সাদাকালো-ছোট্ট অগ্নিশিখা কবে দাবানলের রূপ নেবে by আহমদ রফিক

কোনো মতাদর্শের রাজনীতিতেই বাড়াবাড়ি সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ বাড়াবাড়ির ফল কখনো ভালো হয় না। সোভিয়েত সমাজতন্ত্র নিয়ে প্রশস্তিবাচনের পাশাপাশি পরোক্ষে এ কথাটা রবীন্দ্রনাথ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সোভিয়েত নীতিনির্ধারকদের। সেসব কথা সমাজতন্ত্রীরা বোঝেননি। বোঝার কথা নয় গণতন্ত্রের লেবেল-আঁটা ধনতন্ত্রী তথা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর। দীর্ঘ সময় ধরে ভিত পোক্ত করা ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ সমাজতন্ত্রী দুনিয়ার পতনের


পর মহাদাপটে বিশ্ব শাসন করে আসছিল। এবার অর্থনৈতিক মন্দা কিছুটা হলেও শিকড় ধরে টান দিয়েছে বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রিক ব্যবস্থায়।
ধনতন্ত্রের পতন তার আপন নিয়মে, ক্রিয়াকলাপের বদৌলতে এমন তত্ত্ব মানি বা না মানি এটা সত্য যে লোভ ও আগ্রাসন সাময়িক সুফল দেখালেও আগ্রাসী রাজনীতির পরিণাম শেষ পর্যন্ত সুফল আনে না। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা আগেও দেখা দিয়েছে, যেমন তিরিশের দশকের শুরুতে, সঠিকভাবে বলতে গেলে আরো বছর কয়েক আগে।
সে মন্দার বরপুত্র হিসেবে জার্নাল রাজনীতিতে আবির্ভূত অ্যাডলফ হিটলার সাম্রাজ্যবাদী বা আধিপত্যবাদী রাজনীতিকে ভয়াবহ রকম অমানবিক (আসলে মানববিদ্বেষী) মেরুতে পেঁৗছে দিয়েছিলেন। হত্যা, গুম ও নির্যাতনের রাজনীতি থেকে ফ্যাসিস্ট আগ্রাসনের বিশ্বপরিক্রমা, কিন্তু টেকেনি সে আধিপত্যবাদ। অবশ্য তাঁর লোভের আগুনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা, আর সে আগুনে হিটলারসহ ফ্যাসিস্ট রাজনীতি পুড়ে ছাই।
অবশ্য এখন আণবিক-পারমাণবিক অস্ত্রের কল্যাণে বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নেই বললে চলে। সে জায়গা দখল করে নিয়েছে আঞ্চলিক যুদ্ধ_প্রধানত বিশ্ব পরাশক্তির আগ্রাসী চেতনার খাঁই মেটাতে। তাতে লুটপাটের কমতি নেই, কোষাগার ভরে তোলার চেষ্টা ভালোভাবেই চলছে। কিন্তু যুদ্ধের ব্যয়জনিত ঘাটতি মেটানো বলে একটা কথা আছে না?
