বোলারদের কল্যাণে পাকিস্তানের দিন

দুবাইয়ের উইকেটটা পড়তে ভুল করেছে দুই দলই। প্রথম ভুলটা পাকিস্তানের, আবুধাবির মতোই মরা পিচ ভেবে তারা ফাস্ট বোলার আইজাজ চিমাকে বাদ দিয়ে একাদশে রেখেছে বাঁহাতি স্পিনার আবদুল রেহমানকে। আর এরপর টস জিতে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান নিয়েছেন ব্যাটিং। নিয়েই পড়েছেন রীতিমতো তোপের মুখে! নতুন বল হাতে উমর গুল আর জুনায়েদ খানের সেই তোপের মুখে উড়ে গেছে তাদের টপঅর্ডার।


শুরুর সেই ধাক্কাটা এমনই তীব্র ছিল যে পরে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে নিয়ে কুমার সাঙ্গাকারার লড়াইয়ের পরও ২৩৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে তারা, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে ব্যবধানটাকে ১৯৭তে নামিয়ে এনেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার, ৯ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকে ৪২ রান তুলে নিয়েছেন তাঁরা।আগের ম্যাচে ফিল্ডারদের মাখন-মাখানো আঙুলই ডুবিয়েছিল পাকিস্তানকে। কাল সকালের সেশন দেখে মনে হচ্ছিল সেখান থেকে বুঝি শিক্ষা নিয়েছে তারা-স্লিপে দাঁড়িয়ে তিনটি ক্যাচ নিয়ে গুল-জুনায়েদদের সাহায্য করার পাশাপাশি পথও দেখিয়েছেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। ওই সময় তৃতীয় একজন পেসারের অভাবটা বেশ বুঝতে পারছিল তারা। তবে চিমার অভাবের চেয়েও পরে বড় হয়ে উঠেছে পাকিস্তানি ফিল্ডারদের পুরনো রোগটাই! তৌফিক উমর, ইউনিস খানরা যদি শিক্ষা নিতেন অধিনায়কের কাছ থেকে, তাহলে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটা আরো ছোটও হতে পারত। ব্যক্তিগত ২৭ রানে সাইদ আজমলকে স্কয়ার ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, তৌফিক উমর সেটা রাখতে পারেননি। সেই সাঙ্গাকারা শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৭৮ রান করে। এখানেই শেষ নয়, ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই রঙ্গনা হেরাথের দেওয়া ক্যাচ রাখতে পারেননি ইউনিস খান, সেই হেরাথ শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২৯ রান করে, ১৫৪ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর চানাকা ওয়েলেগেদারার সঙ্গে নবম উইকেটে মহামূল্যবান ৭৫ রান যোগ করার পর। ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ২৩৯ (সাঙ্গাকারা ৭৮, ওয়েলেগেদারা ৪৮, হেরাথ ২৯, সিলভা ২০, ম্যাথুজ ১৯; আজমল ৩/৪৫, গুল ৩/৭৮, রেহমান ২/৪০, জুনায়েদ ২/৫৭)। পাকিস্তান ১ম ইনিংস ৪২/০ (তৌফিক ২০, হাফিজ ১৯)।

No comments

Powered by Blogger.