাম জামিন স্থগিত হয়েছিল এবং পুলিশের ওপর আসামিকে গ্রেপ্তারের বাধাও অপসারিত হয়েছিল। সেশন জজ স্বীয় ক্ষমতাবলে মামলা পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, কক্ষচ্যুত বিচারিক ধারাকে সঠিক পথে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছিল এবং ছয় মাসের অধিক সময় লেগেছিল।
বিচারের দাবি কিভাবে নিভৃতে কাঁদে শক্তিধর আসামি কিভাবে আইনের অস্বাভাবিক ধারায় প্রশ্রয় পায় এবং বিচারপ্রার্থী কিভাবে অসহায়ত্বে ভুগতে থাকে, বর্তমান মামলার ঘটনাবলি তার একটি দৃষ্টান্ত। সেই সঙ্গে আমাদের বিচারব্যবস্থা যে শেষ পর্যন্ত সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম, মামলাটি তারও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়টি শুধু বিচারক ও আইনজীবীদের জন্যই নয়, বরং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিচারক ও আইনজীবীরা ল' রিপোর্ট পড়ে থাকেন। সাধারণ মানুষ পড়ে না। সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ ভাষায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মূল অংশ পরিবেশন করা হলো। অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতনতার বিকল্প নেই।
লেখক : সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

No comments

Powered by Blogger.