ইউক্রেনের পাশে প্লাতিনি

মস্যাটা পোল্যান্ডকে নিয়ে নয়, ইউক্রেনকে নিয়ে। গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দার প্রভাব বেশ ভালোমতোই পড়েছে তাদের ওপর। ফলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের মতো একটা বড় আসরের আয়োজনের জন্য যেটুকু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার সেটা তারা নাকি ঠিকঠাক করতে পারছে না। এ কারণেই আগামী বছর হতে যাওয়া ইউরোতে ইউক্রেনে খেলতে যেতে আপত্তি অনেক দলের। তার বদলে ভেন্যু হিসেবে তাদের পছন্দ অন্য স্বাগতিক পোল্যান্ডকে। উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন এসব শঙ্কা। ইউরোর জন্য ইউক্রেনও সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।


আপত্তিটা প্রথম এসেছিল ইতিমধ্যেই ইউরো ২০১২-এর মূল পর্বে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করা জার্মানির পক্ষ থেকে। ইউরোতে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলতে ইউক্রেনে যেতে চাইছে না তারা। জার্মানির পথ ধরে পরে ইংল্যান্ডও জানিয়েছেন ইউক্রেন না হয়ে সব ম্যাচ পোল্যান্ডে খেলতে পারলেই খুশি হবে তারাও। ইউরোপসেরা এসব ফুটবল দলকে রাখার জন্য যে ধরনের আবাসিক ও আনুষঙ্গিক সুবিধা দরকার সেটা ইউক্রেনে পাওয়া যাবে না বলে তাদের শঙ্কা। এটা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি। অর্থনৈতিক কারণে ছোটখাটো কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে, কিন্তু স্বাগতিক হিসেবে ইউক্রেনের সামগ্রিক প্রস্তুতিতে বেশ সন্তুষ্ট বলেই জানিয়েছেন তিনি, 'কিছু সমস্যা তো থাকবেই। গত বছর আমি নিজেও নিশ্চিত ছিলাম না তারা সফলভাবে সব আয়োজন করতে পারবে বলে। কিন্তু কিছুদিন আগে পরিদর্শনে গিয়ে আমি খুব খুশি। তারা অভাবনীয় কাজ করেছে। আমি নিশ্চিত করতে চাই ইউক্রেনে ম্যাচ আয়োজনে কোনো বাধা নেই।'
যৌথ স্বাগতিকের অন্য দেশ পোল্যান্ডকে নিয়ে অবশ্য কোনো সমস্যা নেই অংশগ্রহণকারী দলগুলোর। বরং নিজেদের ম্যাচগুলো পোল্যান্ডের চারটি স্টেডিয়ামে হলেই যেন সবাই খুব খুশি। দিন কয়েক আগে পোল্যান্ড থেকে ফিরে গিয়ে প্লাতিনির কণ্ঠেও তাদের প্রস্তুতি নিয়ে ছিল দারুণ উচ্ছ্বাস, 'আমি সভাপতি হিসেবে খুব খুশি তাদের প্রস্তুতি দেখে। অসাধারণ সব স্টেডিয়াম আর সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে সেখানে। আমি নিশ্চিত ২০১২ ইউরো মনে রাখার মতো একটি আসর হবে সবার জন্য।'
দুই স্বাগতিক এবং ইউরোপের আরো ১৪টি দলসহ মোট ১৬ দলের কার ম্যাচগুলো কোথায় হবে সেটা অবশ্য নিশ্চিত হয়নি এখনো। আগামী ২ ডিসেম্বর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হবে ইউরো ২০১২-এর মূল পর্বের ড্র। পোল্যান্ড না ইউক্রেন, কোন জায়গার বিমানটা ধরতে হবে সেটাও নিশ্চিত হবে ড্রর পরই। এএফপি

No comments

Powered by Blogger.