কোরবানি আসন্ন-ট্যানারি মালিকরা ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ চান by শিমুল নজরুল,

সন্ন কোরবানির ঈদে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় এক কোটি গবাদি পশুর চামড়া সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে ট্যানারি মালিক এবং কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতি। এ জন্য সরকারের কাছে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রস্তুতকৃত চামড়ার মূল্য কমে যাওয়ায় এবার কাঁচা চামড়ার দামও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।


বাংলাদেশ লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বেলাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে দেশব্যাপী প্রায় ২৫ লাখ গরু, ৮০ লাখ ছাগল, ৬০ থেকে ৭০ হাজার মহিষ ও দুই লাখ ভেড়া কোরবানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এই বিপুল পরিমাণ গবাদি পশুর চামড়া কেনার জন্য সরকারের কাছে ঋণ চাওয়া হয়েছে। যথাসময়ে ঋণ সুবিধা পেলে ট্যানারি মালিকরা এক কোটি গবাদি পশুর চামড়া বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। অন্যথায় আগামীতে দেশের চামড়া শিল্প হুমকির সম্মুখীন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার গত কোরবানির ঈদের আগে গবাদি পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য ট্যানারি মালিকদের বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। তাই এবারও ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আগামী ২৯ অক্টোবর এ ব্যাপারে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান সংগঠনের সভাপতি বেলাল হোসেন।
বর্তমানে প্রতি বর্গফুট চামড়া ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর একই মানের চামড়া বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা বর্গফুট দরে। আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে বলে ট্যানারি মালিকরা জানান। চট্টগ্রামের মদিনা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু মোহাম্মদ বলেন, 'চামড়ার ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে।'

No comments

Powered by Blogger.