হাইকোর্টের 'ভুয়া' জামিন আদেশ কিভাবে হলো তদন্তের নির্দেশ

কটি হত্যা মামলায় ২১ আসামির আগাম জামিনের পক্ষে হাইকোর্টের একটি ভুয়া আদেশনামা দাখিল করা হয়েছে গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এই ভুয়া জামিন আদেশের অনুলিপি তৈরির বিষয়টি কিভাবে ঘটল, তা তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও এসপিকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট ২১ ব্যক্তি যেন জামিন না পায় সে জন্য গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ নির্দেশ দেন।
এ ভুয়া জামিন আদেশের অনুলিপি তৈরি করার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করতে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে। ভুয়া জামিন আদেশের অনুলিপিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও অ্যাডভোকেট এ কে মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ারের নাম থাকায় তাঁদের তিনজনের বিষয়েও তদন্ত করতে বলা হয়েছে রেজিস্ট্রারকে।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে ইমদাদুল হক মিলন হত্যা মামলায় ২১ আসামি হাইকোর্ট থেকে আট মাসের আগাম জামিন পেয়েছেন_এমন একটি আদেশনামা দাখিল করা হয় গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। ওই আদেশে দেখা যায়, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি নুরুজ্জামান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৮ অক্টোবর ২১ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ আদেশের কপি গত ২৩ অক্টোবর বিচারিক আদালতে দাখিল করার পর আগামী ১০ নভেম্বর জামিননামা দাখিল করার জন্য দিন ধার্য করা হয়। এই জামিন নেওয়ার খবর পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয় বাদীপক্ষ।

No comments

Powered by Blogger.