শার্লক হোমস-আ গেম অব শ্যাডোজ by হামিদুর রহমান খান

বিখ্যাত ব্রিটিশ পরিচালক গাই রিচি ২০০৯ সালে 'শার্লক হোমস' নির্মাণের পরই আরো দুই পর্বের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় মুক্তি পেতে চলেছে 'শার্লক হোমস : আ গেম অব শ্যাডোজ'। এ ছবিতেও শার্লক হোমসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে আছে ড. জন ওয়াটসন এবং প্রবল প্রতিপক্ষ অধ্যাপক জেমস মরিয়ার্টি। ঘটনার শুরু যখন অনেক ঘটনা কাঁপিয়ে তোলে বিশ্বের সংবাদপত্রগুলোকে।


ভারতের এক সম্পদশালী কাপড় ব্যবসায়ীর সাম্রাজ্য ধসে পড়ে নারী কেলেঙ্কারিতে। অতিরিক্ত নেশা করতে গিয়ে মারা যায় এক চীনা আফিম ব্যবসায়ী। স্ট্রাউসবার্গ ও ভিয়েনায় ঘটে রহস্যজনক বোমা বিস্ফোরণ। রহস্যজনক মৃত্যু হয় মার্কিন এক স্টিল ব্যবসায়ীর। কিন্তু যখন অস্ট্রিয়ার ভবিষ্যৎ রাজার আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়, একমাত্র শার্লক হোমসই এতে ভয়াবহ এক ষড়যন্ত্রের আভাস খুঁজে পায়। ওয়াটসন, ইন্সপেক্টর লেসট্রেড ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করলেও শার্লক হোমসের বিশ্বাস_এগুলো সম্পর্কযুক্ত এবং একেকটি ঠাণ্ডা মাথার খুন। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ঘটনাই একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের ছোট অংশ।
তবে ঘটনার ক্লু খুঁজে পায় শার্লক হোমস। একদিন সে ও তার ভাই মাইক্রফট হোমস একটি ক্লাবে ওয়াটসনের সঙ্গে আনন্দ করছিল, সেখানে এক জিপসি মেয়ে কথায় কথায় অনেক অজানা তথ্য জানায় তাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই মহিলা হয়ে ওঠে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শত্রু। হোমস তাকে রক্ষার ওয়াদা দিলে সে রাজি হয় হোমসকে রহস্যভেদে সহায়তা করার। চালাক মরিয়ার্টিকে ধরতে হোমস ছুটে বেড়ায় ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্স, সেখান থেকে জার্মানি এবং সবশেষে সুইজারল্যান্ডে। শেষ পর্যন্ত কি শার্লক হোমস পারবে তার থেকে চালাকি ও মন্দ কাজে এক ধাপ এগিয়ে থাকা মরিয়ার্টি ও তার সহযোগীদের ধরতে? সত্য অনুসন্ধানে হোমসের ছুটে বেড়ানো আর আসল খুনিদের মুখোশ উন্মোচনে সাফল্যের ওপরই যে নির্ভর করছে ইতিহাসের প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন। নির্মাণের শুরুতে গুজব ছিল, অধ্যাপক মরিয়ার্টির চরিত্রে ব্র্যাড পিট অভিনয় করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেড হ্যারিসকেই নেওয়া হয়। ছবিটি মুক্তি পাবে ১৬ ডিসেম্বর।

No comments

Powered by Blogger.