লোকমানের জানাযায় মানুষের ঢল

ন্ত্রাসীদের গুলিতে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের জানাজা গতকাল বাদ আসর স্থানীয় মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুরো স্টেডিয়াম ও গ্যালারি পূর্ণ হয়ে লোকজনকে সড়কে অবস্থান নিতে হয়। পরে পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।লোকমান হোসেনের নামাজে জানাজায় নরসিংদী, পার্শ্ববর্তী ভৈরব ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য মানুষসহ অংশ নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা, সাংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতারা।


জানাজা নামাজের আগে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, সন্ত্রাসীদের মুখোশ উন্মোচন করে দ্রুত আইনের মুখোমুখি করতে হবে।
এদিকে লোকমান হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় ডাকা হরতাল গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার পর আবার শুরু হয়েছে। সকাল ছয়টা থেকে হরতাল পালিত হলেও তার জানাজার জন্য জেলা ছাত্রলীগ ৭২ ঘণ্টার হরতাল কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থগিত করে।
হরতালের শুরুতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন লোকমানের সমর্থকরা। তারা আন্তঃনগর ট্রেন এগারসিন্দুরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভাঙচুর করে। আগুনে পুড়ে গেছে ট্রেনের নয়টি বগি। তবে এ হরতালের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। এদিকে এ হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করা হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা গেছে, হরতাল সফল করতে সকাল আটটা থেকে হাজার হাজার সমর্থক ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, রেলওয়ে স্টেশন এবং শহরের মূল সড়কগুলোতে অবস্থান নেয়। পাড়া-মহল্লা থেকে বের হওয়া খণ্ড খণ্ড মিছিলে নারী-পুরুষ সবাই অংশ নেয়। হরতালের কারণে শহরের সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে র্যাব-পুলিশের কয়েকশ’ সদস্য সতর্ক প্রহরায় ছিল।
গত মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বৈঠক করার সময় মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মেয়র লোকমান হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

No comments

Powered by Blogger.