মেটাল গানে আত্মহত্যার প্রবণতা

ব মানুষের রুচিবোধ এক রকম নয়। তাই একেকজন মানুষের একেক রকম গানের প্রতি আকর্ষণ থাকাটাই স্বাভাবিক। যেমন কারো পছন্দ খুব সফট ধাঁচের গান, আবার অনেকের পছন্দ হেভি মেটাল। আপাতদৃষ্টিতে এতে দোষের কিছু নেই। তবে এক গবেষণার পর এবার জানানো হয়েছে, হেভি মেটাল ধারার গানের অনুরাগীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিক থেরাপি বিষয়ের সিনিয়র লেকচারার ক্যাটরিনা ম্যাকফেরান সম্প্রতি এ বিষয়ে এক গবেষণা করেন।
গবেষণার পর তিনি জানিয়েছেন, বিষণ্নতায় ভোগা মানুষ হেভি মেটাল ধারার সংগীতের প্রতি বিশেষ অনুরাগ বোধ করে। অতিরিক্ত রকমের যন্ত্র-বাদ্য সহযোগে গাওয়া এ ধরনের গানের যান্ত্রিক আবহ ও শোরগোলের মধ্যে তারা নিজেদের ভুলে থাকতে চায়, বাস্তবতা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৫০ জন শিশু-কিশোরের সঙ্গে কথা বলে এবং এক হাজার শিশু-কিশোরের পারিবারিক-সামাজিক ইতিহাস ও জীবনাচরণ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এভাবে বিষণ্নতাকে প্রশ্রয় দিয়ে এবং বাস্তবতা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে গিয়ে মানুষ আরো বেশি হতাশ ও কল্পনাশ্রয়ী হয়ে পড়ে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় তারা আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
ক্যাটরিনা ম্যাকফেরান জানিয়েছেন, অনেক মানুষ দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টাও গান শোনে। এমনিতে এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তি যারা হেভি মেটালে আসক্ত হয়ে পড়ে, তাদের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকা দরকার। বাবা-মায়ের উচিত হবে এ ব্যাপারে নিজেদের সন্তানদের প্রতি বেশি মনোযোগী থাকা। ম্যাকফেরান জানিয়েছেন, তিনি তাঁর এ গবেষণার ফল পাওয়ার পর একটি বিশেষ তাত্তি্বক মডেল তৈরির চেষ্টা করছেন, যা আত্মঘাতী হতে যাওয়া এ ধরনের ব্যক্তিদের আগেভাগেই চিহ্নিত করতে পারবে। এভাবে মানুষের গান শোনার আগ্রহ ও ধরনের একটি প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.