আমাদের রবীন্দ্রনাথ একই by ফখরে আলম,

মাদের একই ভাষা। একই রবীন্দ্রনাথ। আমাদের একই বাতাস। একই আকাশ। আমাদের বন্ধুত্ব ভ্রাতৃত্ব হাজার বছরের। সাংস্কৃতিক বন্ধুত্ব আরো মজবুত। আমরা এক সুরে গান গাই। রবীন্দ্রনাথকে মেলে ধরি।' নাটকের শুরুতে এ কথা বললেন কলকাতার অনিক থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক অমল চক্রবর্তী। স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি ও রবীন্দ্রনাথের সার্ধশততম বর্ষ উপলক্ষে ভারত থেকে বাংলাদেশে নাটক নিয়ে এসেছে কলকাতার অনিক থিয়েটার।


আর নাটকের বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের নাটককেই। রবীন্দ্রনাথের 'তপতী' নাটকটি গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অনিক মঞ্চস্থ করল যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে। ২০ জন অভিনেতা-অভিনেত্রী রবীন্দ্রনাথের স্বপ্ন ও বিশ্বাসকে দর্শকদের হৃদয়ে ঢুকিয়ে দেন। যশোরের বিবর্তনসহ দেশের কয়েকটি নাট্য সংগঠনের আমন্ত্রণে অনিক থিয়েটার বাংলাদেশে এসেছে। দলটি একই নাটক সিরাজগঞ্জ ও রংপুরে মঞ্চায়ন করেছে। এই বিজয়ের মাসে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়ন করবে।
১৯২৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কবি নিজেই নাটকটি প্রথম প্রযোজনা করেন। এরপর ১৯২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে শিশির ভাদুড়ী বাণিজ্যিকভাবে এর প্রযোজনা করেন। রানী সুমিত্রার কঠিন অনমনীয় চরিত্র রাজা বিক্রমের দুঃখদায়ক বিয়োগাত্মক প্রেম তাঁরই প্রেয়সীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। রাজার আচরণে বিতশ্রদ্ধ সুমিত্রা স্বদেশ কাশ্মীরে ফিরে যান। বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কবির পক্ষে তা বোঝা সম্ভব ছিল না। কিন্তু তিনি বাস্তবতাকেই ফুটিয়ে তুলেছেন। কবি মনে করেছেন আদর্শ, প্রেম, ভালোবাসা মুক্তি দেয়। নাটকটির মূল চরিত্র সুমিত্রার অভিনয় করেছেন তপতী ভট্টাচার্য আর রাজা বিক্রমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অরূপ রায়। পরিচালনা করেছেন মলয় বিশ্বাস। নাটকের শুরুতে যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান কলা-কুশলীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবর্তন যশোরের সভাপতি সানোয়ার আলম দুলু।

No comments

Powered by Blogger.