ওয়ারী ও ভিক্টোরিয়ার ইউ-টার্ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : রাহুমুক্তি ঘটছে না বাংলাদেশ লিগের দ্বিতীয় স্তরের। দলবদলের ঘোষণা দেওয়ার পরও নতুন জটিলতার আবর্তে পড়ে গেছে তা। এই জটিলতা নিয়ে হাজির হয়েছে ওয়ারী ও ভিক্টোরিয়া ক্লাব। গতকাল সভায় বসেও পেশাদার লিগ কমিটি এর কোনো সুরাহা করতে পারিনি, সভা স্থগিত করা হয়েছে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
ওয়ারী ও ভিক্টোরিয়ার ক্লাব বাংলাদেশ লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। হঠাৎ করে তারা চিঠি দিয়ে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দ্বিতীয় স্তরে খেললে কাউন্সিলরশিপ নিশ্চিত হবে কি না_এটাই দুই ক্লাবের সংশয়। তাই কালকের সভায় ডাকা হয়েছিল দুই ক্লাবের প্রতিনিধিকে।


ভিক্টোরিয়ার কেউ না এলেও হাজির ছিলেন ওয়ারী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু। কাউন্সিলরশিপ নিয়ে তাঁর সংশয় দূর করার চেষ্টা করেছে লিগ কমিটি। কমিটির সদস্য আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, 'তাদের সংশয় অহেতুক। দুটো ক্লাবই এখন প্রথম বিভাগে খেলে, সুবাদে তারা বাফুফের কাউন্সিলর। পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেললেও তারা কাউন্সিলর হবে নিয়মানুযায়ী। সেটা যদি না-ও হয় প্রথম বিভাগের কাউন্সিলরশিপ তো তাদের থাকছেই।' দ্বিতীয় স্তর চালু করতে গিয়েও দেখা যাচ্ছে, মাঠের খেলার চেয়ে বাফুফে নির্বাচন এবং ভোটাধিকার মুখ্য হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয় স্তরে অংশ নিলে ভোটাধিকার কাটা যাবে কি না, এই ভয় পেয়ে বসেছে দুই ক্লাব কর্মকর্তাদের। সভায় ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছে লিগ কমিটি। 'ভোটাধিকার যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই, এটা তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের দাবি অনুযায়ী ঢাকার একটি ভেন্যু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন দুটো ক্লাবকে আগামী রবিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে বাফুফেকে'_জানিয়েছেন আনোয়ারুল হক হেলাল।
ওই দুটো ক্লাবকে নিয়েই কমিটি চেয়েছিল ৬ দলের বাংলাদেশ লিগের দ্বিতীয় স্তর শুরু করতে। শুরু হয়ে গেছে দলবদলও। কিন্তু মাঝপথে ওয়ারী ও ভিক্টোরিয়া জটিলতা পাকিয়ে শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে দ্বিতীয় স্তরকে। কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদীর আক্ষেপ, 'সব কিছু গুছিয়ে আনার পর এমন বাঁধা পড়াটা অনাকাঙ্ক্ষিত। খেলা বন্ধ করে দেওয়াটা সহজ, শুরু করা অনেক কঠিন।'
এ ছাড়া সভায় আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশ লিগে বিদেশি খেলোয়াড়ের বিষয়টিও। সভাপতির ভিন্নমতের পরও লিগ কমিটি নিজের সিদ্ধান্তে অটল। 'আমরা যেটা চূড়ান্ত করেছি, সেটাতেই আছি। যদি কোনো পরিবর্তন-পরিবর্ধন থাকে সেটা করবে বাফুফের নির্বাহী কমিটি'_জানিয়েছেন কমিটির সদস্য আনোয়ারুল হক হেলাল। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো প্রত্যেক দলে চার বিদেশি খেলানো। সেটাসহ লিগের বাইলজ যাচ্ছে নির্বাহী কমিটিতে, তাদের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরই এগুলো আইনে রূপ নেবে।

No comments

Powered by Blogger.