ইরাক ছাড়লেও উপসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

চলতি বছর ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় অঞ্চলে তাদের সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করছে। গত রোববার নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর নিরাপত্তা-সংকট সৃষ্টি ও ইরানের সঙ্গে সামরিক বিরোধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে এ ধরনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে কুয়েতে নতুন করে আবারও সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ওবামা ২১ অক্টোবর এ বছরের মধ্যে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পরই এ পরিকল্পনাটি গৃহীত হয়। ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারে এ অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কায় মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি কয়েকটি উপসাগরীয় দেশেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় পেন্টাগন বিকল্প পরিকল্পনা দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। বিকল্প এ পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় অঞ্চলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও বেশিসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইরানের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) ছয় সদস্যদেশের সঙ্গেই সামরিক সম্পর্ক জোরদার করতে চাচ্ছে ওয়াশিংটন। এ ছয়টি দেশের মধ্যে রয়েছে: সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান।
তবে কুয়েতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটিতে মার্কিন পদাতিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কত হবে, তা নির্ধারণ করা হবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.