১/১১ জন্মের ষড়যন্ত্রে বিএনপির কিছু নেতা জড়িত- তারেক দিবসে আলোচনা

অতীতের মতো বর্তমানেও তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে দলের কিছু নেতা অপকর্ম, কুকর্ম করছে। আর এ নিয়ে নিজেরা আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
এ ছাড়াও তাঁরা বলেছেন, মইনউদ্দিন-ফখরম্নদ্দীনের সঙ্গে বিএনপির কিছু নেতা ষড়যন্ত্র করে এক/এগারোর জন্ম দিয়েছেন। কাজেই তারেককে নির্যাতনের অপরাধে মইন- ফখরম্নদ্দীনের পাশাপাশি এসব নেতারও বিচার হতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তৃতীয় কারাবন্দী দিবস উপলৰে রবিবার বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় তাঁরা এসব কথা বলেন। রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে দলের ভাইস চেয়ারম্যান টিএইচ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অতীতে তারেকের নাম ব্যবহার করে দলের কিছু নেতা অপকর্ম, কুকর্ম করেছে। তারা তারেকের মঙ্গল চাওয়ার পরিবর্তে নিজেদের মঙ্গল ও স্বার্থ উদ্ধার করেছে। এরা একদিকে তারেকের ভাবমূর্তির ৰতি করেছে, অন্যদিকে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। এরাই তারেকের মেরম্নদ- ভাঙ্গার নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। আবার টেলিভিশনের টক শোতে এরাই দুর্নীতির বিরম্নদ্ধে বড় বড় কথা বলেছে।
এরাই আবার ইদানীং ভাইয়ার (তারেক) টেলিফোনের কথা বলে বেড়ায়। ভাবখানা এমন যে, ভাইয়া শুধু তাদেরই টেলিফোন করেন। এসব অতি হিতাকাঙ্ৰী, অতি উৎসাহীদের নিয়ে আমি আতঙ্কিত। সত্যিকারার্থে তারেককে দলের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে আগামীতে এই পর্বের সমাপ্তি ঘটাতে হবে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করতে মইনউদ্দিন-ফখরম্নদ্দীনের সঙ্গে বিএনপির অভ্যনত্মরে লুকিয়ে থাকা কিছু নেতা ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা দলকে ধ্বংস করতেই এ ষড়যন্ত্র করেছিল। এসব ষড়যন্ত্রকারীরাই এখন আবার দলীয় কার্যক্রমে সভাপতিত্ব করছে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, আমি ২০০৩ সালেই ষড়যন্ত্রের বিষয়টি টের পেয়েছিলাম। দলীয় নেতৃত্বকে তা জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ষড়যন্ত্রকারীরা চিহ্নিত মনত্মব্য করে আব্বাস বলেন, এদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি তারেককে নির্যাতনের অপরাধে মইন-ফখরম্নদ্দীনের পাশপাশি দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদেরও বিচার দাবি করেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জিয়া উদ্যানে জিয়ার নামফলক ভাঙ্গার সমালোচনা করে বলেন, জিয়া ভীতির কারণেই সরকার এসব করছে। এটা ৰমতাসীন দলের অপরাজনীতির অংশ বলে তিনি মনত্মব্য করেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, তারেককে রিমান্ডে নিয়ে নিঃশেষ করে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তারেক সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছিল বলে তিনি মনত্মব্য করেন। তিনি তারেকের ওপর নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী বলেন, সংসদ হয়ে গেছে স্থায়ী গোরসত্মান। শুধু আগরবাতি জ্বালাতে বাকি। এখানে মৃত ব্যক্তি ছাড়া জীবিত কাউকে নিয়ে আলোচনা হয় না। তিনি সরকারের বিরম্নদ্ধে ভারত প্রীতির অভিযোগ করে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদিন ফারম্নক এমপি।
এ ছাড়া রবিবার দুপুরে খালেদা-তারেক মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে বিৰোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর জিয়া উদ্যানে জিয়ার নামফলক ভাঙ্গার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এটি ৰমতাসীন দলের অপরাজনীতির অংশ। এর মধ্য দিয়ে ৰমতাসীন দল হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.