ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে, কমেছে সিএসইতে

ঙ্গলবারের চেয়ে ৪.২৪ পয়েন্ট সাধারণ মূল্যসূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) গতকালের লেনদেন। স্টক এঙ্চেঞ্জটিতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। মঙ্গলবার ডিএসইতে সূচক বেড়েছিল ১৬৮ পয়েন্ট। লেনদেন কমেছিল ২০ কোটি টাকা। টানা চার দিনের দরপতনের পর দুদিনে সূচকের ১৭২ পয়েন্ট বৃদ্ধিকে মন্দা বাজারের জন্য সুখবর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জে (সিএসই) সূচক সামান্য কমেছে।


বাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এভাবে কয়টা দিন বাজার ধরে রাখতে পারলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ বলেন, ব্যাংকসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। ফলে বাজারে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
ওয়েবসাইটের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, ডিএসইতে মোট ২৫০টি কম্পানির তিন কোটি ৮৩ লাখ ছয় হাজার ৫৯৭টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮২ কোটি ৭৫ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৬ টাকা। আগের দিনের তুলনায় যা ১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেশি।
গতকাল লেনদেন শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় সূচক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। প্রথম এক ঘণ্টা শেষে সূচক বেড়েছিল ১০৬ পয়েন্ট। এরপর সূচকের তীর নিম্নমুখী হয়ে লেনদেন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ১৪ পয়েন্ট কমে যায়।
দিনশেষে সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৪.২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫২০৯.৪১ পয়েন্টে স্থির হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৫০টি কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টি কম্পানির শেয়ারের দাম। গতকাল ডিএসইতে বাজার মূলধন দাঁড়ায় দুই লাখ ৫৯ হাজার ২৩৫ কোটি ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬৯ টাকা। অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ১৯.৬১ পয়েন্ট কমে ১৪৮৪৩.৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ৯৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এঙ্চেঞ্জটিতে গতকাল ৩২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের ভিত্তিতে গতকালের প্রধান ১০টি কম্পানি হলো তিতাস গ্যাস, বেঙ্মিকো, গ্রামীণফোন, ন্যাশনাল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, এম আই সিমেন্ট, ইউসিবিএল, ইসলামী ব্যাংক ও সামিট পাওয়ার।
মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ১০টি কম্পানি হলো ইমাম বাটন, ন্যাশনাল টিউবস্, হাক্কানি পাল্প, শমরিতা হামপাতাল, সাউথইস্ট ব্যাংক প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, অ্যাপেঙ্ ট্যানারি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বঙ্গজ, আইএসএন ও ফাইন ফুডস।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কম্পানি হলো ন্যাশনাল পলিমার, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, প্রাইম লাইফ ইনস্যুরেন্স, ডেল্টা স্পিনার্স, ইস্টার্ন ব্যাংক এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, মেট্রো স্পিনিং, গ্ল্যাঙ্াে স্মিথ কেলাইন, জনতা ইনস্যুরেন্স, ইসলামী ইনস্যুরেন্স ও এশিয়ান ইনস্যুরেন্স।

No comments

Powered by Blogger.