পাঁচ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন হতে পারে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে পাঁচ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে যে কথা বলেছেন, তা অনভিপ্রেত এবং নির্বাচনী অপরাধ। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এসব কথা বলেন।তৈমূর প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, 'তিনি (তৈমূর) যে কথা বলেছেন, তা করতে গেলে ইলেকট্রোরাল ভায়োলেন্স হবে। এ অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা এবং তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।


নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের আছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এরই অংশ।'
প্রসঙ্গত, তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন আরেকটি 'মাগুরা' হবে বলে মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, 'ইভিএম ব্যবহারের জন্য শুক্রবার (আজ) নারায়ণগঞ্জে জিয়া হলে সব প্রার্থীকে সামনে রেখে মেশিনটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে ইসি। একটি দল সংবাদ সম্মেলনে যে মেশিন দেখিয়েছে, ওই মেশিন আর ইসির মেশিন এক নয়।'
ড. হুদা বলেন, 'দুধের সঙ্গে ঘোল মেশালে তো হবে নারে ভাই। তা ছাড়া সংলাপে একটা দল বাদে ২৯টি দলই স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কথা আমাদের বলেছে। তাই নারায়ণগঞ্জকে মাগুরা করার ইচ্ছা কারো থাকলে তা বাদ দেওয়া উচিত।' তিনি বলেন, 'আমরাও সব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছি। সেই মোতাবেক নির্বাচনের দুই দিন আগে পাঁচ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। এ নির্বাচনের জন্য আমরা সব অপশন খোলা রেখেছি। যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ইসি।'
স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে সিইসি বলেন, 'এটা পরস্পরবিরোধী ব্যবস্থা। কেবল নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনেই নয়, এটা সব নির্বাচনেই ঘটে থাকে। এ কালচারের পরিবর্তন হওয়া দরকার। বাস্তবের সঙ্গে আইনের মিল থাকা প্রয়োজন। স্থানীয় নির্বাচনে যদি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করতেই হয়, তবে আইন সংশোধন করতে সমস্যা কী? ইসি তো এর বিপক্ষে নয়। ভারতে স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আছে। তেমন আইন করে নিতে পারেন রাজনীতিকরা। এতে নির্বাচন কমিশনেরও নির্বাচন পরিচালনায় সুবিধা হয়।' তিনি বলেন, 'কেউ যদি কোনো প্রার্থীকে জোর করে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে এতেও আইনের ভায়োলেশন হবে। সব কিছু শুদ্ধভাবেই হওয়া উচিত।'

No comments

Powered by Blogger.