সাক্ষাৎকার-বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে আশাবাদী by রবিউল ইসলাম জীবন

বাংলাদেশ ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে এক অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠান ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন ঋষিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফকির আলমগীর। লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন৩৫ বছর পার করেছে ঋষিজ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।আমি দারুণ আনন্দিত। ১৯৭৬ সালের ২২ নভেম্বর নিজ হাতে যে সংগঠনটি গড়ে তুলেছিলাম, সেটা এতগুলো বছর পার করেছে, তা ভাবতেই ভালো লাগছে।


যে স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, তার কতটা পূরণ হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
সবটাই যে পূরণ হয়েছে, তা বলব না। আবার সবটাই ভঙ্গ হয়েছে, এমনও নয়। বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে আমি আশাবাদী। আমার বিশ্বাস, তারা এটাকে আরো সামনে নিয়ে যাবে।
আজকের আয়োজন সম্পর্কে বলুন।
বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে আমাদের আজকের বিশেষ অনুষ্ঠান। এতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনার পাশাপাশি থাকছে গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন। বিশেষ অতিথি বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। ১৯৮৩ সালে আমরা শুরু করেছিলাম গুণীজন সংবর্ধনা। এবার সংবর্ধনা পাচ্ছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। ঋষিজ পদক ছাড়াও তাঁকে দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, সনদপত্র ও উত্তরীয়। সাংস্কৃতিক পর্বে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর পাশাপাশি গান পরিবেশন করবে উদীচী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, অভ্যুদয় ও সুর বিহঙ্গ।
শোনা গেছে, এবারকার আয়োজনটি প্রয়াত সংগীত ব্যক্তিত্ব অজিত রায়কে উৎসর্গ করছেন?
হ্যাঁ। এবারকার অনুষ্ঠানটি আমরা তাঁর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করছি। এ ছাড়া এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা স্মরণ করব ভূপেন হাজারিকা, ওস্তাদ মনিরুল আলম মনু, লোকসংগীত ও গণসংগীত ব্যক্তিত্ব ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীর, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তারেক মাসুদ, সংগীত ব্যক্তিত্ব আজম খান, পিলু মমতাজ, আমিনুল হক, হেনা কবির, আবিদ শাহরিয়ার, ভাষাসৈনিক ইমদাদ হোসেন এবং চিত্রশিল্পী এস এম কিবরিয়া, মমিনুল হক প্রমুখকে।

No comments

Powered by Blogger.