সে ঘাটতি মেটাতে আরো যুদ্ধ, আরো ব্যয়। নীতিগত প্রতিষ্ঠার জন্য ও যুদ্ধ বা অন্য খাতে ব্যয়ও তো কম নয়। তাই অর্থনৈতিক সংকট। কোনো সরকার বা রাষ্ট্র যদি মর্মে মর্মে যুদ্ধবাদী হয়ে ওঠে এবং সে সুবাদে বিশ্ব শাসনের প্রবল আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতে থাকে, তখন তাকে সে আকাঙ্ক্ষার মাসুল গুনতে হয় দেশের অর্থনীতিকে চাপে রেখে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে এমনটাই করে চলেছে।
কিন্তু তাদের হাতে বিশ্ব শাসনের সোনার হরিণ ধরা দেয়নি, দেওয়ার সম্ভাবনাও নেই। করণ শাসিত বিশ্ব বা তৃতীয় বিশ্ব অর্থনৈতিক দুর্বলতা বা অনৈক্যের কারণে সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ জানাতে না পারলেও পরোক্ষ বিরোধিতা তো আছেই, আছে কিছু সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাষ্ট্র (যদিও ওদের একে একে খতম করে আনা হচ্ছে)। সর্বোপরি ঘটনাক্রম পুরোপুরি তাদের পক্ষ নয়। অনেকটা হাতির কাদায় পড়ার মতো। সে কাদা অবশ্য এখনো গভীর আঠালো হয়ে উঠতে পারেনি।
যে দ্রুততায় বাগদাদ দখল, সে দ্রুততায় ইরাক দখল পূর্ণতা পায়নি। এতগুলো বছর পার করে পুতুল সরকার বসিয়েও উদ্দেশ্য শতভাগ সিদ্ধ হয়নি। পুষতে হচ্ছে ব্যয়বহুল সেনাবাহিনী। তাদের ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েও কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারেননি জনগণের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত বারাক ওবামা। তাঁর ভোল বদল বিস্ময়ের নয়, বরং মার্কিনি রাজনীতির বাস্তবতাসম্মত। ইহুদি লবির টানে ওবামার বিচ্যুতি। হুংকার সত্ত্বেও আফগানিস্তানের গুহা-কন্দরে সাফল্য এমনই আটকে পড়েছে যে দিনের পর দিন ড্রোন হামলায় নরহত্যার তাণ্ডব ঘটিয়েও কবজায় আনা যাচ্ছে না আফগানদের। বরং দেশটাকে ঠেলে দেওয়া হলো কট্টর ইসলামী জঙ্গি তালেবানদের হাতে। এখন বলতে হচ্ছে : 'এসো বন্ধু, আলোচনায় বসি।' কিন্তু এখান থেকে সহজে মুক্তি পাবে না যুক্তরাষ্ট্র, পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে পিছু হটা ছাড়া।
বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার তৈরি করে সেসব এদিক-ওদিক বেচে তাল তাল ডলার অর্জন করলেও তা করপোরেট হাউসের ভোগে লাগছে। ভোগবাদী সমাজের যে আদর্শ দিনের পর দিন প্রচারে ও ব্যবহারে সামাজিক সত্য হয়ে উঠেছে, তা কিন্তু খুবই সীমাবদ্ধ বৃত্তে বন্দি। অথচ ভোগ ও পণ্যের আদর্শের প্রচার অবারিত। সে ক্ষেত্রে বঞ্চিতদের অসন্তোষ দেখা দেবেই। তারা কেন ওই ভোগের পাত্রে চুমুক দিতে পারবে না? কেন আরো শৌখিন জীবন যাপন করতে পারবে না, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা কেন আরো সহজলভ্য হবে না?
অর্থ আছে, তবু অর্থ নেই, কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার আছে, তবু সাধারণ মানুষের হাতে ভোগবাদী আকাঙ্ক্ষার উপযোগী ডলার নেই। সেখানে যত সমস্যা। আর সে সমস্যার শিকড় ধরেই 'ওয়াল স্ট্রিট দখল কর' আন্দোলন। ওই ১ শতাংশের ভোগবিলাসের বিরুদ্ধে হঠাৎ জেগে ওঠা ৯৯ শতাংশের আন্দোলন। এবং তা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই নভেম্বর মাস অবধি চলছে। শুধু চলছে বললে ভুল বলা হবে, এর বিস্তার ঘটছে নানা মাত্রায় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে।
ভাবতে ভালো লাগছে, রাষ্ট্রীয় শাসনতান্ত্রিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যত আধিপত্যবাদী ও আগ্রাসী এবং নির্মম হোক না কেন, সেখানকার জনগণ মাঝেমধ্যে প্রতিবাদী চেতনার প্রকাশ ঘটিয়ে চমক সৃষ্টি করে। 'মে দিবসের' উৎস কিন্তু এই যুক্তরাষ্ট্র। ভিয়েতনাম যুদ্ধের অমানবিকতার বিরুদ্ধে এদেরই একটি অংশ রাজপথে নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করে। এমনকি অন্যায় ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংখ্যায় কম হলেও এদের প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। এক মা ইরাকে তাঁর সৈনিক সন্তানের জন্য দিনের পর দিন রাস্তায় ও সমাবেশে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত এবার অর্থনৈতিক টানাপড়েনে ক্ষুব্ধ আমেরিকানদের মুখে ধনকুবেরদের আস্তানা ওয়াল স্ট্রিট দখলের স্লোগান। কারো কারো ধারণা, আরব বিশ্বের রাজপথে জাগরণ এ আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে। আমার তা মনে হয় না। আরবদের প্রতি সাধারণ আমেরিকানেরও বোধ হয় ভালো ধারণা নেই, মূলত ধর্মীয় জঙ্গিবাদিতার কারণে।
