সশস্ত্র বাহিনী জনগণের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আস্থা অর্জন করেছে-সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজের জন্য সশস্ত্র বাহিনী আজ জনগণের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, উদ্ধার তৎপরতা ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংকটে সশস্ত্র বাহিনী দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১১ উপলক্ষে গতকাল সেনাকুঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।


এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান এবং বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্য ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানরা সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা, উৎকর্ষতা ও মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন 'বীরত্ব পদকে'র পাশাপাশি নতুন করে শান্তিকালীন মেডেল প্রবর্তনের বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বর্ধিত হারে এককালীন অনুদান ও মাসিক ভাতা প্রবর্তনের বিষয়টিও সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য সিএসডি
সুবিধা, সুলভ মূল্যে বিপণন ও ব্যাংকিং সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ও বিবেচনা করছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে তিনি দেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য তার সরকার নতুন নতুন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তিনি বলেন, সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের দেশে ও বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে।
স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাংসদ, মুক্তিযোদ্ধা, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধান, কূটনীতিক, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের পত্নী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর যেসব সদস্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীরত্বপূূর্ণ অবদান রেখেছেন তারাসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণের শুরুতেই সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবময় এদিন এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।
'আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আজকের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যময়' উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করেন। ফলে দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথা জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল একটি দক্ষ ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা_ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু একটি আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) মিলিটারি একাডেমী, কম্বাইন্ড আর্মড স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরও অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি 'ঈশা খাঁ' উদ্বোধন করেন। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য দুটি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ৩৭ বছর পর আজও সেগুলো চালু রয়েছে বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বিমানবাহিনীর জন্য তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুপারসনিক মিগ-২১ জঙ্গি বিমানসহ হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান ও র‌্যাডার সংগ্রহ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র বাহিনীর যে সুদৃঢ় ভিত রচনা করে গেছেন, তারই ওপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের আজকের সশস্ত্র বাহিনী। তাদের দক্ষতার ছাপ দেশ ছাড়িয়ে আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নন-কমিশনড অফিসার্স একাডেমী ও 'বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং' প্রতিষ্ঠানটিও তার নেতৃত্বাধীন বিগত সরকারের আমলে স্থাপন করা হয়। সে সময় সেনাবাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্র সংগ্রহসহ দুটি নতুন ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন, একটি সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন, একটি অর্ডন্যান্স কোম্পানি ও একটি ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সসহ ৩৬টি ইউনিট আমরা প্রতিষ্ঠা করি। এতে প্রায় ১১ হাজার জনবল বৃদ্ধি পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এবং আর্মড ফোর্সেস নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। এ সময় বিমানবাহিনীর জন্য আরও আটটি মিগ-২৯ কেনা এবং প্রশিক্ষণ বিমান ও হেলিকপ্টার সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া বিমানবাহিনীতে নতুন চারটি এফটি-৭বি জঙ্গিবিমান সংযোজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের বিশাল সমুদ্র এলাকার সার্ভিল্যান্স এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেভাল এভিয়েশনে এরই মধ্যে দুটি মেরিটাইম হেলিকপ্টার সংযোজন করা হয়েছে। দুটি মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্র্যাফট সংযোজনের অপেক্ষায় আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর একটি পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সামরিক এবং বেসামরিক স্থাপনাগুলো ও সমুদ্র এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বেশ ক'টি উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও সশস্ত্র বাহিনী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। এরই মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার আইডি কার্ড এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নে সশস্ত্র বাহিনী সফলতার পরিচয় দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিশ্বসমাজের প্রশংসা অর্জন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দায়িত্ব পালনকালে অনেক সদস্য শাহাদাতবরণ করেছেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসে তিনি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় মর্মান্তিক বিডিআর বিদ্রোহ হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাহিনীর নিজস্ব আইনে বিচার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দেশের প্রচলিত আইনে বেসামরিক আদালতে চলমান।
শেখ হাসিনা বলেন, এ বিদ্রোহের ঘটনায় চার্জশিটে আটশ'র বেশি অভিযুক্ত রয়েছে। তাদের বিচার চলছে। আমরা আশা করছি এ সরকারের আমলেই বিচার সম্পন্ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ রাইফেলসের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে। এ বাহিনীর আমূল পরিবর্তনের জন্য পোশাকসহ অন্যান্য সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এ বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি এবং কল্যাণ কামনা করেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি : রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সকাল ৮টায় শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র অভিবাদন জানায়। পরে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শেখ হাসিনা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র অভিবাদন জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বঙ্গভবনে তিন বাহিনী প্রধানরা : রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের চলমান প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল বঙ্গভবনে সেনাপ্রধান জেনারেল মোঃ আব্দুল মুবীন, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল জেডইউ আহমেদ ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল এসএম জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সাক্ষাৎকালে তিন বাহিনীর প্রধানরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী তিন বাহিনীর গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলতি অর্থবছর থেকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা ২০ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১১ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকার এবং অন্যান্য খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া জাতীয় খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয় সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদপড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভুক্তির জন্য এরই মধ্যে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তালিকায় যেন কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীসহ বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মানী ভাতার চেক ও দেশে তৈরি 'দোয়েল' ল্যাপটপ তুলে দেন।

No comments

Powered by Blogger.