টেকনাফ সীমান্তে নেশার হাট-প্রশাসন কেন নিষ্ক্রিয়?

টেকনাফ সীমান্তের ১০ পয়েন্ট দিয়ে কীভাবে ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে, এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ গত বুধবার সমকালের শেষ পৃষ্ঠায় এক রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। 'চাল চিংড়ির প্যাকেটে মাদক' শিরোনামে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে দেখা যায়, অবৈধভাবে সীমান্তের চোরাপথে আনা চাল ও চিংড়ির প্যাকেটের ভেতর ঢুকিয়ে


এসব মাদক বাহকদের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় এক সাংসদ ও তার ভাই এ ব্যবসার সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রিকশাচালক থেকে শুরু করে কলেজছাত্র পর্যন্ত রাতারাতি বড়লোক বনে যাওয়ার লোভে মাদকের বাহকের কাজ বেছে নিয়েছে। এটা এখন স্পষ্ট যে, সীমান্ত এলাকায় প্রকাশ্যে এসব অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত থাকলেও তেমন কোনো দমনমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা মাদক চোরাচালানের সঙ্গী হতে সাহস পেয়েছে।
যেহেতু একজন সাংসদের বিরুদ্ধে টেকনাফ সীমান্তে মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে, তাই সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হয় স্থানীয় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকার একটা অজুহাত পেয়ে যাবে। তদুপরি এমপি জড়িত থাকায় প্রশাসনের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তারা চাকরি ও জীবনের নিরাপত্তার ভয়ে আগ বাড়িয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে উৎসাহী হবেন না বলে ধরেই নেওয়া যায়। কিন্তু দেশের তরুণ সমাজকে মাদকের নীল দংশন থেকে রক্ষা করতে হলে ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার রুটগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার বিকল্প নেই।
মিয়ানমারের আরাকান থেকে কারা টেকনাফের ১০টি পয়েন্টে চাল ও চিংড়ির প্যাকেটের ভেতর ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক নিয়ে আসছে, কারা সেগুলো বহন করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে এবং কারা মাদক ব্যবসার সুবাদে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে_ তা উল্লেখ করা হয়েছে সমকালের রিপোর্টে। সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে মাদক চোরাচালানের এই রুটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া যায়। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে নির্দেশনা আশা করি।
 

No comments

Powered by Blogger.