আরব লিগের সময়সীমা শেষ লড়াই চালিয়ে যাব: আসাদ

আরব লিগের অবরোধ আরোপের হুমকিতে কোনো কাজ হয়নি; বরং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি মরতে প্রস্তুত। গত শনিবার সরকারি বাহিনীর গুলিতে আরও ১৭ জন নিহত হয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আরব লিগ গত শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সিরিয়াকে সময় বেঁধে দিয়েছিল। আরব লিগ এরই মধ্যে তাদের ২২ সদস্যের তালিকা থেকে সিরিয়ার নাম বাদ দিয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি লোক মারা গেছে। সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। রাশিয়া উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে।
সানডে টাইমস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বাশার আল-আসাদ বলেছেন, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি হস্তক্ষেপ এলে তিনি দেশের জন্য লড়াই করে প্রয়োজনে মরতেও প্রস্তুত। তিনি বলেছেন, ‘এটাই ঘটবে এবং এটাই সত্য।’
আসাদ বলেন, সিরীয়দের প্রতি ফোঁটা রক্তের জন্য তাঁর মন কাঁদে। কিন্তু এর পরও সশস্ত্র বিদ্রোহী সেনাদের মোকাবিলা করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সিরিয়া মাথা নত করবে না। সিরিয়ার ওপর বাইরের চাপ মোকাবিলা অব্যাহত রাখবে তাঁর সরকার।
এরই মধ্যে গতকাল বাশার আল-আসাদের বাথ পার্টির সদর দপ্তরে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এটি রকেটচালিক গ্রেনেড হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে আর বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
আসাদের পরিণতি গাদ্দাফির মতো হবে
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আসাদ এমন এক জায়গায় পৌঁছেছেন, যেখান থেকে আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। তাঁকে লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ও ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।
গত শনিবার কানাডায় অনুষ্ঠিত এক প্রতিরক্ষা সম্মেলনে এহুদ বারাক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি (আসাদ) এমন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, যেখান থেকে আর ফেরার সুযোগ নেই। তিনি কর্তৃত্ব ও বৈধতা গ্রহণ করবেন, সেই সুযোগও নেই।’
এহুদ বারাক ভবিষ্যদ্বাণী করেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের কয়েক মাসের মধ্যে পতন হবে। তিনি বলেন, ‘এটি আমার কাছে পরিষ্কার যে কয়েক সপ্তাহ আগেও গাদ্দাফির ভাগ্যে কী জুটেছে...এবং সাদ্দাম হোসেনের পরিণতিও কী হয়েছিল, এখন তাঁর (আসাদ) জন্য অপেক্ষা।’

No comments

Powered by Blogger.