নারী নির্যাতন : রাজনগরে নবজাতককে গলাটিপে হত্যা, মাকে নির্যাতন : মঠবাড়িয়ায় বিয়ের দাবিতে ধর্ষিতার অনশন : লাকসামে বখাটের হুমকি

মৌলভীবাজারের রাজনগরে নবজাতককে গলাটিপে হত্যা করে গৃহপরিচারিকা মাকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে এক বখাটের পরিবার। ওই বখাটের লালসার শিকার হয়ে বাড়ির গৃহপরিচারিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেয়। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে বখাটের বাবা-মা নবজাতককে গলাটিপে হত্যা করে ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের দাবিতে ধর্ষকের বাড়িতে ধর্ষিতার অনশন পালনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অন্যান্য স্থানে পৃথক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।


এর মধ্যে কুমিল্লার লাকসামে বখাটের উত্ত্যক্ত ও অব্যাহত হুমকির মুখে এক ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বিস্তারিত আমার দেশ-এর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
রাজনগর (মৌলভীবাজার) : উপজেলার সুরিখাল গ্রামে এক নবজাতককে গলা টিপে হত্যার পর গৃহপরিচারিকাকে বাড়িতে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুরিখাল গ্রামের সেলিম মিয়ার ১২ বছরের মেয়ে একই গ্রামে বাবু মিয়ার বাড়িতে গৃহপরিচালিকার কাজ করত। বাড়ির মালিকের ছেলে বখাটে আনোয়ার উদ্দিন বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে সে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে আনোয়ারের স্বজনরা নবজাতককে গলা টিপে হত্যা করে ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দেয় ও মেয়েটিকে ঘরে গৃহবন্দি করে রাখে। স্থানীয়রা ঘটনাটি জানলেও বখাটে আনোয়ারের পরিবারের লোকজন খুব হিংস্র প্রকৃতির হওয়ায় কেউ তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি।
লাকসাম (কুমিল্লা) : লাকসামে বখাটেদের উত্ত্যক্ত ও সন্ত্রাসীদের ভয়ে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া তাকে এসিডে ঝলসে দেয়ার ও পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
উত্তরদা গ্রামের খন্দকার আবদুল বারেকের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পারুল আক্তারকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে জোবায়দুল ইসলাম সুজন উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এসিডে ঝলসে দেয়ার ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে একপর্যায়ে পারুল স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
মঠবাড়িয়া : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ছোট শিংগা গ্রামে গতকাল সকালে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছে দুই সন্তানের জননী এক ধর্ষিতা। এ ঘটনায় ধর্ষক সোহেলের বাড়িতে উত্সুক জনতা ভিড় করছেন। সোহেল স্থানীয় টিকিকাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ধর্ষিতা বলেন, সোহেল তাকে বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
তিনি জানান, পাঁচ মাস আগে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ছোট শিংগা গ্রামের শাহজাহান পেয়াদার ছেলে সোহেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্র্রতি সোহেল তাকে বিয়ের প্রলোভনে ঢাকায় নিয়ে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এদিকে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সোহেলকে তাকে বিয়ে করতে বলেন। সোহেল এতে অস্বীকৃতি জানালে তার বাড়ি গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। ঘটনার পরপরই সোহেল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

No comments

Powered by Blogger.