চীনে ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে-সুবিধা পাবে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া

স্তায় পণ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ চীনে ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে। গতকাল বুধবার দেশটির মানবসম্পদ এবং সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এক-পঞ্চমাংশ বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় গড়ে নূ্যনতম মজুরি বেড়েছে ২১.৭ শতাংশ। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেপিএমজির মতে, এর সুবিধা পাবে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশে মজুরি খরচ কম হওয়ায় স্বস্তায়পণ্যবাজারজাতকরণের দিক থেকে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।


দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেইজিং যখন কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, সেই মুহূর্তে নূ্যনতম মজুরি বৃদ্ধির ঘটনা ঘটল। ধারণা করা হচ্ছে, সবচেয়ে কম খরচে পণ্য উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে চীনের যে অবস্থান ছিল, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ফলে সে অবস্থান থাকবে না। মন্ত্রণালয় জানায়, চীনের মোট ৩১ প্রদেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ২১টিতেই এটি বাস্তবায়িত হয়েছে। কেপিএমজির মতে, চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রম খরচ বৃদ্ধির ফলে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ উপকৃত হবে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, চীনের এ মজুরি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় চার গুণ বেশি। তবুও আশা করা হচ্ছে, সবচেয়ে স্বল্প খরচে পণ্য উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে চীন নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে। আর তা সম্ভব হবে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ও অবকাঠামো সুবিধার কারণে।
হংকংয়ের পরে চীনের সেনজেন শহরে মজুরি সবচেয়ে বেশি দেওয়া হচ্ছে; যার পরিমাণ মাসে এক হাজার ৩২০ ইউয়ান বা ২০৭ ডলার। ঘণ্টার হিসাবে সবচেয়ে বেশি মজুরি দেওয়া হচ্ছে বেইজিংয়ে। সেখানে ঘণ্টাপ্রতি মজুরি ১৩ ইউয়ান বা দুই ডলার। চীনে ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ ভোক্তা ব্যয় বাড়াতে এই পদক্ষেপ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.