গাজীপুরে জনসভায় এরশাদ-ভুল রাজনীতির কারণে দেশ আজ পিছিয়ে যাচ্ছে

দেশের মানুষ এখন সুখে নেই মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, মানুষের সব আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে। ভুল রাজনীতির কারণে দেশ আজ পিছিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমি ভুল করিনি বলেই এখনো মানুষের মনে বেঁচে আছি।' গত মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।


\১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মধ্যে এ স্বৈরশাসক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। এই দিনকে জাতীয় পার্টি সংবিধান সংরক্ষণ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এ উপলক্ষে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টি ওই জনসভা আয়োজন করে।
মানুষের মন থেকে তাঁকে মুছে ফেলা যায়নি দাবি করে এরশাদ বলেন, 'জাতীয় পার্টির নাম দেশের ১৬ কোটি মানুষের মনে লেখা আছে। এ নাম কেউ মুছতে পারবে না।'
ঢাকা বিভক্তির সমালোচনা করে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, বাংলাদেশের রাজধানী এখন কোনটি। ঢাকা উত্তর, নাকি ঢাকা দক্ষিণ, এর হিসাব মেলে না।
টিপাইমুখ বাঁধ বিষয়ে এরশাদ বলেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আমাদের দেশ সফরে এসে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু তিনি করবেন না। কিন্তু দু-তিন মাস পর বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছে ভারত। এ নিয়ে সরকার কোনো প্রতিবাদ করছে না।'
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধে কঠোর আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে এরশাদ জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টি ঢাকা থেকে টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চ করবে।
প্রাদেশিক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের জনসংখ্যা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন যদি করতে হয়, ঢাকা শহর রক্ষা করতে হয়, যানজট নিরসন করতে হয়, তাহলে দেশকে আট প্রদেশে ভাগ করতে হবে।
তাঁর প্রবর্তিত উপজেলা ব্যবস্থার সুফল দাবি করে এরশাদ বলেন, বর্তমানে আবার উপজেলা পদ্ধতি চালু করা হলেও চেয়ারম্যানদের কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাঁদের ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে। গাজীপুর শাখা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় মহিলা পার্টির সভানেত্রী সংসদ সদস্য লিলি বেগম, শ্রমিক পার্টির নেত্রী আনোয়ারা বেগম, পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার মিয়া প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.