হাছনা বানু হত্যা মামলা-১২ বছর পর তদন্ত শুরু, দুজন গ্রেপ্তার

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ক্যাপ্টেন সামসুল হুদার স্ত্রী হাছনা বানু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গতকাল বুধবার দুপুরে হাছনা বানুর কবরস্থান পরিদর্শন করে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম মনির জানান, প্রায় ১২ বছর আগে ঘটে যাওয়া হাছনা বানু হত্যার ঘটনায় সিরাজগঞ্জ থানার মামলা নং-২১, তাং-১৮/১২/২০১০ ইং-এর তদন্তকাজে তিনি পার্বতীপুরে এসেছেন। এ সময় তিনি নিহতের বাড়ি পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের কবরস্থান পরিদর্শন করে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।


তিনি বলেন, উলি্লখিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত হাছনা বানুর দ্বিতীয় স্বামী মেজর (অব.) শামসুল ওয়াজেদকে ঢাকার মহাখালীর বাসা থেকে গত ৪ অক্টোবর ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে মামলার আরেক আসামি মো. রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় ধরা দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারা অনুযায়ী তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৪ ডিসেম্বর হাছনা বানু তাঁর বাবার বাড়ি থেকে একটি পিক-আপযোগে সৈয়দপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে রাত ১টা ৪০ মিনিটে সিরাজগঞ্জের কড্ডারমোড় নামক স্থানে পিক-আপভ্যানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাছনা বানুর মৃত্যু হয় বলে প্রচার করা হয়। উল্লেখ্য, মানিকের পিতা ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি হানাদারা বাহিনীর হাতে শহীদ হন।

No comments

Powered by Blogger.