বড় দরপতনে বিক্ষোভ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবারও বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা বেলা সোয়া দুইটার দিকে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করছেন।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, আজ দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১৪৩.২৯ পয়েন্ট কমে ৫,৪১১.৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আজ স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৩৪৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সোয়া দুইটার দিকে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১৩৮ পয়েন্ট পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে নেমে এসে ডিএসইর মূল ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডিএসইর সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে ডিএসইর সামনের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ দেশের অর্থনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে। যার বিরূপ প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়ছে।
সংগঠনটির সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। তবে বাস্তবে এর কোনো ফল দেখা যাচ্ছে না।’ তিনি শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আজ ডিএসইতে মোট ২৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ১৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো—গ্রামীণফোন, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো, ইউসিবিএল, এনবিএল, মালেক স্পিনিং, সিটি ব্যাংক, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক ও সামিট পাওয়ার।

No comments

Powered by Blogger.