সবিশেষ-লাউয়ের জুস পানে সাবধান

ভারতে ডায়াবেটিস রোগীদের কাছে চমৎকার এক পানীয় লাউয়ের শরবত বা জুস। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে-এমন ধারণা থেকে সেখানে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু এ জুস খেয়ে সুস্থতার বদলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমনকি গত বছর এ জুস খেয়ে এক বিজ্ঞানী মারাও গেছেন। এ প্রেক্ষাপটে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার বোতলজাত লাউয়ের জুস তিতা হলে তা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।


বিশেষজ্ঞরা বোতলজাত লাউয়ের জুস পরীক্ষা করে দেখেছেন, এ জুস তিতা হলে তা ডায়াবেটিস রোগীর সুস্থতার বদলে অসুস্থতা ডেকে আনে। লাউয়ের তিতা জুস খেলে শরীরে অস্বস্তি, সর্দি ও বমি বা অন্য কোনো ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে ভারতের আয়ুর্বেদ, যোগ, ইউনানি, সিদ্ধ ও হোমিওপ্যাথি দপ্তর থেকে এক সতর্কবার্তা জারি করেছে। এতে বলা হয়, লাউয়ের জুস পানের আগে এক ফোঁটা পরীক্ষা করে দেখা উচিত সেটি তিতা কিনা। তিতা হলে ওই জুস পরিহার করা উচিত। তা ছাড়া অন্য কোনো জুসের সঙ্গে এটি মেশানোও উচিত হবে না। এ জুস পানের ফলে কারো অস্বস্তি, সর্দি ও বমি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
গত বছর লাউয়ের জুস পান করায় একজন বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তাঁর স্ত্রীও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দেখা গেছে, ওই জুস ছিল তিতা। বিষয়টি পার্লামেন্টে পর্যন্ত আলোচিত হয়। এর পর ওই ঘটনা তদন্তে ভারতের চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ) একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এআইআইএমস) মেডিসিন বিভাগের প্রধান এস কে শর্মা।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, লাউয়ের জুস পানের পর কারো অস্বস্তি, সর্দি, বমি, ডায়রিয়া ও অন্ত্রে রক্তক্ষরণ হলে তাৎক্ষণিকভাবে শিরায় স্যালাইন পুশ করতে হবে। সেই সঙ্গে জুস ও এর স্বাদসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা উচিত। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.