'পালকি' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার সকালে জার্মানি থেকে দেশে ফিরেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হওয়া নতুন উড়োজাহাজ 'পালকি' উদ্বোধন করেছেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পেঁৗছে বোয়িং-৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজের উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি কেবিনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।ওই সময় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল, মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নিকোলাস ডিন,


বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এয়ার কমোডর (অব.) জাকীউল ইসলামসহ বিমান কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, সংসদের চিফ হুইপ আবদুস শহীদ প্রমুখ।
এয়ার কমোডর (অব.) জাকীউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পালকি মূলত ঢাকা-লন্ডন ও ঢাকা-রোম রুটে উড়বে। তবে প্রয়োজন হলে অন্যান্য রুটেও এটি চালানো হবে।
গত রবিবার সন্ধ্যায় পালকি নামের বোয়িংটি দেশে আসে। বোয়িংয়ের তথ্যানুসারে ৭৭৭-৩৩০ ইআর সিরিজের এই উড়োজাহাজটির যাত্রীবহন ক্ষমতা ৩৬৫ থেকে ৫৫০ জন। এটি বিরতিহীনভাবে সাড়ে ১৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে পারে।
বিমান সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে বোয়িং কম্পানির সঙ্গে বিমানের ১২০ কোটি ডলারের ক্রয় চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় বোয়িং ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিমানকে ১০টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করবে। নভেম্বর মাসে আরেকটি এবং ২০১৩ সালে আরো দুটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩৩০ ইআর বিমানের বহরে যোগ হবে।
বর্তমানে চার ধরনের মোট ১২টি উড়োজাহাজ রয়েছে বিমানের বহরে। এগুলোর মধ্যে নিজস্ব চারটি ডিসি-১০ ছাড়াও রয়েছে নিজস্ব দুটি ও ইজারায় নেওয়া তিনটি এয়ারবাস, নিজস্ব দুটি এফ-২৮ এবং ইজারায় নেওয়া দুটি বোয়িং-৭৩৭ ও সদ্য কেনা একটি বোয়িং-৭৭৭।

অস্ট্রেলিয়ায় গমন
জার্মানিতে পাঁচ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরে গত রাতেই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন-২০১১ তে যোগদান শেষে শেখ হাসিনা গতকাল সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকা পেঁৗছান। পরে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে পার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পেঁৗছাবেন।
সরকারি সফরসূচি অনুযায়ী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় হোটেল হায়াত রিজেন্সির গ্রান্ড বলরুমে 'নারীর ক্ষমতায়নে নেতৃত্বদান' শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেবেন। ২৮ অক্টোবর সকালে তিনি কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম-২০১১) যোগ দেবেন।
মূল অনুষ্ঠানসূচির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ মহাসচিব কমলেশ শর্মা, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হিয়েন লং ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী কারাকাট্টা সমাধিতে ডাবি্লউএএস অডারল্যান্ড, বিপির স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। ২৯ অক্টোবর তিনি প্যাসিফিক পার্থ হোটেলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের সঙ্গে প্রাতঃরাশকালীন বৈঠক করবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা সিএইচওজিএমের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। আগামী ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
পাঁচ দিনের জার্মানি সফরে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন-২০১১ তে মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন। এ ছাড়া তিনি জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল ও জার্মান বুন্দেসটাগের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. নরবার্ট লেমার্ট, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ভেস্টভেলে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী দির্ক নিয়েবেল ও পার্লামেন্টের স্টেট সেক্রেটারি এনেতি ভিদমান মাউজের সঙ্গে বৈঠক করেন।

No comments

Powered by Blogger.