খালেদা জিয়াকে 'জ্ঞানহীন' বললেন সাজেদা চৌধুরী

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে 'জ্ঞানহীন' বলে অভিযুক্ত করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'কোনো জ্ঞানহীন ব্যক্তিকে কোনো দিন জ্ঞান দেওয়া যায় না। এ বৃথা চেষ্টা তাই আমি করব না।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধর্ম নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রশ্ন তোলার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীদলীয় নেতার 'জ্ঞান' নিয়ে এভাবে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের জেলা প্রতিনিধিদের এক সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাজেদা চৌধুরী।


মুক্তিযোদ্ধা লীগের ৬০টি সাংগঠনিক জেলার মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রথম জাতীয় কার্যনির্বাহী সভার উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের করণীয় শীর্ষক এই সভার আয়োজন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি এম এ মজিদ ভুলু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সাধনা হালদার এমপি প্রমুখ।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, '৪০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে রাজাকারদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে আমাদের বিরোধী দলীয় নেত্রীর তা পছন্দ হচ্ছে না। তাই তিনি রাজাকারদের রক্ষার জন্য রোডমার্চ কর্মসূচি করছেন।' তিনি আরো বলেন, 'বাঙালির সংস্কৃতিসহ সব বিষয় পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য একাত্তরে হত্যা শুরু করা হয়েছিল। আজ শপথ নিতে হবে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের, রাজাকারদের গুঁড়িয়ে দিয়ে দেশকে মুক্ত করতে হবে।' তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদের উপনেতা বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকে না। সারা পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও আগামী নির্বাচন সেভাবেই সম্পন্ন হবে।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আরো বলেন, 'রাজাকারদের যখন বিচার শুরু হচ্ছে, তখন অনেকে বাধার সৃষ্টি করছে। যারা রাজাকারদের রক্ষার চেষ্টা করবে, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের রক্ষা করতে নানা জায়গায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মসজিদে বসেও মিটিং করা হচ্ছে।' এ ব্যাপারে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মসজিদে শুধু নামাজ হবে, মিটিং হবে না।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, 'আজ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে, তখন মির্জা ফখরুল যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। স্বাধীনতার চলি্লশ বছর পর তিনি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।' এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

No comments

Powered by Blogger.