লেপ কম্বলের খোঁজে...

হাড় কাঁপানো শীত না এলেও শীতের আমেজটা কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে একটু একটু করে। চারদিকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে শীতকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। আসন্ন শীতকে বশ করতে লেপ ও কম্বলের কদরও বাড়তে শুরু করেছে বেশ। আপনিও নিতে শুরু করুন হিম হিম দিনগুলোতে উষ্ণ থাকার প্রস্তুতি। জেনে নিন লেপ-কম্বলের খোঁজখবর সম্পর্কে বিস্তারিত :


আরামদায়ক লেপ : তীব্র শীতকে বশে আনার জন্য লেপের ওম লাগবেই। পুরনো লেপ থাকলে সেটা বের করে রোদে দিয়ে প্রস্তুত করে রাখুন। আর না থাকলে নতুন আরেকটার ব্যবস্থা করে ফেলুন সময় থাকতেই। লেপ সাধারণত অর্ডার দিয়েই বানানো হয় বেশি। তবে রেডিমেট লেপও কিনতে পারেন চাইলে। লেপ-তোশকের দোকানে অর্ডার রাখার পাশাপাশি তৈরি লেপ বিক্রি হয়। সিঙ্গেল, সেমিডবল ও ডবল_ এই তিন আকৃতির লেপ পাবেন দোকানে। তবে রেডিমেড লেপের মান নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থেকেই যায়। এজন্য ফরমায়েশ দিয়ে লেপ বানিয়ে নেওয়াই ভালো। এতে কাপড়, তুলার ধরন এবং স্থায়িত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত থাকা যায়। নীলক্ষেতে বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে লেপ তৈরির দোকান। এছাড়া মালিবাগ, শান্তিনগর ও ফার্মগেটে পাবেন লেপ তৈরির দোকান। দোকানে গিয়ে সচেতনতার সঙ্গে কাপড়, তুলা ও সাইজ নির্ধারণ করে ফরমায়েশ দিন। সিঙ্গেল লেপ দৈর্ঘ্যে তিন হাত ও প্রস্থে পাঁচ হাত হয়। বানাতে খরচ পড়বে ৮০০-১০০০ টাকা। ডবল লেপের মাপ চার হাত বাই পাঁচ হাত। ডবল কিংবা সেমিডবল লেপ ১৪০০ টাকার মধ্যেই তৈরি করে নিতে পারবেন। লেপ তৈরিতে সাধারণত সাদা কার্পাস তুলা কিংবা ঝুট তুলা ব্যবহৃত হয়। সিঙ্গেল লেপ তৈরি করার জন্য মোটামুটি আড়াই কেজি তুলা প্রয়োজন হবে। ডবল সাইজের লেপ বানাতে সাড়ে তিন কেজির কিছুটা বেশি পরিমাণে তুলা লাগবে। এক সময় কেবল একরঙা লাল কাপড় দিয়েই তৈরি হতো লেপ। তবে আজকাল বাহারি প্রিন্টের কাপড়ে লেপ বানানো হচ্ছে। অনেকে আবার একপাশে প্রিন্ট ও অন্যপাশে একরঙা কাপড় দিয়ে বৈচিত্র্য নিয়ে আসছেন লেপে। তবে লেপে কভার ব্যবহার করাই ভালো। লেপ তৈরি করে এমন দোকানেই পাবেন মাপমতো কভার। নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও মৌচাক মার্কেটের কিছু দোকানে পাবেন লেপের কভার। চাইলে কাপড় কিনে দর্জির দোকান থেকে বানিয়েও নিতে পারেন।
লক্ষণীয়
সাধারণত লেপ অর্ডার দেওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই ডেলিভারি দেওয়া হয়।
অর্ডার দিয়ে তৈরি না করে রেডিমেড লেপ কিনতে চাইলে খরচ কিছুটা কম পড়বে।
আগের বছরের উঠিয়ে রাখা লেপের কোনো অংশ ছিঁড়ে গেলে রিপু করিয়ে নিতে পারেন। লেপ তৈরির দোকানেই থাকে রিপু করার ব্যবস্থা।
কম্বলের ওম : অল্প শীতকে বাগে আনার পাশাপাশি প্রচণ্ড শীতেও আশ্রয় খুঁজতে পারেন কম্বলের কাছে। এরই মধ্যে বাজারে চলে এসেছে বাহারি কম্বল। শিশুদের জন্য ছোট সাইজের কম্বলের পাশাপাশি বিশাল সাইজের ফ্যামিলি কম্বলের দেখাও মিলবে মার্কেটগুলোতে। ছোট কম্বলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বড় সাইজের কম্বল কিনতে চাইলে ১২০০ টাকার মধ্যে পড়বে দাম। বিদেশি কম্বল কিনতে চাইলে অবশ্য দাম কিছুটা বেশি পড়বে। বিদেশি কম্বলের মধ্যে রয়েছে কোরিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানের কম্বল। দাম ১ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। নিউমার্কেটে দেখা গেল চমৎকার সব কম্বলের পসরা। একরঙা কম্বলের চেয়ে ডিজাইন করা কম্বলের চাহিদাই বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। বায়তুল মোকাররম, মালিবাগ, বঙ্গবাজারসহ সব মার্কেটেই পেয়ে যাবেন দেশি-বিদেশি নানা ধরনের আরামদায়ক কম্বল। সেখান থেকে খুঁজে নিন আপনার পছন্দের কম্বল।
লক্ষণীয়
দামি কম্বল কেনার ক্ষেত্রে এর যত্নআত্তি সম্পর্কে জেনে আসবেন ভালো করে।
কম্বলের জন্য আলাদা প্যাকেট থাকা জরুরি।
কম্বল পরিষ্কারের জন্য ড্রাইওয়াশ করাই ভালো।

লেখা : নোরা তাসনিম; ছবি : শৈলী ডেস্ক

No comments

Powered by Blogger.