আসলে নিজস্ব সমাজের চাহিদা মেটাতে সরকারের ব্যর্থতা, অন্যদিকে ছোট্ট এক শ্রেণীর হাতে পর্বতসমান সঞ্চয় হঠাৎ জেগে ওঠা অর্থনৈতিক মন্দার কারণে হয়তো তাদের কারো কারো চোখ খুলে দিয়েছে। শুরুতে প্রতিবাদীদের সংখ্যা খুব বড় ছিল না। ক্রমে তা বেড়েছে। আমার ধারণা (ভুলও হতে পারে) আমেরিকান জনতা অনেকটা বাঙালিদের মতোই হুজুগে, হুজ্জতে যদি নাও হয়।
অনেকেই ভেবেছিলেন, ওয়াল স্ট্রিট দখলের উত্তাপ কয়েক দিনের মধ্যে ঠাণ্ডা মেরে যাবে, কিন্তু তা হয়নি। বরং নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসির দিকে প্রতিবাদী যাত্রার (মিছিল শব্দটা ইচ্ছা করেই ব্যবহার করছিল না। সেটা মার্কিন মানসিকতার সঙ্গে লাগসই না-ও হতে পারে) গন্তব্য। জুকোটি পার্কের ছোটখাটো সমাবেশ পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। কিন্তু তাতে আন্দোলনকারীরা হতোদ্যম হননি। তাঁরা তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচির কোনো প্রকার পরিবর্তন ঘটাননি (ভাগ্যিস পার্ক খালি করতে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বাংলাদেশি পুলিশের মতো প্রতিবাদীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেনি)।
এ প্রতিবাদ একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত। তার চেয়েও বড় কথা, এ আন্দোলন পরিচালনায় কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতা নেই। যদিও আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানুষগুলোর মূল উদ্দেশ্য। এ অবস্থার সুবিধা-অসুবিধা দুই-ই আছে। কারণ নেতৃত্ববিহীন প্রতিবাদী আন্দোলন অনেক সময় দিকভ্রান্ত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। সে জন্য প্রতিবাদীদের উদ্দেশ্য সফল করতে অন্তত একজন মুখপাত্র দরকার। তার রাজনৈতিক পরিচয় না-ই থাকল, বরং না থাকাও এক অর্থে ভালো। কারণ তাতে আন্দোলনের গায়ে লেবেল এঁটে দিতে পারবে না শাসকগোষ্ঠী। তাদের তো আবার লালজুজুতে ভয়ানক ভয়। এমনকি লালের পরিবর্তে 'পিংক' হলেও ভয়।
মজার ব্যাপার যে এ প্রতিবাদীরা আমেরিকান ঢঙে তাঁদের যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন; অর্থাৎ নেচে-গেয়ে মহাউল্লাসে। এখানেই অনেক প্রভেদ তৃতীয় বিশ্বের প্রতিবাদী আন্দোলনের সঙ্গে। এতে একটা সুবিধা যে সরকার আর যা-ই হোক এদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে পারবে না। 'আমরাই ৯৯ শতাংশ' এ-জাতীয় স্লোগানের তাৎপর্য অনেক। ৯৯ না হোক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো বটেই। বড় কথা হলো, একাধিক অঙ্গরাজ্যের মধ্য দিয়ে এই যে প্রতিবাদী যাত্রা এবং এর পক্ষে যে ক্রমবর্ধমান জনসমর্থন তা একসময় পুলিশি চাপে স্তব্ধ হয়ে গেলেও বলার অপেক্ষা রাখে না যে আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট দখলের এই যে জনঘোষণার তাৎপর্য অনস্বীকার্য। দেশে-বিদেশে এর পক্ষে ক্রমবর্ধমান সমর্থন যেমন তৎপর্যপূর্ণ, তেমনি এর প্রভাব আমেরিকার শাসনব্যবস্থায় একটা বড়সড় ঝাঁকুনি দিয়ে শেষ হবে। কুবের প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সম্ভবত এই প্রথম।
বাংলাদেশ তার সংখ্যাগরিষ্ঠ দুস্থদের নিয়ে সংকটতাড়িত সন্দেহ নেই। মুক্তবাজার অর্থনীতি ও করপোরেট বাণিজ্য শক্তির খবরদারিতে এ দেশে একদিকে যেমন সমাজের ভোগবাদী আদর্শের প্রবল প্রভাব (অবশ্য উচ্চশ্রেণীর সামান্য কয়েক শতাংশে), তেমনি এ স্বল্পায়তন বৃত্তে হঠাৎ করে অগাধ বিত্তের মালিকদের কী যে প্রতাপ গোটা সমাজে, মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনে! সেই সঙ্গে মার্কিনি আদর্শে, মার্কিনি যোগসাজশে!
