খুলনায় কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

গরীর সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত ছাত্ররা হলেন মো. আলিম-উল-জিয়া (২৩), ফকরুল ইসলাম (২০), রুম্মান হোসেন (২০), আশিক খন্দকার (২২), কাবিরুল ইসলাম খান (২০) ও অমিতাভ ঘোষ (২৪)। তাঁদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


তাঁদের মধ্যে মো. আলিম-উল-জিয়া ও রুম্মানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুপুর সোয়া ১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষরা কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের নেতা আলিম-উল-জিয়ার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে এসে ফকরুল, রুম্মান, আশিক ও কাবিরুল আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে নগরীর শামসুর রহমান রোডে ছাত্রলীগের অন্য অংশের নেতা কলেজের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ঘোষের ওপর জিয়ার সমর্থকরা হামলা চালায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কলেজসংলগ্ন সড়কে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক জানান, 'আহতদের প্রায় সবার শরীরেরই ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া ও রুম্মানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের পেটে ও ঘাড়ে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া আহত অমিতাভ মাথায় আঘাত পেয়েছেন। অন্যরা শঙ্কামুক্ত।'
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি দেবদুলাল বাড়ৈ বাপ্পি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এটি ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপিং নয়। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।'
কলেজের অধ্যক্ষ অবনী ভূষণ নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'একই দলের দুটি গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি কলেজে নতুন যোগ দিয়েছি। তাদের সমস্যা মেটানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তার মধ্যে এ ঘটনা দুঃখজনক।'
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, 'একই সংগঠনের দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।'

No comments

Powered by Blogger.