বন্ধু বার্লুসকোনিকে চিঠি দিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন গাদ্দাফি

মুয়াম্মার গাদ্দাফি ন্যাটোর হামলা বন্ধে সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির কাছে। গত আগস্টের শুরুর দিকে চিঠি দিয়ে এ আবেদন জানান তিনি। ফরাসি সাপ্তাহিক প্যারিস ম্যাচ গত সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। বার্লুসকোনি ও গাদ্দাফি পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।সাময়িকীর ওয়েবসাইটে ওই চিঠির অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। আরবিতে লেখা চিঠিতে তারিখ দেওয়া আছে ৫ আগস্ট। এতে দ্রুত হাতে লেখা কয়েকটি লাইন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো গাদ্দাফির নিজের লেখা। চিঠিতে আবদেল্লাহ মানসর নামে তাঁর এক সহকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, 'সংশোধনের পর এ নথিসহ বার্তাটি পাঠিয়ে দেবেন।


জানাবেন, চিঠিটি আমি পাঠিয়েছি।'চিঠিতে বার্লুসকোনিকে উদ্দেশ করে লেখা আছে, 'বন্ধুর আচরণে আমি অবাক হয়েছি। যাঁর সঙ্গে আমি দুই দেশের জন্য কল্যাণকর বন্ধুত্বের চুক্তি সই করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, সত্যের ব্যাপারে তুমি অন্তত উদ্বিগ্ন হবে। এ যুদ্ধে সমর্থন দেওয়ার আগে একবার মধ্যস্থতার চেষ্টা করবে।' লিবিয়ার বিদ্রোহী বাহিনীর সমর্থনে ন্যাটোর অভিযানে গত এপ্রিলে যোগ দেয় ইতালি।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ইতালি চাইলে এখনো যুদ্ধের গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে গাদ্দাফিকে রক্ষা করতে পারে। 'আমি তোমাকে দোষ দিচ্ছি না। আমি খুব ভালো করেই জানি, এই বিপর্যয়কর কাজে তোমার সায় ছিল না। এতে তোমাকে বা ইতালির জনগণকেও সম্মান দেখানো হয়নি। তবে আমি মনে করি, এখনো এ লড়াইয়ের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তোমার। আমাদের লিবীয় ভাই ও শিশুদের হত্যাকারী বোমা হামলা থামাও। সমাধানের জন্য তোমার বন্ধু ও সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলো। ... আশা করি সর্বশক্তিমান তোমাকে ন্যায়বিচারের পথ দেখাবেন।'
ইউরোপে বার্লুসকোনিই গাদ্দাফির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। গত সেপ্টেম্বরে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বার্লুসকোনি বলেন, পুরনো বন্ধুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ন্যাটো বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে 'খুব খারাপ লেগেছিল' তাঁর। তিনি একবার পদত্যাগের কথাও ভেবেছিলেন। তবে চিঠিটি বার্লুসকোনির হাতে পেঁৗছেছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে তাঁর দপ্তর থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্যারিস ম্যাচ জানায়, এক ইতালীয় দম্পতি চিঠিটি বার্লুসকোনির দপ্তরে পেঁৗছে দেন। ওই দম্পতি গাদ্দাফির রোম সফরকালে তাঁর সম্মেলনগুলোর আয়োজন করত। সূত্র : রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.