শেয়ারবাজারে বিশাল ধস সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শূন্য থেকে ডোবায় ফেলে দিয়ে যে সামাজিক আলোড়ন তৈরি করেছে, অবাক হয়ে লক্ষ করছি তার প্রতিক্রিয়ায় গভীর কোনো আন্দোলন তৈরি হয়নি, ক্ষুব্ধ প্রতিবাদে তা শেষ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের খ্যাতি আন্দোলনের দেশ হিসেবে। ইতিহাসে তেমন প্রমাণ ধরা আছে।
কিন্তু রাজনীতিকদের কলাকৌশলে রাজনীতি এমনি দূষিত হয়ে গেছে যে এখানে এত দুর্যোগের পরও 'স্টক এঙ্চেঞ্জ দখল করো' এ ধরনের কোনো স্লোগান ওঠেনি, আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। আমাদের সুশীল সমাজ এ বিষয়ে সামান্যতম প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। বিরোধী দল তো নয়ই। যে বঙ্গে এক পয়সা ট্রাম ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিশাল আন্দোলন হয়, যে পূর্ববঙ্গে ভাষা থেকে নানা অধিকারের দাবিতে শুধুই আন্দোলন, সে বাংলাদেশ প্রয়োজনে নিথর, কিন্তু শক্তি বা দলীয় স্বার্থে মুখর। এ দেশের কি উল্টোবাসে বিবর্তন ঘটছে?
সবশেষে আবারও ওয়াল স্ট্রিট প্রসঙ্গ। আকাঙ্ক্ষিত নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত মার্কিন নাগরিকদের এতকাল পরে হুঁশ হয়েছে যে তারা বঞ্চিত এবং সম্পদের পাহাড় গড়েছে করপোরেট বাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট এক শ্রেণীর মানুষ, সংখ্যায় তারা অতি অল্প। তাই ধনকুবেরদের আস্তানা দখলের স্লোগান। যত কর (ট্যাঙ্) গরিব ও মাঝারি আয়ের মানুষের ওপর। ওবামার স্বস্তিদায়ক কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি ধনকুবের প্রতিনিধিদের বিরোধিতার মুখে।
এ আন্দোলন সফল হোক না হোক, এর প্রভাব পড়েছে ইউরোপের অনেক দেশে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে। প্রতিবাদের এ জোয়ার কি কোনো পলিস্তর রেখে যাবে না, যেখান থেকে অঙ্কুরিত হতে পারে দারিদ্র্য, বৈষম্য, দুর্নীতি, স্বার্থের যুদ্ধ ও পর্বতপ্রমাণ অনড় পুঁজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বৃক্ষ। পুঁজিবাদী দেশে পুঁজির বিরুদ্ধে এ প্রবল প্রতিবাদ এ মুহূর্তে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারবে না জানি।
কারণ জুকোটি পার্ক তাহিরি স্কোয়ার হতে পারেনি। কারণ মার্কিন প্রশাসন এখনো প্রচণ্ড রকম শক্তিশালী। কিন্তু বাস্তিল গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় রাজতন্ত্রে যে ঘুণ ধরেছিল, সে ঘুণ হয়তো এখনো মার্কিন পুঁজিবাদকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো যথেষ্ট নয়। কিন্তু নিঃসন্দেহে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এ সূচনা কোনোক্রমেই গুরুত্বহীন নয়। এ ক্রোধে শিখা অনেক আকারে জ্বলে ওঠা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জুকোটি পার্ক থেকে তার যাত্রা শুরু।
লেখক : ভাষা সংগ্রামী, কবি, রবীন্দ্র গবেষক, প্রাবন্ধিক

No comments

Powered by Blogger.