অবশেষে পরীক্ষা দিচ্ছে আলেয়া

বাল্যবিবাহ থেকে রেহাই পাওয়ার পর অবশেষে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে আলেয়া ইয়াছমিন। শিক্ষকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানান, প্রথম পরীক্ষায় আলেয়া নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে পরীক্ষার হলে আসে এবং দুই ঘণ্টার মধ্যেই সব প্রশ্নের উত্তর লিখে খাতা জমা দেয়। গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।আলেয়া চট্টগ্রামের আহমদিয়া সুনি্নয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী। অভিভাবকরা তার অমতে পরীক্ষার দিনই বিয়ে ঠিক করেছিলেন।


পরে গত সোমবার শিক্ষকদের সহায়তা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তার বিয়ে বন্ধ করা হয়। তবে আলেয়ার বাবা মোহাম্মদ আবুল কাশেমের মত না থাকায় জেডিসি পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। ওই মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক শাহানা আফরোজ আলেয়ার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা ছিল। এদিন আলেয়া পরীক্ষা দিতে এসেছিল। তবে ঘণ্টাখানেক পরে। সে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছে।
শাহানা আফরোজ বলেন, 'পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আলেয়া তার মা-বাবার পা ধরে খুব কান্নাকাটি করে। কিন্তু তাঁরা রাজি না হওয়ায় আলেয়া ঘর থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোন করে।' তিনি বলেন, 'আমি একজন শিক্ষক এবং সচেতন মানুষ হিসেবে শেষবার চেষ্টা করি আলেয়ার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে তার মা-বাবাকে রাজি করতে। অনেকক্ষণ বোঝানোর পর তাঁরা আলেয়াকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠান। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে আলেয়া পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে উপস্থিত হয় এবং দুই ঘণ্টার মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়।'
গত ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর কালের কণ্ঠে 'জেডিসি পরীক্ষা ফেলে আলেয়াকে বসতে হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে' এবং 'প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আলেয়ার বিয়ে বন্ধ, তবে পরীক্ষা অনিশ্চিত' শীর্ষক দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

No comments

Powered by Blogger.