বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুটি দলিল সই-যৌথ কমিশন ও বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বাড়াতে যৌথ কমিশন ও বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে দুটি দলিল সই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ থিন সেইনের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার মিয়ানমারের নতুন রাজধানী নে পেই তাওয়ে দলিল দুটি সই হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার। শেখ হাসিনা ও প্রেসিডেন্ট উ থিন সেইনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয়


বৈঠকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে মিয়ানমারে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হওয়া সাপেক্ষে বাংলাদেশে গ্যাস রফতানিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট থিন সেইন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন দিনের সফর
শেষে দু'দেশের প্রকাশিত যৌথ ইশতেহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এদিকে মিয়ানমার সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'বালি ডেমোক্রেসি ফোরামে' যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে গতকাল বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে গেছেন।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে দলিল দুটি সই হয়েছে নে পেই তাওয়ের প্রেসিডেন্টের দফতরে। যৌথ কমিশন গঠনের দলিলে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ ইউনা মং উইন। যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকে সই করেন এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ ও ইউনিয়ন অব মিয়ানমার ফেডারেশন অব চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউএমএফসিসিআই) সভাপতি উ উইন অং।
নে পেই তাওয়ে প্রেসিডেন্টের দফতরে উ থিন সেইন ও শেখ হাসিনার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়া, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, সড়ক ও আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট থিন সেইন বলেন, মিয়ানমার তাদের বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্র থেকে চীনের কাছে গ্যাস রফতানি বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার ও পর্যাপ্ত মজুদসাপেক্ষে বাংলাদেশ গ্যাস রফতানির ক্ষেত্রে অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু'দেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এশিয়ান হাইওয়ের বাস্তব রূপদানের পাশাপাশি উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কার্যকর রূপ দিতে প্রাচীন সংযোগ পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাব দেন। ২০০৭ সালের ২৭ জুলাই দু'দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ তামব্রু সীমান্ত থেকে বাওয়ালি বাজার পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাওয়ালি বাজার থেকে কেয়াকতাও পর্যন্ত ১০৫ কিলোমিটার সড়ক যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
রোহিঙ্গা সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শরণার্থীরা বাংলাদেশে গুরুতর সামাজিক, আর্থিক ও পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন শুরুর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উদ্বাস্তুদের দেশে ফিরে আসতে রাজি করাতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করতে পারে। এ ছাড়া শরণার্থী বিষয়টির স্থায়ী সমাধানে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে মিয়ানমারকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরাসরি ক্রেতা হিসেবে কিংবা সমতার ভিত্তিতে মিয়ানমারের যে কোনো জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতামূলক পরিবেশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাসহ শিক্ষা ও পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ এম ওয়াহিদুজ্জামান, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, নাজমুল হাসান এমপি ও বীর বাহাদুর এমপি উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন।
'ব্যবসায়িক সুযোগ কাজে লাগান' : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর নে পেই তাওয়ে ভাদানার থেইনদাহা হোটেলে সফরসঙ্গী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ মিয়ানমার তার বাজার উন্মুক্ত করেছে। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ।
নৈশভোজ সভা :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরনো বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সমৃদ্ধি অর্জনে নতুন করে অঙ্গীকারের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আমাদের জনগণ, আমাদের জাতি এবং আমাদের এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি অর্জনের অভিন্ন লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে নেবে।' প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার তার সম্মানে সে দেশের প্রেসিডেন্ট উ থিন সেইনের দেওয়া নৈশভোজ সভায় ভাষণ দেন। তিনি বলেন, 'আমার জীবনের গোড়ার দিকে আপনাদের এই মহান দেশ সম্পর্কে বহু কিছু শুনে এসেছি। স্বাধীনতার পর পর ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে আপনাদের দেশ বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছে।'
শেখ হাসিনা তাকে ও তার সফরসঙ্গীদের উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদানের জন্য প্রেসিডেন্ট সেইনকে ধন্যবাদ জানান এবং মিসেস উ সেইনসহ তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
নে পেই তাওয়ে বাংলাদেশ চ্যান্সেরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার মিয়ানমারের নতুন রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বাংলাদেশই প্রথম কূটনৈতিক এলাকায় চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করল। প্রায় ৭ একর জমির ওপর ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার যেসব দেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন রয়েছে তার প্রতিটিতে নিজস্ব ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়তে সরকারকে আন্তরিক সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ৩২৫ ফুট উঁচু ঐতিহাসিক 'উপ্পতাসান্তি' প্যাগোডা পরিদর্শন করেন। এখানে চীন থেকে আনা গৌতম বুদ্ধের দাঁত রয়েছে। তিনি মিয়ানমারের শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক শ্বেতহস্তী দেখার জন্য নিকটবর্তী একটি চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেন।
যৌথ ঘোষণা :বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা এবং দু'দেশের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩ দিনের মিয়ানমার সফর শেষে গতকাল প্রকাশিত এক যৌথ ঘোষণায় এ কথা বলা হয়। ঢাকা এবং নে পেই তাও থেকে ঘোষণাটি একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়, দুটি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হচ্ছে দেখে দুই শীর্ষ নেতা আনন্দিত। ঘোষণায় বলা হয়, এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র জোরদার করার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারি বৈঠকের সময় কক্সবাজারের নয়াপাড়া এবং কুতুপালংয়ে বসবাসরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ইস্যুটি উত্থাপন করেছেন। সরকারি হিসাবের বাইরেও বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে। শরণার্থী ইস্যুর ব্যাপারে প্রস্তাব গ্রহণ করায় দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ থিন সেইন ইস্যুটি নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে জ্বালানি আমদানি করার ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ, নিটওয়্যার, পাট, পাটজাত দ্রব্য, সিরামিকস পণ্য আমদানি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বালি পেঁৗছেছেন :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'চতুর্থ বালি ডেমোক্রেসি ফোরামে' যোগদানের উদ্দেশ্যে মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর হয়ে গতকাল বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে পেঁৗছেছেন। আজ এই ফোরাম শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমান স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে বালির ডেনপাসার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বালি সফরকালে তিনি এ হোটেলে অবস্থান করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ এম ওয়াহিদউজ্জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
নুসা দোয়ার বালি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিতব্য ফোরামে ১৫টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অংশগ্রহণ করবেন। শেখ হাসিনা আজ ফোরামে ভাষণ দেবেন এবং বিভিন্ন অধিবেশনে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী শুক্রবার দেশে ফিরবেন।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোইয়োনো বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে এ পর্যন্ত সই হওয়া সব চুক্তি কার্যকর করার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। গতকাল বালি দ্বীপে ল্যাগুনা হোটেলে প্রেসিডেন্ট সুসিলোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে শেখ হাসিনা সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রেসিডেন্ট সুসিলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.