এমন কেন ওরা?

জীবজগতে প্রাণীর সংখ্যা যেমন গুনে শেষ করা যাবে না, তেমনি তাদের আজব স্বভাবও অশেষ। পড়ে দেখো। মনে প্রশ্ন জাগবে, এমন কেন ওরা? ডলফিনের কথাই ধরো না! ওরা নাকি এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়! আরেক চোখ থাকে বোজা। এমন আজব ঘুম আছে আর কারও?


কুমির বর্ণান্ধ। রং চিনতে পারে না। তা না হয় মেনে নেওয়া গেল। তাজ্জব বনে যাওয়া তথ্যটি হচ্ছে, পানির চেয়ে খোলা আলো-বাতাসে ভালো দেখে ওরা। অথচ পানিতেই বেশি থাকে। কুমিরের জিব মুখের ভেতরে আটকানো! তাই বাইরে বের করতে পারে না।
বর্ণান্ধ পাখিরাও। তবে পেঁচা একটু অন্য রকম। ওরা নীল রংটা বুঝতে পারে। শামুকের আছে আবার নাকের বাহাদুরি। চার-চারটি নাক ওদের!
জল-স্থল মিলিয়ে সবচেয়ে বড় ডিম কে পাড়ে? হাঙর। আর লম্বা গলা কার? এ প্রশ্নে দাঁত বেরিয়ে যাবে অনেকের। বলবে, এটা কোনো প্রশ্ন হলো? জিরাফের গলা যে সবচেয়ে লম্বা—এ তো সবারই জানা। কিন্তু এই গলার ভেতর স্বরযন্ত্রই নেই! এ জন্য ওরা কোনো শব্দ করতে পারে না। গিরগিটি-জাতীয় প্রাণী ক্যামেলিয়ন তার শরীরের চেয়ে বড় জিব দিয়ে এত দ্রুত পোকা শিকার করে, এই ক্ষিপ্রতা জঙ্গি বিমানের গতিকেও হার মানায়!
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী পাখি হচ্ছে পেরেগ্রিন ফ্যালকন। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ৩৯০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে ওরা। সবচেয়ে বড় প্রাণী নীল তিমি প্রতিদিন তিন টন পরিমাণ খাবার খেতে পারে। আবার না খেয়ে ওরা থাকতে পারে টানা ছয় মাস! পেঙ্গুইন পানির নিচে খুব ভালো সাঁতরাতে পারে। এই গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ মাইল পর্যন্ত উঠতে পারে। ঝিঁঝি পোকার ডাকে কার না কান ঝালাপালা হয়? কিন্তু ওদের কান কোথায় জানো? সামনের পায়ে, ঠিক হাঁটুর নিচে!
তোমরা অনেকেই জানো যে ভূচর প্রাণীর ভেতর সবচেয়ে দ্রুত ছুটতে পারে চিতা। কিন্তু এটা কি জানো, ছোটার গতি শূন্য থেকে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওদের তুলতে লাগে মাত্র তিন সেকেন্ড? আর্মাডিলো, অপসাম ও স্লথ—এই তিনটি প্রাণী জীবনের ৮০ ভাগ সময় ঘুমিয়েই কাটায়!
একটি তেলাপোকা মাথা হারালেও নয় দিন বেঁচে থাকতে পারে! নবম দিনে সে মারা যাবে অনাহারের কারণে। ট্যারানটিউলা নামের যে ভয়াল মাকড়সা রয়েছে, ওরা দুই বছরের বেশি সময় না খেয়ে থাকতে পারে!
 শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সূত্র: সায়েন্সরেসহ অন্যান্য ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.