চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নবরূপে যাত্রা

খোলনলচে পাল্টে গেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের। বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদানকারী এ প্রতিষ্ঠান গতকাল থেকে যাত্রা শুরু করেছে নতুন রূপে। এতদিন আমদানি ও রফতানি শাখা পৃথকভাবে শুল্কায়ন কাজ সম্পন্ন করলেও বুধবার থেকে একীভূত হয়ে গেছে উভয় শাখা। এ জন্য দীর্ঘদিনের পুরনো অর্গানোগ্রাম ভেঙে গঠন করা হয়েছে নতুন অর্গানোগ্রাম। সে অনুযায়ী, নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে নতুন এক হাজার ২৪৫ জন জনবলও। প্রাথমিকভাবে অর্ধশত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন জনবল।


গতকাল থেকে নতুন ধারায় কাজও শুরু করেছেন নতুন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। ওয়ান ইলেভেনের পর শুল্কায়ন কার্যক্রমের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানি ও রফতানি শাখা পৃথক করা হয়েছিল। নতুন জনবল নিয়োগ না দিয়ে এভাবে কার্যক্রম ভাগ করায় সুবিধার বদলে বেড়েছিল ভোগান্তি। নতুন এক হাজার ২৪৫ জনবলের অর্গানোগ্রাম করে একীভূত করা হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম। গত জুলাই মাসে নতুন জনবলের খসড়া পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমসে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেন, 'ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই আমদানি ও রফতানি শাখাকে একীভূত করেছি আমরা। শুল্কায়নের সুবিধার্থে নতুন করে নিয়োগ দিচ্ছি আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ জনবল। এতে কাস্টম হাউসের গতিশীলতা আরও বাড়বে।'

No comments

Powered by Blogger.